রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
Sex Cams
সর্বশেষ সংবাদ
দ্বিতীয় মুসলিম কমিউনিটি সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড আগামী ৯ই জুলাই লন্ডনে  » «   বিশ্বনাথে ব্যারিস্টার নাজির আহমদ ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে শিশুদের ফ্রি খৎনা প্রদান  » «   রাস্তা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের পক্ষে হাইকোর্টের রায়  » «   দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ আর নেই  » «   লন্ডন মুসলিম সেন্টারে দুই শতাধিক মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ‘ফেইথ ইন এনভারনমেন্ট’ সামিট  » «   রোবটিক্স বিজ্ঞানী ড. হাসান শহীদের নেতৃত্বে কুইন মেরি ইউনভার্সিটি অব লন্ডনে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মাল্টিরোটর সোলার ড্রোন উদ্ভাবন  » «   লন্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমির অফস্টেড রিপোর্টে ‘গুড’ গ্রেড অর্জন  » «   টাওয়ার হ্যামলেটস এডুকেশন অ্যাওয়ার্ডস : ১৮৫ জন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা  » «   ব্যারিস্টার নাজির আহমদের “ইন্সপায়ার এ মিলিয়ন”নামে চ্যারিটি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা  » «   সম্মিলিত সাহিত্য ও  সাংস্কৃতিক পরিষদের ২০২৫-২৬ পরিচালনা পর্ষদ গঠন  » «   গ্রেটার ফতেহপুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের সাধারণ সভা ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত  » «   আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের মিল আর গুজব রাজনীতি  » «   পাচারকৃত টাকা বাংলাদেশে ফেরত আনার ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন ডা. শফিকুর রহমান  » «   প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্সের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন  » «   শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

ব্রিটেনের সর্ববৃহৎ আগুন : ধোঁয়া আর আগুনে ছেয়ে গেছে মাইলের পর মাইল



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

 

যেখানে ইংল্যান্ডের মানুষ রোদ আর শুস্ক আবহাওয়ার জন্যে রীতিমতো প্রার্থনা করে, সেখানে প্রচন্ড গরমে এখন চলছে অন্য এক অসহনীয় অবস্থা। গত এক সপ্তাহ থেকে গোটা ইংল্যান্ড জুড়ে চলছে অস্বস্থিকর গরম। জনজীবন অনেকটা বিপর্যস্ত। ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা গাছপালাগুলোতে আছে পাখির কিচির মিচির। পার্কে পার্কে মানুষের ঘোরে বেড়ানো। এই গরম কিংবা চড়চড়ে রোদ ইংল্যান্ডের মানুষের জীবনে আনন্দ নিয়ে এলেও একটা ভীতি কাজ করছে কিছু কিছু এলাকায়।

অষ্ট্রেলিয়ায়  এবং আমেরিকায় ‘ফরেস্ট ফায়ার’ মাঝে মাঝে গণমাধ্যমে আসে। দেখা যায় বন পুড়ছে। শত শত ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। দিনের পর দিন জ্বলে আগুন, তারপর একসময় হয়তো নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন, কিন্তু ইতিমধ্যে যা হবার হয়ে যায়। লাখো-কোটি ডলার ছাই হয়ে যায়।

এরকমই ‘ফরেস্ট ফায়ার’ (যদিও ওয়াইল্ড ফায়ার বলা হচ্ছে এটা) আঘাত হেনেছে ব্রিটেনে এবার। গ্রেটার ম্যানচেস্টারের স্টেলিব্রীজ এবং ওল্ডহ্যাম শহরের নিকটবর্তী এলাকায় গত রবিবার থেকে জ্বলছে আগুন। অত্যন্ত পরিচিত ট্যুরিস্ট এট্র্যাকশন হিসেবে পরিচিত স্যড্যালওয়ার্থ ম্যুর । স্যাডালওয়ার্থ ম্যুর নর্থওয়েষ্ট ইংল্যান্ডের প্যনাইন (পাহাড়ি) এলাকা, সমুদ্র লেভেলের ৪০০ মিটার উপরে যার অবস্থান। পার্বত্য এলাকা হিসেবে পরিচিত এই ‘স্যাডালওয়ার্থ ম্যূর’  প্রাকৃতিক বনভূমি ‘পিক ডিস্ট্রিক্ট’ এর ডার্ক এরিয়ার একটা অংশ । এখানে আছে ৪টা রেজার্ভোয়ার, যা অনেকটা ঝিলের মত। স্থানীয় এলাকার জনসাধারনের পানি সরবরাহ করা হয়ে থাকে এই রেজার্ভোয়ার থেকে।

