আটলান্টিকের তীরে ৮টি দ্বীপ নিয়ে ঘঠিত কানারিয়া দ্বীপকুঞ্জ পর্যটকদের জন্য স্বর্গরাজ্য,প্রতিবছর পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এখানে আসেন সামুদ্রিক এবং প্রাকৃতিক সুন্দর্য অবলোকনের জন্য,কানারিয়ান দ্বীপকুঞ্জে প্রতিছর ১৫ মিলিয়ন পর্যটকরা ঘুরতে আসেন এর মধ্যে ১৪ মিলিয়ন আসেন স্পেনের বাইরে থেকে,স্পেনে অর্থনীতিতে কানারিয়ার পর্যটনশিল্প রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। কিন্তুু করোনার কারনে এই বছর অনেকটা পর্যটক শূন্য কানারিয়া দ্বীপকুঞ্জ।
কানারিয়াতে এখন পর্যন্ত ৫ হাজারের মত মানুষ করোনায় আত্রান্ত হন, প্রতি দিন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্পেন ভ্রমণ করলে ইংল্যান্ডের নাগরিকদের ১৪ দিনের হোম করেন্টাইনের ঘোষণা, ‘টুই’ এবং ‘ইজিজেটে’র মত এয়ারলাইন্স গুলো ফ্লাইট বাতিলের কারনে এই বছরের গ্রীষ্মের ব্যবসায় দেখা দিয়েছে মন্দাভাব।আগষ্ট মাসে দ্বীপগুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা হয় সবচেয়ে বেশি, অথচ পর্যটকদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় পর্যটনশিল্পে লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রতিদিন । যার প্রভাব পড়ছে কর্মজীবী মানুষের উপর।প্রতিদিন কানারিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আগামী দিনগুলিতে কয়েকটি দ্বীপে লকডাউন আসতে পারে এমন আবাস দিয়েছেন কানারিয়ার প্রেসিডেন্ট এনজেল ভিকটর টরেস যার মধ্যে আছে গ্রান কানারিয়া ও লানজারতে, গ্রীষ্মের ব্যবসা সময় প্রায়শেষ এখন ব্যবসায়িরা তাকিয়ে আছেন শীতের মৌসুমের দিকে— দ্রুত এই সব দ্বীপগুলিকে পর্যটকদের জন্য নিরাপদ করে শীতের মৌসুমকে অন্তত পর্যটকদের আনাগোনার ব্যবস্থা করার আহবান করেছে ব্যবসায়ি সংগঠনগুলো।
যেমন আছেন টেনেরিফের বাংলাদেশী কর্মজীবীরা
টেনেরিফ কানারিয়ার সবচেয়ে ঘনবসতী এলাকা, প্রতি বছর ৫ মিলিয়ন পর্যটক ঘুরতে আসেন এখানে, টেনেরিফে বাংলাদেশিরা গড়ে তুলেছেন ছোট একটি কমিউনিটি, অধিকাংশ বাংলাদেশিরা জড়িত আছেন রেস্টুরেন্টে শিল্পের সাথে ,পর্যটকশূন্য হওয়ায় এবছর রেস্টুরেন্ট ব্যবসা হুমকির মুখে পড়ায় এ প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশি কর্মজীবীদের উপর। রেস্টুরেন্টে মালিকেরা অল্প সংখ্যক কর্মিদের নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। ফলে অধিকাংশ বাংলাদেশিরা কর্মহীন আছেন। টেনেরিফের রেস্টুরেন্টে ব্যবসার সাথে জড়িত কয়েকজন বাংলাদেশিরা বলেছেন, করোনার কারনে এই বছর ব্যবসা শূন্যের কোটায়,ব্যবসা না হওয়ায় অল্পসংখক কর্মি নিয়ে রেস্টুরেন্ট চালাতে হচ্ছে, খুব শীঘ্রই অবস্তার উন্নতি না হলে বন্ধ করতে হবে এই সব রেস্টুরেন্টেগুলো।করোনা পরিস্তিতি স্বাভাবিক না হলে অনেকের চাকরি হরানোর আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কর্মজীবী বাংলাদেশিরা।