নতুন বই হাতে নতুন বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে বড় বোন সুমাইয়ার হাত ধরে মাত্র দুই দিন স্কুলে যাওয়ার পর আর বিদ্যালয়ে যাওয়া হল না কুয়েত প্রবাসী শফিকুল ইসলামের ছেলে হাবিবুল বাসার ফয়সালের (৫) । পরিবারের সবার নয়নের মনি ফয়সাল কে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের আইডিয়াল স্কুলের ক্লাস নার্সারীতে ভর্তি হয়ে বুধবার,বৃহস্পতিবার দুই দিন স্কুলে যাওয়ার পর শুক্রবার ৪ জানুয়ারি সকালে খেলাধুলা করতে গিয়ে সেখান থেকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়।
আশপাশে খোজা খোজির পর সন্ধ্যান না পাওয়ায় ঐদিন দোয়ারাবাজার থানায় একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরী (নং ১৪৫) করেন ফয়সালের দাদা আবুল বাসার। ৭ জানুয়ারি ভোরে বড়খাল গ্রামের মরাচেলা নদীর পূর্ব পাড়ে একটি শিশুর লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী খবর পেয়ে ছুটে যায় তার পরিবার দেখতে পায় সবুজ ঘাসের উপর পড়ে রয়েছে ফয়সালের প্রাণহীন নিথর দেহ । দোয়ারা বাজার থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
ফয়সালে মা মনিরা আক্তর বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও হত্যা মামলা নং ৫ ০৮/০১/১৯ দায়ের করেন। নিহত ফয়সালের পিতা কুয়েত প্রবাসী সফিকুল ইসলাম বলেন, আমি র্দীঘ ১৯ বছর যাবৎ প্রবাসে আছি। এইবার দেশে যাওয়ার পর ছুটি শেষে ২৫ ডিসেম্বর কুয়েতে আসার পর ৪ জানুয়ারি আমার একমাত্র ছেলেকে অপহরণ রাখার পর হত্যা করা হয়। বাংলাদেশ সরকারে কাছে একটা দাবী আমাদের প্রবাসীদের পরিবার জান মালে নিরাপত্তা চাই। সুষ্ঠ তদন্তে মাধ্যমে আমার নিষ্পাপ নিরপরাধ ছেলের খুনিদের খোজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। আগামীতে যাতে অন্যকোন প্রবাসী পরিবারের সাথে আমার মত এই রকম ঘটনা না ঘটে সেজন্য দেশের প্রশাসন ও দেশবাসী ও প্রবাসী ভাইদের সহযোগিতা কামনা করছি।
এবিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার মামলার তদন্তকর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই মামলায় সন্দেহভাজন শাহ আলম (২২) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে এবং মামলা তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।