ঢাকা ০৭:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

সিলেট ও মৌলভীবাজারের হাট বাজার ভরে আছে কাঁঠালে

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:০৪:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১
  • / 1549
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

𝟝𝟚𝕓𝕒𝕟𝕘𝕝𝕒𝕥𝕧

[youtube]KH0G-1r8Xfs[/youtube]

 

ফল- ফসলের মৌসুম গ্রীষ্মে, বাংলার প্রকৃতিতে  ফলের  মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে যায়। গ্রামীনজনপদে ফল -ফসলের সহজলভ্যতায় বলতে গেলে কাঁচা -পাকা আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস সহ বাহারী   মৌসুমী ফলের রমরমা ব্যবসা এখন।

দেশের ‘প্রাকৃতিক ভূস্বর্গ ’ বলে খ্যাত সিলেটে এবারও  মৌসুমী ফল-ফলাদি  উৎপাদিত  হয়েছে ব্যাপক হারে।

সিলেটের বিভিন্ন হাটবাজারেও ফল-ফসলের প্রচুর  উপস্থিতি। তবে  সবচেয়ে বেশী বিক্রিত ও চাহিদার ফলের নাম কাঁঠাল। উচু-নিচু পাহাড়ি টিলা সমৃদ্ধ  সিলেট ও মৌলভীবাজারের  প্রত্যন্ত  অঞ্চলে  প্রায় প্রতিটি বাড়ি ও বাগানে ব্যাপকভাবে কাঁঠাল  উৎপাদিত  হয়। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায়   সিলেটে প্রায় প্রতিটি বাজারে এখন কাঁঠালের  উপস্থিতি।

বিভিন্নভাবে সিলেটে কাঁঠাল বিক্রি হয়। অনেকে বসতবাড়ীর কাঁঠাল, গাছেই কাঁচা অবস্থায় বিক্রি করেন স্থানীয় পাইকারের কাছে। অনেকে বাড়ীর নিজস্ব লোক দিয়ে বাজারে বিক্রি করেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা  ছোট  ব্যবসায়ীর ক্রয়কৃত বাগানের পাকা কাঁঠাল  কিনে হাট- বাজারে এনে বিক্রি করেন। তাই বাজারে  সপ্তাহে- সপ্তাহে কাঁঠালের দাম উঠা- নামা করে। ফলত প্রতি বছর ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে কাঁঠালের দাম নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়।

উঞ্চ অঞ্চলের কাঁঠাল সুমিষ্ট,  শক্ত ও সুগন্ধি হওয়াতে এর কদর আছে দেশ ব্যাপী। প্রধানত সিলেট বিভাগের   ভাটি অঞ্চল ও ঢাকার  বড় পাইকার এসব কাঁঠালের ক্রেতা।

সিলেটের  আম-কাঠাল মৌসুমে সামাজিকভাবে আত্নীয়-স্বজনদের বাড়ী ফল-ফলাদি উপহার দেয়ার ঐতিহ্য  আছে।স্থানীয়ভাবে এটাকে ‘আমকাঠালী’ বলা হয়। পুষ্টিগুনে ভরপুর কাঁঠাল কম-বেশী সকলে খেয়ে থাকেন। এছাড়াও সিলেটে কাঁঠালের  বীজ দিয়ে নানা পদের খাবারও বেশ জনপ্রিয়।কাঁচা কাঁঠাল দিয়েও তৈরী হয় সুস্বাদু তরকারী।পাকা কাঁঠালের শাস গবাদি পশুরও   প্রিয় খাদ্য ।

কৃষিতে বৈজ্ঞানের ছোয়ায় বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল চাষেও  সিলেটে এসেছে বিরাট সাফল্য । এখন ৫ থেকে সাত বছরের একটি কাঁঠাল গাছে ধরছে অসংখ্য কাঁঠাল। সাথে বাড়ছে এর বাণিজ্যিক চাষের সম্ভাবনাও।  সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নিকট আগামীতে কাঁঠাল এদতঅঞ্চলের মানুষের মুখে আরও বেশী হাসি ফুটাবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সিলেট ও মৌলভীবাজারের হাট বাজার ভরে আছে কাঁঠালে

আপডেট সময় : ০৫:০৪:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১

𝟝𝟚𝕓𝕒𝕟𝕘𝕝𝕒𝕥𝕧

[youtube]KH0G-1r8Xfs[/youtube]

 

ফল- ফসলের মৌসুম গ্রীষ্মে, বাংলার প্রকৃতিতে  ফলের  মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে যায়। গ্রামীনজনপদে ফল -ফসলের সহজলভ্যতায় বলতে গেলে কাঁচা -পাকা আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস সহ বাহারী   মৌসুমী ফলের রমরমা ব্যবসা এখন।

দেশের ‘প্রাকৃতিক ভূস্বর্গ ’ বলে খ্যাত সিলেটে এবারও  মৌসুমী ফল-ফলাদি  উৎপাদিত  হয়েছে ব্যাপক হারে।

সিলেটের বিভিন্ন হাটবাজারেও ফল-ফসলের প্রচুর  উপস্থিতি। তবে  সবচেয়ে বেশী বিক্রিত ও চাহিদার ফলের নাম কাঁঠাল। উচু-নিচু পাহাড়ি টিলা সমৃদ্ধ  সিলেট ও মৌলভীবাজারের  প্রত্যন্ত  অঞ্চলে  প্রায় প্রতিটি বাড়ি ও বাগানে ব্যাপকভাবে কাঁঠাল  উৎপাদিত  হয়। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায়   সিলেটে প্রায় প্রতিটি বাজারে এখন কাঁঠালের  উপস্থিতি।

বিভিন্নভাবে সিলেটে কাঁঠাল বিক্রি হয়। অনেকে বসতবাড়ীর কাঁঠাল, গাছেই কাঁচা অবস্থায় বিক্রি করেন স্থানীয় পাইকারের কাছে। অনেকে বাড়ীর নিজস্ব লোক দিয়ে বাজারে বিক্রি করেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা  ছোট  ব্যবসায়ীর ক্রয়কৃত বাগানের পাকা কাঁঠাল  কিনে হাট- বাজারে এনে বিক্রি করেন। তাই বাজারে  সপ্তাহে- সপ্তাহে কাঁঠালের দাম উঠা- নামা করে। ফলত প্রতি বছর ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে কাঁঠালের দাম নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়।

উঞ্চ অঞ্চলের কাঁঠাল সুমিষ্ট,  শক্ত ও সুগন্ধি হওয়াতে এর কদর আছে দেশ ব্যাপী। প্রধানত সিলেট বিভাগের   ভাটি অঞ্চল ও ঢাকার  বড় পাইকার এসব কাঁঠালের ক্রেতা।

সিলেটের  আম-কাঠাল মৌসুমে সামাজিকভাবে আত্নীয়-স্বজনদের বাড়ী ফল-ফলাদি উপহার দেয়ার ঐতিহ্য  আছে।স্থানীয়ভাবে এটাকে ‘আমকাঠালী’ বলা হয়। পুষ্টিগুনে ভরপুর কাঁঠাল কম-বেশী সকলে খেয়ে থাকেন। এছাড়াও সিলেটে কাঁঠালের  বীজ দিয়ে নানা পদের খাবারও বেশ জনপ্রিয়।কাঁচা কাঁঠাল দিয়েও তৈরী হয় সুস্বাদু তরকারী।পাকা কাঁঠালের শাস গবাদি পশুরও   প্রিয় খাদ্য ।

কৃষিতে বৈজ্ঞানের ছোয়ায় বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল চাষেও  সিলেটে এসেছে বিরাট সাফল্য । এখন ৫ থেকে সাত বছরের একটি কাঁঠাল গাছে ধরছে অসংখ্য কাঁঠাল। সাথে বাড়ছে এর বাণিজ্যিক চাষের সম্ভাবনাও।  সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নিকট আগামীতে কাঁঠাল এদতঅঞ্চলের মানুষের মুখে আরও বেশী হাসি ফুটাবে।