একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবারে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যfপক অংশগ্রহণ লক্ষ্যনীয়। দুটো জোটেই ইসলামী দলের অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো।এ নির্বাচনে এককভাবে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ধর্মভিত্তিক এই রাজনৈতিক দল এবার ২৯৮ আসনে লড়বে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২০০৮ সালে ১৫২ জন প্রার্থী নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন তারা বয়কট করে। এবার তারা দলীয় হাতপাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে।
এবারের নির্বাচনে দলটি ৩০০ আসনেই তাদের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেয়। এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে দলটি একজন বিকল্প প্রার্থী দেয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তারা দলটির ১৯ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেন। মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেন। আপিলে বৈধতা পেয়েছেন ১৬ জন প্রার্থী।
এখন ২৯৮ আসনে দলটির প্রার্থী ২৯৮ জন। নির্বাচন কমিশন অবৈধ ঘোষণা করায় যশোর-৩ ও হবিগঞ্জ-১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কোনো প্রার্থী নেই।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক উপদেষ্টা আশরাফ আলী আকন বলেছেন, বিভিন্ন জোটে ডাক পেলেও তারা এককভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জোটের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে আশরাফ আলী বলেন, ‘ক্ষমতার ভাগাভাগির রাজনীতি করি না। এ দেশে জোটের ফলাফল ভালো না। শেষ পর্যন্ত টেকে না। আমরা জোটে নয়, আদর্শে বিশ্বাস করি।’
সুষ্ঠ নির্বাচন হলে সরকার গঠন করতে পারবে বলে আশা আশরাফ আলীর। তাঁর ভাষ্য, সুষ্ঠ ভোট হলে তাঁরাই জিতবেন। তবে সুষ্ঠ ভোট হওয়ার ব্যাপারে তাঁরা সন্দিহান।
নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমে হতাশার কথা জানিয়ে আশরাফ আলী বলেন, ইভিএমের ব্যাপারে প্রায় সব দলেরই আপত্তি আছে। কিন্তু তারপরেও ইসি ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরকারি দল সুবিধা পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আশরাফ আলী। তাঁর দাবি, নিয়মের বাইরে গিয়ে সরকারি দল প্রচার চালাচ্ছে।তিনি দাবী করেন পুলিশ ও প্রশাসন সরকারী দলের পক্ষে রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচনী অবস্থা দেখবে।