বাংলাদেশের ৪৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ম্যানচেস্টারস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় বিভিন্ন দেশের কুটনীতিকদের সংবর্ধনা ও এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করে । ম্যানচেষ্টারের এক অভিজাত রেষ্টুরেন্টে আয়োজীত এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চীন, রিপাবলিক অব পর্টল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, পাকিস্তান, লিবিয়া, চেক রিপাবলিক, হাঙ্গেরী ও ইরাকের কনসাল জেনারেলবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন ভ্রাতৃপ্রতিম বিভিন্ন দেশের দুতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ । অনুষ্ঠানের শুরুতে ব্রিটেনের ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। জাতীয় সঙ্গীতের পর স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন ম্যানচেস্টারের সহকারি হাইকমিশনার আব্দুল নাসের মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম । তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, পাকিস্থানী বাহিনী ২৫ মার্চ রাত নৃশংস হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে শুরু হওয়া স্বাধীনতার সংগ্রামে ৯ মাসে ৩০ লাখ মানুষ আত্নহুতি দেয়, ২ লাখ নারী তাদের সম্ভম হারায়। অবশেষে সংগ্রাম আর আত্নাহুতির মধ্যি দিয়ে ১৬ই ডিসেম্বরে এসে বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আজ বাংলাদেশ সারা পৃথিবীতেই উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত।
সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্রিটেনের রাণির প্রতিনিধি নাইট অব দি অর্ডার অব সেন্ট জন ,জেপি ডিলিট এলএলডি হার ম্যাজিস্ট্রিস লর্ড লেফেটেন্ট অব গ্রেটার ম্যানচেষ্টার ওয়ারেন জেম স্মীথ। তার বক্তৃতায় বাংলাদেশ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়শি প্রশংসা করেন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে, খাদ্য দিয়ে সারা পৃথিবীতেই বাংলাদেশ মানবতার এক উজ্জল উদাহরন সৃষ্ঠি করেছে বলে তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন। এছাড়া অতিথি ছিলেন ম্যানচেষ্টারের লর্ড মেয়র কাউন্সিলার জুন হিচেন, ভাইস লর্ড লেফটেনেন্ট পল গ্রিফিথ।
এ সূধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ওল্ডাম,রচডেল,সলফোর্ড,বল্টন, ট্রাফোর্ড,কিথলি, সাউথ থাইনসাইড, লিভারপুলসহ বিভিন্ন কাউন্সিলের মেয়র ও মেয়রেসবৃন্দ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ম্যানচেষ্টার সিটি কাউন্সিলসহ বিভিন্ন কাউন্সিল থেকে নির্বাচিত বাংলাদেশী কাউন্সিলারবৃন্দ।
দূতাবাসের সোসিয়েল সেক্রেটারী জিল্লুর রহমানের উপস্থাপনায় এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ম্যানচেস্টার ওল্ডহ্যাম,হাইড,বার্ণলি, লিভারপুল, মিডিসবরাসহ নর্থ ইংল্যান্ডের বাঙ্গালি কমিউনিটির সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।