সোমবার, ৫ জুন ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
শিক্ষকদের কল্যাণে কাজ করবে- টি আলী স্যার ফাউন্ডেশন  » «   প্যারিসে জাতীয় বাজেটে প্রবাসীদের প্রত্যাশা- শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত  » «   ফরাসি ভাষা শিক্ষায় ‘বেসিক-ফ্রঁসে বাংলা’ অ্যাপ্লিকেশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন  » «   গবেষণা এবং শিক্ষাদানের উৎকর্ষতা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপাদান – প্রফেসর মোহাম্মদ মুশফিক উদ্দিন  » «   আনোয়ারুল ইসলাম অভির সিভিক এওয়ার্ড লাভ  » «   ভেজিটেবল অয়েলের পেছনে পাশ্চাত্যের দুর্নীতির ইতিহাস ও আমাদের করণীয়  » «   যুক্তরাজ্যে ঈদের ছুটি চাই ক্যাম্পেইন: গ্রীনস্ট্রিটে ব্যাপক প্রচারণা  » «   যুক্তরাজ্যে ঈদে ছুটির দাবীতে পূর্ব লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেলে  সমাবেশ অনুষ্ঠিত  » «   যুক্তরাজ্যবাসী সাংবাদিক রহমত আলীকে নিয়ে বিশ্বনাথ পৌর মেয়র মুহিবের অশালীন মন্তব্যের ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব  » «   যুক্তরাজ্যে ঈদের ছুটি চাই  » «   যুক্তরাজ্যে ঈদের দিনে ছুটি চাই  » «   ঈদের ছুটি- ব্যবসায় লস নয় ব্র্যান্ডিং এর সুযোগ!  » «   দুই প্রেসিডেন্টের কথার লড়াই ও ক্রীড়াঙ্গণের থলের বিড়াল  » «   যুক্তরাজ্যে ঈদে ছুটির দাবীতে  হোয়াইটচ্যাপেলে সমাবেশ ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার  » «   পহেলা বৈশাখ থেকে অনলাইনে শতভাগ ভূমি উন্নয়ন কর  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

আত্নহত্যা করেছে, মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে চায়নি দুবোন



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

নিজ মাতৃভূমি সৌদি আরবে ফিরে না যেতে দু’বোন শেষ পর্যন্ত আত্নহত্যার পথ বেছে নিল। এ দু বোন হলেন ১৬ বছরের তালা ফারিয়া এবং ২৩ বছর বয়সী রতানা ফারিয়া। ধারণা করা হচ্ছে ,এই মর্মান্তিক মৃত্যুটি একসাথেই দু্ই বোন নিশ্চিত করতে চাইছিলো। তাই তাদের লাশ ছিল একের সাথে অপরজন বাঁধা।

২৪ অক্টোবর এই দুবোনের লাশ উদ্ধার করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ। নিউইয়র্কের হাডসন নদী থেকে এ লাশ দুটো উদ্ধার করা হয়। লাশ দুটো একে অপরের সাথে টেইপ দিয়ে বাঁধা ছিল। নদীর পাশ দিয়ে যাওয়া একজন পথচারীর তথ্যের ভিত্তিতে নিউইয়র্ক পুলিশ এ লাশ দুটো উদ্ধার করে।
নিউইয়র্ক পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ডেরমট শিয়া এ দুটো লাশকে নিউইয়র্ক সিটিতে কারো বা কোন গুষ্ঠি দ্বারা সংঘঠিত অপরাধ হিসেবে দেখছেন না। তিনি জানিয়েছেন, তারা দুবোনের লাশকে আত্নহত্যা হিসেবেই বিবেচনা করছেন। তবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, তারা এ নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান তদন্তকারী একটা সংস্থার সূত্র উল্লেখ করে  বলেছেন, সৌদি আরবে ফিরে না যেতে এবং আমেরিকায় তাদের অনিশ্চিত টিকে থাকার হতাশা থেকেই তারা এ আত্নঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তারা মনে করছেন।

অতি সম্প্রতি তাদের একজনের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে গিয়ে লক্ষ্য করা গেছে, নিউইয়র্কে তারা অপরাধযোগ্য কোন কাজে সংযুক্ত ছিল না, তবে তাদের সামর্থ্যের মধ্যে থাকা অর্থগুলো খরছ করেছে তারা বিলাসীতার মাঝেই।

গত বছরের ৩০ নভেম্বরের পর তাদের পরিবারের সাথে তাদেরকে কখনো দেখা যায় নি। ধারণা করা হচ্ছে, তারা শারিরীক নিগ্রহের শিকার হতে পারে এবং সেজন্যেই নভেম্বরের পর থেকে ডমেস্টিং ভায়োলেন্স এ নির্যাতিতদের আশ্রয় দেয়া একটা আশ্রয় কেন্দ্রে আগস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত অবস্থান করে। গত ১ লা সেপ্টেম্বর থেকে নিউইয়র্কের বিলাসবহুল হোটেলগুলোতে তাঁদের অবস্থান চিহ্নিত করা গেছে। বড় বোন রতানা ফারিয়ার ক্রেডিট কার্ড’র তথ্য থেকেই তা বেরিয়ে এসেছে বলে পুলিশ প্রধান উল্লেখ করেন।

এ দুটো হত্যাকান্ডের তথ্য সহযোগীতাকারী এবং প্রত্যক্ষদর্শী একজন উল্লেখ করেছেন যে, তিনি ঐ দুবোনকে ২৪ অক্টোবর দেখেছেন। তিনি তাঁদের আর্তনাদ শোনেছেন। অন্তত ১৫ মিনিট তাঁদের একত্রে চিৎকার করে প্রার্থনা করতে দেখেছেন নদীর পাশেই। যার পাশ থেকেই তাদের দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গত তিন বছর থেকে সৌদি বংশদ্ভোদ দুবোন তালা ফারিয়া এবং  রতানা ফারিয়া যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে আসছিল এবং হয়ত তারা এদেশে অবস্থান করার জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করেছিল।


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন