ঢাকা ০৫:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

আমিরাতে বাংলাদেশকে উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুস মিয়া চৌধুরী

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৬:৪০:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০
  • / 5401
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আলহাজ্ব মো. ইউনুস মিয়া চৌধুরী সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠিত এক ব্যবসায়ীর নাম। মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ দুপিঠেই যেন ভাগ্য বিধাতা  স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে এই মানুষটিকে ।

আমিরাতের শাসকদের আবাসস্থল বা জন্মভূমি  গ্রীন সিটি আল আইনে যার ব্যবসার পরিধি বিস্তৃত। একজন সুপ্রতিষ্ঠিত সৃজনশীল ব্যবসায়ী হিসেবে  শুধু আল-আইন নয়  আমিরাত জুড়ে ইউনুস মিয়া চৌধুরী এক ডায়নামিক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে যে কয়জন  বিল্ডিং মেটারিয়ালস ব্যবসায় অভাবনীয় সাফল্য এনেছেন  তারমধ্যে ইউনুস মিয়া চৌধুরী হল অন্যতম নাম ও উদাহরণ।

সময়ের পট পরিবর্তনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে অসংখ্য বড় ব্যবসায়ীর ছন্দ পতন ঘটলেও  ব্যবসায়িক সমীকরণে সঠিক ও সৃজনশীল ধারা বজায় রেখে  নিজের নামটি কে ব্র্যান্ডিং নামে পরিচিত করেছে  ইউনুস মিয়া চৌধুরী।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল আইনে যে প্রতিষ্ঠানের নামে তিনি নিজের নামটি উজ্জ্বল করেছেন তা হল- ইউনুস ট্রেনিং এস্টাবলিশমেন্ট। একটি ছোট্ট প্রতিষ্ঠান  থেকে যে প্রতিষ্ঠান  আজ সারা মিডল ইস্টে এক পরিচিত আর মহীরুহ  প্রতিষ্ঠানে পরিচিতি।

শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও নেতৃত্বে সমৃদ্ধ  বাংলাদেশের  উর্বর জনপদ  চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার এই কৃতি সন্তান  ভাগ্য পরিবর্তনের অন্বেষায় ১৯৭৯  সালে  সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছুটে এসেছিলেন। জীবনের স্বর্ণালী চল্লিশটি বছর  আমিরাতের মাটিতে কাটিয়ে দিলেও জীবনের স্বপ্ন পূরণের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে গেছেন  ইউনুস মিয়া চৌধুরী ।

রাউজান উপজেলার  ১৪ নং বাগোয়ান ইউনিয়নের গচ্ছি গাজী মুন্দার পাড়া গ্রামের মরহুম নবাব মিয়া চৌধুরী ও মরহুমা  রাশিদা খাতুনের  সুযোগ্য সন্তান ইউনুছ মিয়া চৌধুরী ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। কারিগরি শিক্ষায় পড়াশোনা শেষ করে  জীবনের লক্ষ্য পূরণে  হাজার  মাইল দূরে ১৯৭৯ সালে পাড়ি জমান মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধশালী দেশ আমিরাতে।

সর্বপ্রথম তিনি আবুধাবিতে এসে  গ্লোরিয়াস  ইলেকট্রিক সার্ভিসেস নামে  একটি কোম্পানিতে  দুই বছর চাকুরি করেন। তারপর শুরু হয়  নিজের স্বপ্ন পূরণের  পথ চলা। ১৯৮২ সালে এসে   ইলেকট্রিক্যাল কন্টাক্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি । তার প্রথম ব্যবসায়িক লাইসেন্স  ইউনুস  ইলেকট্রিক্যাল কন্ট্রাক্টিং  এস্টাবলিশমেন্ট । দীর্ঘদিন কন্ট্রাক্টিং জগতে  বিচরণের পর ১৯৯৪ সালে এসে তিনি ইউনুস ট্রেডিং এস্টাবলিশমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন। যে প্রতিষ্ঠানের নাম শুধু আলাইন নয় পুরো মধ্যপ্রাচ্যে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি ও গ্রাহকদের কাছে স্বীকৃতি পেয়েছে। সেই সাথে ব্যবসায়িক ইউনূসকেও নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়।

গ্রীন সিটি অনলাইনের  সানাইয়া এলাকায়  দুটি  বৃহৎ শো-রুম  ও পাঁচটি ওয়ারহাউজ মিলে  ৪২ জন কর্মচারী কাজ করছেন  ব্যবসায়ী  ইউনুছের প্রতিষ্ঠানে। দীর্ঘদিন ভিসা বন্ধ থাকার প্রেক্ষিতে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও  প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের জনবল বাড়ানো যায়নি বলে  মো. ইউনুছ মিয়া চৌধুরী জানান।এই ডায়নামিক ব্যবসায়ীর  আরো দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। একটি  প্রতিষ্ঠান হচ্ছে  সালতানাত অব ওমানে AJYAL  AL KHALIJ  ট্রেডিং এল এল সি  অপর প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে ইলিয়াছ মোহাম্মদ  ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডিং  এস্টাবলিশমেন্ট  আমিরাতের শিল্পনগরী আজমানে।

ইউনুস মিয়া চৌধুরী শুধু ব্যবসার  পেছনে ছুটে বেড়িয়েছেন তা নয়। নিজের পরিবারকে কিভাবে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা যায়  তা নিয়েও সংগ্রাম করেছেন  প্রবাস জীবনে। তাই এই ব্যবসায়ীর প্রতিটি সন্তান শিক্ষার আলো নিয়ে  দ্যুতি ছড়াচ্ছে বিশ্বময়। ইউনুস মিয়া চৌধুরী ১৯৮৫ সালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার সম্ভ্রান্ত পরিবার আবুল খায়ের সওদাগরের মেয়ে মোসাম্মৎ নুর নাহার চৌধুরীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পারিবারিক জীবনে নুর নাহার চৌধুরী ইউনুস মিয়া চৌধুরী কে  জীবনের লক্ষ্যে পূরণে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা যোগানোর পাশাপাশি  ছেলেমেয়েদের শিক্ষার প্রতি  ধাবিত করতে অবিরাম পরিশ্রম করেছেন।

তাই ৫টি সন্তানকে তারা যেমন শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছেন। তেমনি নিজ এলাকায় যেন শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়ে  সে ব্যাপারেও সচেতন ছিলেন  সব সময়।

রাউজানে তার নিজ এলাকায়  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইউনুস মিয়া চৌধুরী একটি শিক্ষিত প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

ইউনুস মিয়া চৌধুরীর ৫ছেলে-মেয়ের মধ্যে  বড় মেয়ে ডাক্তার মুন্নি বেগম  বর্তমানে লন্ডনের LEICESTER  কুইন এলিজাবেথ হসপিটালে নিয়মিত চিকিৎসক হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।একই হসপিটালে  পাশাপাশি সেবা দিয়ে যাচ্ছেন  ডাক্তার মুন্নির স্বামী ডাক্তার মোহাম্মদ হাসান।

ব্যবসায়ী ইউনুসের দ্বিতীয় সন্তান নুরুন্নবী চৌধুরী অস্ট্রেলিয়ার BRISBANE থেকে উচ্চ শিক্ষা শেষ করে বর্তমানে আল আইনে বাবার সাথে ইউনুস ট্রেডিং এস্টাবলিশমেন্টে জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা  করে যাচ্ছেন। নুর নবীর স্ত্রী  উম্মে হাবিবা ইউ এ ই ইউনিভার্সিটি থেকে একাউন্টিংয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করে ইউনুস ট্রেডিং এস্টাবলিশমেন্টের একাউন্টেন্ট  হিসেবে  দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

তৃতীয় সন্তান রুমি আক্তার, বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে মাস্টার্স করছেন কানাডার ওয়াটারলো  ইউনিভার্সিটিতে। ২০২০সালের আগস্টে  ইঞ্জিনিয়ার মোজাম্মেল হোসেন তানজিলের সাথে রুমি আক্তারের বিয়ে হয়। তানজিল কানাডায় পাওয়ার এনার্জি সেক্টরে  প্রকৌশলী হিসেবে  কাজ করছেন।

চতুর্থ সন্তান মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধূরী অল আইনে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনার পাশাপাশি  হিফজুল কোরআন সম্পন্ন করেন। পরে সাউথ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে  উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করে সালতানাত অব ওমানে AJYAL AL KHALIJ  ও  তার নিজের নামের প্রতিষ্ঠান  ইলিয়াস মোহাম্মদ  ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডিং এস্টাবলিশমেন্টের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। মোহাম্মদ ইলিয়াসের স্ত্রী আফসানা আক্তার  বর্তমানে  আবুধাবির ইউএই ইউনিভার্সিটিতে একাউন্টিং বিষয়ে পড়াশোনা  চালিয়ে যাচ্ছেন।

পঞ্চম সন্তান মরিয়াম বেগম : কানাডার GUELPH  ইউনিভার্সিটি থেকে  জেনারেল একাউন্টিং নিয়ে মাস্টার্স করছেন। আলহাজ্ব  ইউনুস মিয়া চৌধুরীর  শিক্ষিত স্বজন ও বর্ণাঢ্য পারিবারিক বন্ধন  সত্যিকার অর্থে একটি সুখী পরিবারের প্রতিষ্ঠিত  করেছে  সামাজিকভাবে।

সামাজিক দায়বদ্ধতাও  এড়িয়ে চলেননি   আলহাজ্ব  ইউনুস মিয়া চৌধুরী।  দেশে-বিদেশে সামাজিক ও  ধর্মীয় কর্মকান্ডে  নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন  উদারভাবে। নিরবে দান-দক্ষিণা করে যাচ্ছেন অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে। এলাকার নিম্নবিত্তদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য রয়েছে তার সরব উপস্থিতি। সাংগঠনিকভাবে বর্তমানে তিনি রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে  যাচ্ছেন। আগামীতে বাংলাদেশেও বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে এই ব্যবসায়ীর ।

তাছাড়া  অসহায় অবহেলিত মানুষের জন্য তিনি অচিরেই পরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এগিয়ে আসবেন বলে  উল্লেখ করেন আলহাজ্ব  ইউনুস মিয়া চৌধুরী।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আমিরাতে বাংলাদেশকে উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুস মিয়া চৌধুরী

আপডেট সময় : ০৬:৪০:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০

আলহাজ্ব মো. ইউনুস মিয়া চৌধুরী সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠিত এক ব্যবসায়ীর নাম। মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ দুপিঠেই যেন ভাগ্য বিধাতা  স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে এই মানুষটিকে ।

আমিরাতের শাসকদের আবাসস্থল বা জন্মভূমি  গ্রীন সিটি আল আইনে যার ব্যবসার পরিধি বিস্তৃত। একজন সুপ্রতিষ্ঠিত সৃজনশীল ব্যবসায়ী হিসেবে  শুধু আল-আইন নয়  আমিরাত জুড়ে ইউনুস মিয়া চৌধুরী এক ডায়নামিক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে যে কয়জন  বিল্ডিং মেটারিয়ালস ব্যবসায় অভাবনীয় সাফল্য এনেছেন  তারমধ্যে ইউনুস মিয়া চৌধুরী হল অন্যতম নাম ও উদাহরণ।

সময়ের পট পরিবর্তনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে অসংখ্য বড় ব্যবসায়ীর ছন্দ পতন ঘটলেও  ব্যবসায়িক সমীকরণে সঠিক ও সৃজনশীল ধারা বজায় রেখে  নিজের নামটি কে ব্র্যান্ডিং নামে পরিচিত করেছে  ইউনুস মিয়া চৌধুরী।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল আইনে যে প্রতিষ্ঠানের নামে তিনি নিজের নামটি উজ্জ্বল করেছেন তা হল- ইউনুস ট্রেনিং এস্টাবলিশমেন্ট। একটি ছোট্ট প্রতিষ্ঠান  থেকে যে প্রতিষ্ঠান  আজ সারা মিডল ইস্টে এক পরিচিত আর মহীরুহ  প্রতিষ্ঠানে পরিচিতি।

শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও নেতৃত্বে সমৃদ্ধ  বাংলাদেশের  উর্বর জনপদ  চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার এই কৃতি সন্তান  ভাগ্য পরিবর্তনের অন্বেষায় ১৯৭৯  সালে  সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছুটে এসেছিলেন। জীবনের স্বর্ণালী চল্লিশটি বছর  আমিরাতের মাটিতে কাটিয়ে দিলেও জীবনের স্বপ্ন পূরণের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে গেছেন  ইউনুস মিয়া চৌধুরী ।

রাউজান উপজেলার  ১৪ নং বাগোয়ান ইউনিয়নের গচ্ছি গাজী মুন্দার পাড়া গ্রামের মরহুম নবাব মিয়া চৌধুরী ও মরহুমা  রাশিদা খাতুনের  সুযোগ্য সন্তান ইউনুছ মিয়া চৌধুরী ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। কারিগরি শিক্ষায় পড়াশোনা শেষ করে  জীবনের লক্ষ্য পূরণে  হাজার  মাইল দূরে ১৯৭৯ সালে পাড়ি জমান মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধশালী দেশ আমিরাতে।

সর্বপ্রথম তিনি আবুধাবিতে এসে  গ্লোরিয়াস  ইলেকট্রিক সার্ভিসেস নামে  একটি কোম্পানিতে  দুই বছর চাকুরি করেন। তারপর শুরু হয়  নিজের স্বপ্ন পূরণের  পথ চলা। ১৯৮২ সালে এসে   ইলেকট্রিক্যাল কন্টাক্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি । তার প্রথম ব্যবসায়িক লাইসেন্স  ইউনুস  ইলেকট্রিক্যাল কন্ট্রাক্টিং  এস্টাবলিশমেন্ট । দীর্ঘদিন কন্ট্রাক্টিং জগতে  বিচরণের পর ১৯৯৪ সালে এসে তিনি ইউনুস ট্রেডিং এস্টাবলিশমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন। যে প্রতিষ্ঠানের নাম শুধু আলাইন নয় পুরো মধ্যপ্রাচ্যে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি ও গ্রাহকদের কাছে স্বীকৃতি পেয়েছে। সেই সাথে ব্যবসায়িক ইউনূসকেও নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়।

গ্রীন সিটি অনলাইনের  সানাইয়া এলাকায়  দুটি  বৃহৎ শো-রুম  ও পাঁচটি ওয়ারহাউজ মিলে  ৪২ জন কর্মচারী কাজ করছেন  ব্যবসায়ী  ইউনুছের প্রতিষ্ঠানে। দীর্ঘদিন ভিসা বন্ধ থাকার প্রেক্ষিতে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও  প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের জনবল বাড়ানো যায়নি বলে  মো. ইউনুছ মিয়া চৌধুরী জানান।এই ডায়নামিক ব্যবসায়ীর  আরো দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। একটি  প্রতিষ্ঠান হচ্ছে  সালতানাত অব ওমানে AJYAL  AL KHALIJ  ট্রেডিং এল এল সি  অপর প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে ইলিয়াছ মোহাম্মদ  ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডিং  এস্টাবলিশমেন্ট  আমিরাতের শিল্পনগরী আজমানে।

ইউনুস মিয়া চৌধুরী শুধু ব্যবসার  পেছনে ছুটে বেড়িয়েছেন তা নয়। নিজের পরিবারকে কিভাবে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা যায়  তা নিয়েও সংগ্রাম করেছেন  প্রবাস জীবনে। তাই এই ব্যবসায়ীর প্রতিটি সন্তান শিক্ষার আলো নিয়ে  দ্যুতি ছড়াচ্ছে বিশ্বময়। ইউনুস মিয়া চৌধুরী ১৯৮৫ সালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার সম্ভ্রান্ত পরিবার আবুল খায়ের সওদাগরের মেয়ে মোসাম্মৎ নুর নাহার চৌধুরীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পারিবারিক জীবনে নুর নাহার চৌধুরী ইউনুস মিয়া চৌধুরী কে  জীবনের লক্ষ্যে পূরণে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা যোগানোর পাশাপাশি  ছেলেমেয়েদের শিক্ষার প্রতি  ধাবিত করতে অবিরাম পরিশ্রম করেছেন।

তাই ৫টি সন্তানকে তারা যেমন শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছেন। তেমনি নিজ এলাকায় যেন শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়ে  সে ব্যাপারেও সচেতন ছিলেন  সব সময়।

রাউজানে তার নিজ এলাকায়  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইউনুস মিয়া চৌধুরী একটি শিক্ষিত প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

ইউনুস মিয়া চৌধুরীর ৫ছেলে-মেয়ের মধ্যে  বড় মেয়ে ডাক্তার মুন্নি বেগম  বর্তমানে লন্ডনের LEICESTER  কুইন এলিজাবেথ হসপিটালে নিয়মিত চিকিৎসক হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।একই হসপিটালে  পাশাপাশি সেবা দিয়ে যাচ্ছেন  ডাক্তার মুন্নির স্বামী ডাক্তার মোহাম্মদ হাসান।

ব্যবসায়ী ইউনুসের দ্বিতীয় সন্তান নুরুন্নবী চৌধুরী অস্ট্রেলিয়ার BRISBANE থেকে উচ্চ শিক্ষা শেষ করে বর্তমানে আল আইনে বাবার সাথে ইউনুস ট্রেডিং এস্টাবলিশমেন্টে জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা  করে যাচ্ছেন। নুর নবীর স্ত্রী  উম্মে হাবিবা ইউ এ ই ইউনিভার্সিটি থেকে একাউন্টিংয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করে ইউনুস ট্রেডিং এস্টাবলিশমেন্টের একাউন্টেন্ট  হিসেবে  দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

তৃতীয় সন্তান রুমি আক্তার, বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে মাস্টার্স করছেন কানাডার ওয়াটারলো  ইউনিভার্সিটিতে। ২০২০সালের আগস্টে  ইঞ্জিনিয়ার মোজাম্মেল হোসেন তানজিলের সাথে রুমি আক্তারের বিয়ে হয়। তানজিল কানাডায় পাওয়ার এনার্জি সেক্টরে  প্রকৌশলী হিসেবে  কাজ করছেন।

চতুর্থ সন্তান মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধূরী অল আইনে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনার পাশাপাশি  হিফজুল কোরআন সম্পন্ন করেন। পরে সাউথ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে  উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করে সালতানাত অব ওমানে AJYAL AL KHALIJ  ও  তার নিজের নামের প্রতিষ্ঠান  ইলিয়াস মোহাম্মদ  ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডিং এস্টাবলিশমেন্টের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। মোহাম্মদ ইলিয়াসের স্ত্রী আফসানা আক্তার  বর্তমানে  আবুধাবির ইউএই ইউনিভার্সিটিতে একাউন্টিং বিষয়ে পড়াশোনা  চালিয়ে যাচ্ছেন।

পঞ্চম সন্তান মরিয়াম বেগম : কানাডার GUELPH  ইউনিভার্সিটি থেকে  জেনারেল একাউন্টিং নিয়ে মাস্টার্স করছেন। আলহাজ্ব  ইউনুস মিয়া চৌধুরীর  শিক্ষিত স্বজন ও বর্ণাঢ্য পারিবারিক বন্ধন  সত্যিকার অর্থে একটি সুখী পরিবারের প্রতিষ্ঠিত  করেছে  সামাজিকভাবে।

সামাজিক দায়বদ্ধতাও  এড়িয়ে চলেননি   আলহাজ্ব  ইউনুস মিয়া চৌধুরী।  দেশে-বিদেশে সামাজিক ও  ধর্মীয় কর্মকান্ডে  নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন  উদারভাবে। নিরবে দান-দক্ষিণা করে যাচ্ছেন অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে। এলাকার নিম্নবিত্তদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য রয়েছে তার সরব উপস্থিতি। সাংগঠনিকভাবে বর্তমানে তিনি রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে  যাচ্ছেন। আগামীতে বাংলাদেশেও বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে এই ব্যবসায়ীর ।

তাছাড়া  অসহায় অবহেলিত মানুষের জন্য তিনি অচিরেই পরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এগিয়ে আসবেন বলে  উল্লেখ করেন আলহাজ্ব  ইউনুস মিয়া চৌধুরী।