বাঙালি অধ্যূষিত ওল্ডহ্যাম এলাকার কিছু অংশও স্যড্যালওয়ার্থ ম্যুর ফরেস্টের কাছের একটা এলাকা। মাইলের পর মাইল জুড়ে বিস্তৃত এই বনাঞ্জলে শত শত মানুষ শুস্ক দিনগুলোতে ছুটে যায়, প্রকৃতির সান্যিধ্য পেতে। মানুষ হাঁটতে থাকে। পিক ডিস্ট্রিক্টে ব্রিটেনের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রকৃতিপ্রেমীরা আসেন, শুধুমাত্র পাহাড়ি পরিবেশে হাঁটতে। স্কুল-কলেজের শিশু-কিশোররা আসে তাদের শিক্ষা সফরে এই পিক ডিস্টিক্ট এ।

এই ডিস্ট্রিক্টের একটা অংশ হলো স্যাডালওয়ার্থ ম্যূর, গত রবিবার ২৪ জুন এ বনাঞ্চলে লাগা আগুনে ইতিমধ্যে ২ হাজার একর জমিতে বিস্তৃত হয়েছে, পুড়ে গেছে বন, মাটি ফেটে চৌচির হয়েছে। বিশাল এই এলাকার ট্যুরিস্টদের মূল এট্রাকশন ডাবস্টন এবং ভেকটন ভেইল পুড়েছে বেশী । ওল্ড্যাম শহর সহ হাজার হাজার একর জুড়ে নিকটবর্তী কয়েকটি শহরে এখন ধোঁয়ার গন্ধ, আগুনের লেলিহান শিখা দেখছে মানুষ । কিছু কিছু এলাকায় মনে হচ্ছে ছাইয়ের (এ্যাশ) বৃষ্টি হচ্ছে। ১০টা ফায়ার ইনজিন জ্বলন্ত এলাকায় কাজ করছে পাশাপাশি  ৫০ জন ফায়ার ফাইটার কাজ করছেন নিরন্তর, রাতদিন। শুধুমাত্র মঙ্গলবারই হেলিকপ্টার থেকে ৬৫ হাজার গ্যালন পানি ফেলা হয়েছে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্যে, কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।

এখানে উল্লেখ্য যে, এই এলাকাটি ব্রিটেনে অন্য কারণেও পরিচিত, কারণ এখানেই ব্রিটেনের সিরিয়েল কিলার ইয়েন ব্রাডি এবং তার ক্রাইম পার্টনার মায়রা হিন্দলি কুখ্যাত সিরিয়েল কিলিং এর ৪ টা হত্যাকান্ডের চিহ্ন। নিহত চার জন মানুষের মৃতদেহ এখানে পুতে রেখেছিল তারা ১৯৬৩ এবং ১৯৬৫ সালে। যার মাঝে দু’জনের লাশ মিলেছিল আর অন্য দুজনের শুধুমাত্র চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল।  পরিভ্রমনকারী এখানে আসলে নিহত সেই ভিকটিমদের স্মরণ করে, ছাড়ে দীর্ঘশ্বাস।

 

চারদিন থেকে ক্রমাগত জ্বলতে থাকা এ আগুন বুধবার এসেছে ব্রিটেনের মূল গনমাধ্যমে। এ দুর্যোগ কেন হয়েছে, কর্তৃপক্ষ এখনও খোঁজে পাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ৩৪ টা পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আবাসিক এলাকার ২০০ মিটারের পাশাপাশি এসে গেছে আগুন। তবে কোন হতাহতের সংবাদ এখনও আসে নি।

 

লেখক: ফারুক যোশী,কলামিষ্ট, প্রধান সম্পাদক ;৫২বাংলাটিভিডটকম

 


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন