বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। পুরো পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে এ উন্নয়ন যাত্রা লক্ষ্য করছে। অপার সৌন্দর্যের এ দেশে আছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন সহ ঐতিহাসিক ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। আছে সাথে বিভিন্ন ধরণের খাবার, পোশাক ও শিল্প-সংস্কৃতি। এসব জিনিসে শুধু দেশি নয়, বিদেশী লোকের ও মন জিতার শক্তি রয়েছে। কিন্তু আমাদের পর্যটনশিল্পকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে, সরকার, দূতালয় সহ দেশ-বিদেশে থাকা সকল প্রবাসীদেরও এতে ভূমিকা রয়েছে। আর সেই জন্যে, সবাইকে এগিয়ে আসতে আহ্ববান জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আতিকুল হক।
দুবাইয়ের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ২৮ এপ্রিল থেকে ১ লা মে পর্যন্ত চলে এরাবিয়ান ট্রাভেল মার্কেট। ৪ দিন ব্যাপী মেলা শেষে প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা নিয়ে বুধবার একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ কনস্যুলেট, দুবাই।
বাংলাদেশ কনসুলেটের শ্রম কাউন্সেলর ফাতেমা জাহানের সঞ্চালনায় ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস-এর সভাপতিত্বে, সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এর উপ সচিব ইশরাত জাহান ও দেশ থেকে আসা বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরস।
এবছরের প্রদর্শনীর সফলতা ও সামনের বছরে কেমনে আরো ভালো ভাবে বাংলাদেশ কে উপস্থাপন করা যায়, এ নিয়ে বক্তব্য রাখেন মেলাতে অংশগ্রহণকারী টুর অপারেটরস।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রথম সচিব (পাসপোর্ট) নূর ই মাহবুবা জয়া, প্রথম সচিব (শ্রম) ফকির মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন, দূতালয় প্রধান প্রবাস লামারং, বিমানের রিজিওনাল ম্যানেজার দিলীপ কুমার চৌধুরী ও বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।
সামনের বছর মেলায় আরো ভালো করতে ও পর্যটন শিল্প কে আরো আরো ভালো করতে সবাই একজোট হয়ে কাজ করে যাবে বলে জানিয়েছেন সভায় উপস্থিত বিভিন্ন কোম্পানির কর্মকর্তারা। পরে আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলাদেশী খাবারে আপ্যায়ণ করা হয়।