সৌদি আরবের রয়েল কমিশন জুবাইলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফা আল মাহদী এর সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম ১৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জুবাইল রয়েল কমিশনে বৈঠক করেন।
এ সময় রয়েল কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান এস এম আনিসুল হক, ইকোনমিক মিনিস্টার ড আবুল হাসান, ইকোনমিক কাউন্সেলর মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান ও প্রথম সচিব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
রয়েল কমিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাষ্ট্রদূতকে তাঁর কার্যালয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। তিনি সৌদি আরবে বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশি অভিবাসি শ্রমিকদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত ড মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী রয়েল কমিশনের আধুনিক পরিকল্পনা ও বিনিয়োগ বিষয়ে লব্ধ অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন BIDA, BEPZA ও BEZA এর সাথে বিনিময় করার আহবান জানালে প্রধান নির্বাহী তাতে সম্মতি প্রদান দেন।
এসময় দুদেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে যোগাযোগ ও পরিদর্শন বৃদ্ধির বিষয়েও রাষ্ট্রদূত রয়েল কমিশনের প্রধান নির্বাহীকে অনুরোধ করেন। রাষ্ট্রদূত সৌদি ব্যাবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনুরোধ জানান।
রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বাংলাদেশের দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মানবসম্পদ তৈরি করার লক্ষ্যে রয়েল কমিশনের সহায়তা কামনা করেন। তিনি রয়েল কমিশনের আওতায় থাকা টেকনিক্যাল ইন্সটিউটিউটে বাংলাদেশি ছাত্রদের প্রশিক্ষনের জন্য বৃত্তির অনুরোধ জানান।
এসময় তিনি সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে ভোকেশনাল ট্রেনিং ও টেকনিক্যাল স্কিল সার্টিফিকেশন এর জন্য সহযোগিতার অনুরোধ জানান। সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের দক্ষ মানবসম্পদ ভুমিকা রাখতে পারবে বলে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূত ড মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী রয়েল কমিশনের প্রদর্শন কক্ষ ঘুরে দেখেন। রয়েল কমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ এর ইতিহাস ও উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। সৌদি আরবের তেল উৎপাদন ও বিপণনের জন্য দীর্ঘদিন থেকে জুবাইল রয়েল কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। এছাড়া জুবাইলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কোম্পানির ব্যাবসা ও বিনিয়োগ রয়েছে।
এরপর রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী রয়েল কমিশনের আওতাধীন জুবাইল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট পরিদর্শন করেন। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, এ ইন্সটিটিউটের আধুনিকায়ন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান সমূহের উন্নয়নেও ভুমিকা রাখবে।