২৩শে সেপ্টেম্বর, রবিবার রাত ৮টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রবাসী বাঙালিদের পক্ষ থেকে নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত হিলটাউন হোটেল বলরুমে অনুষ্টিত হয় এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্টান। অনুষ্টানে ব্যাপকসংখ্যক বাঙালির উপস্থিতি ছিলো।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদের পরিচালনায় অনুষ্টানে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ বক্তৃতা করেন।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের গৃহদাহের তপ্ততার দরুন মঞ্চের একমাত্র সারিতে অতিথিদের সাথে শুধু সহসভাপতি ও যুগ্মসাধারণ সম্পাদকগণ আসন গ্রহন করেন। আর কোন নেতাকে মঞ্চে আসন দেওয়া হয়নি। কাউকে বক্তৃতার সুযোগও দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে সংগঠনের ভিতরে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে তাঁর সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ তুলে ধরেন। দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন ও বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে অভাবনীয় উন্নয়নের পাশাপাশী নানামুখি উন্নয়নের মাধ্যমে একটি উন্নত কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার বিষয়ে তিনি প্রবাসীদের অবহিত করেন।
তিনি বলেন,‘ সাম্প্রতিক সংসদে পাশ হওয়া ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট কেবল সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর হবে, এ বিষয়ে দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর কোন হস্তক্ষেপ করা হবেনা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্ণীতিবাজদের নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্য দেশের দুর্ণীতি বিনাশে আন্দোলনের হুমকী দেয়, যা হাস্যকর। এটা দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।’ তিনি তাঁর বক্তব্যে দেশবাসীকে তাদের বিষয়ে হুশিয়ার করে দেন।
বক্তৃতায় শেখ হাসিনা বি এন পি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তাঁর পুত্রদের ব্যাপক দুর্ণীতির চিত্র তুলে ধরেন। প্রবাসীদেরকে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং বাঙালির প্রতিটি ঐতিহাসিক সংকটকালে প্রবাসীদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উল্লেখ করেন।