শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ আর নেই  » «   লন্ডন মুসলিম সেন্টারে দুই শতাধিক মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ‘ফেইথ ইন এনভারনমেন্ট’ সামিট  » «   রোবটিক্স বিজ্ঞানী ড. হাসান শহীদের নেতৃত্বে কুইন মেরি ইউনভার্সিটি অব লন্ডনে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মাল্টিরোটর সোলার ড্রোন উদ্ভাবন  » «   লন্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমির অফস্টেড রিপোর্টে ‘গুড’ গ্রেড অর্জন  » «   টাওয়ার হ্যামলেটস এডুকেশন অ্যাওয়ার্ডস : ১৮৫ জন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা  » «   ব্যারিস্টার নাজির আহমদের “ইন্সপায়ার এ মিলিয়ন”নামে চ্যারিটি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা  » «   সম্মিলিত সাহিত্য ও  সাংস্কৃতিক পরিষদের ২০২৫-২৬ পরিচালনা পর্ষদ গঠন  » «   গ্রেটার ফতেহপুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের সাধারণ সভা ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত  » «   আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের মিল আর গুজব রাজনীতি  » «   পাচারকৃত টাকা বাংলাদেশে ফেরত আনার ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন ডা. শফিকুর রহমান  » «   প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্সের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন  » «   শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা  » «   ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হুজহু’র ১৫তম প্রকাশনা ও এওয়ার্ড অনুষ্ঠান ১২ নভেম্বর  » «   বিসিএর ১৭তম এওয়ার্ড : উদযাপিত হলো বাংলাদেশী কারি শিল্পের সাফল্য  » «   কবি ফয়জুল ইসলাম ফয়েজনূরের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভালোবাসার আগ্রাসন’র মোড়ক উন্মোচন  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

আত্নহত্যা করেছে, মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে চায়নি দুবোন



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

নিজ মাতৃভূমি সৌদি আরবে ফিরে না যেতে দু’বোন শেষ পর্যন্ত আত্নহত্যার পথ বেছে নিল। এ দু বোন হলেন ১৬ বছরের তালা ফারিয়া এবং ২৩ বছর বয়সী রতানা ফারিয়া। ধারণা করা হচ্ছে ,এই মর্মান্তিক মৃত্যুটি একসাথেই দু্ই বোন নিশ্চিত করতে চাইছিলো। তাই তাদের লাশ ছিল একের সাথে অপরজন বাঁধা।

২৪ অক্টোবর এই দুবোনের লাশ উদ্ধার করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ। নিউইয়র্কের হাডসন নদী থেকে এ লাশ দুটো উদ্ধার করা হয়। লাশ দুটো একে অপরের সাথে টেইপ দিয়ে বাঁধা ছিল। নদীর পাশ দিয়ে যাওয়া একজন পথচারীর তথ্যের ভিত্তিতে নিউইয়র্ক পুলিশ এ লাশ দুটো উদ্ধার করে।
নিউইয়র্ক পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ডেরমট শিয়া এ দুটো লাশকে নিউইয়র্ক সিটিতে কারো বা কোন গুষ্ঠি দ্বারা সংঘঠিত অপরাধ হিসেবে দেখছেন না। তিনি জানিয়েছেন, তারা দুবোনের লাশকে আত্নহত্যা হিসেবেই বিবেচনা করছেন। তবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, তারা এ নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান তদন্তকারী একটা সংস্থার সূত্র উল্লেখ করে  বলেছেন, সৌদি আরবে ফিরে না যেতে এবং আমেরিকায় তাদের অনিশ্চিত টিকে থাকার হতাশা থেকেই তারা এ আত্নঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তারা মনে করছেন।

অতি সম্প্রতি তাদের একজনের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে গিয়ে লক্ষ্য করা গেছে, নিউইয়র্কে তারা অপরাধযোগ্য কোন কাজে সংযুক্ত ছিল না, তবে তাদের সামর্থ্যের মধ্যে থাকা অর্থগুলো খরছ করেছে তারা বিলাসীতার মাঝেই।

গত বছরের ৩০ নভেম্বরের পর তাদের পরিবারের সাথে তাদেরকে কখনো দেখা যায় নি। ধারণা করা হচ্ছে, তারা শারিরীক নিগ্রহের শিকার হতে পারে এবং সেজন্যেই নভেম্বরের পর থেকে ডমেস্টিং ভায়োলেন্স এ নির্যাতিতদের আশ্রয় দেয়া একটা আশ্রয় কেন্দ্রে আগস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত অবস্থান করে। গত ১ লা সেপ্টেম্বর থেকে নিউইয়র্কের বিলাসবহুল হোটেলগুলোতে তাঁদের অবস্থান চিহ্নিত করা গেছে। বড় বোন রতানা ফারিয়ার ক্রেডিট কার্ড’র তথ্য থেকেই তা বেরিয়ে এসেছে বলে পুলিশ প্রধান উল্লেখ করেন।

এ দুটো হত্যাকান্ডের তথ্য সহযোগীতাকারী এবং প্রত্যক্ষদর্শী একজন উল্লেখ করেছেন যে, তিনি ঐ দুবোনকে ২৪ অক্টোবর দেখেছেন। তিনি তাঁদের আর্তনাদ শোনেছেন। অন্তত ১৫ মিনিট তাঁদের একত্রে চিৎকার করে প্রার্থনা করতে দেখেছেন নদীর পাশেই। যার পাশ থেকেই তাদের দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গত তিন বছর থেকে সৌদি বংশদ্ভোদ দুবোন তালা ফারিয়া এবং  রতানা ফারিয়া যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে আসছিল এবং হয়ত তারা এদেশে অবস্থান করার জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করেছিল।


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন