আনন্দ উৎসব আর ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো প্রতিবছরের ন্যায় স্পেনেও ঈদ-উল আযহা উদযাপন হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার স্পেনের বার্সেলোনায় বসবাসরত মুসলমান প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের প্রধান এ ধর্মীয় উৎসব নিজেদের মধ্যেই ভাগাভাগি করে নেন।
রাজধানী শহর মাদ্রিদ, পর্যটন নগরী বার্সেলোনাসহ স্পেনের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা ঈদের নামাজ আদায় করে একে অপরের সাথে ঈদের কুশলাদি বিনিময় করেন।
ইউরোপের পর্যটন নগরী বার্সেলোনায় বাংলাদেশি লোকসংখ্যা বসবাস প্রায় বার হাজারের মতো।বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা প্লাসা মাকবায় বাংলাদেশিদের পরিচালিত লতিফিয়া ফুলতলি জামে মসজিদের উদ্যোগে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুস্টিত হয় এ জামাতে অংশগ্রহণ করেন প্রায় এক হাজারের ও বেশী মুসল্লী,পুরো এলাকা জুড়ে ছিলো বাংলাদেশী সহ বিভিন্ন দেশের মুসল্লিদের এক মিলন মেলা।
তাছাড়া বার্সেলোনার বাংলাদেশীদের প্রথম মসজিদ শাহ জালাল জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের ৩টি জামাত প্রতিটি জামাতেই ছিল প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপচে পড়া ভিড়।বাংলাদেশি মুসল্লিদের পাশা পাশি ঈদের নামাজে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানি, মরক্কো,সেনেগাল সহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মুসল্লিরা।
ঈদের নামাজের দু‘টি জামাত সকাল ৭টা ৩০মিঃ ও সকাল ৯টায় মসজিদে এবং একটি জামাত সকাল ৮.০০টায় মসজিদ সংলগ্ন খালি ময়দানে আয়োজন করে মসজিদ পরিচালনা কমিটি।উল্লেখ্য শাহজালাল জামে মসজিদের ভেতরে একটি জামাতে ধর্মপ্রান মহিলারাও নামাজে অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়াও বার্সেলোনার লতিফিয়া ফুলতলী জামে মসজিদে সকাল ৭.৪০মি, ৮.২০মি.,ও ৯.০০টায় ঈদের নামাজের ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদের নামাজে আসা বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের নিয়ে এক মিলন মেলায় পরিণত হয় মসজিদ গুলার ভেতরে ও বাহিরে।
নামাজ শেষে বার্সেলোনার বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত বাংলাদেশিরা একে অপরের সাথে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে তাদের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেয়।
তবে স্পেনে ঈদের দিন সরকারি ছুটি না থাকায় ঈদের নামাজ আদায় করেই অনেককেই দ্রুত কাজে ছুটতে দেখা গেছে।
এখানে বাংলাদেশীরা কুরবানীর জন্য পশু নিজের দেশের মতো সহজে জবাই করতে পারেনা,কিন্তু বিভিন্ন হালাল মাংসের দোকানে তারা অর্ডার দিয়ে কুরবানীর মাংস সংগ্রহ করে থাকেন।সে জন্যে মাংসের দোকান গুলোতে আগের দিন থেকে ছিলো মানুষের লম্বা ভিড়।
কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে কথা হয় ৫২বাংলা প্রতিবেদকের। তাদের চোখে মুখে উৎসবের আমেজ থাকা সত্ত্বেও তাদের মাঝে লক্ষ্য করা গেছে স্বজনের অনুপস্থিতির চাপা কষ্ট।