রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই- বহুল উচ্চারিত কথাটি ইদানিং নতুন মাত্রা পেয়েছে। এটি এখন অসংখ্য মানুষের কাছে – নেহায়েত গালির মতো। শুনতে যেমন ঘেন্না লাগে, বলতেও তেমনি।
এনড্রিয়ড টেকনোলজি আবিস্কারের পরের ইন্টারনেট দুনিয়ায় কনসেপ্ট ও কনটেন্ট ক্রিয়েটররা যেমন বহুলাংশে বদলিয়ে দিয়েছে মানুষের চিন্তা-চেতনার দুনিয়া। তেমনি, পৃথিবীব্যাপী রাস্ট্রবিধাতারা কথা বলার বহু সেন্সরশীপ বা আইনী নীতিমালা তৈরী করেও ‘কথা বলার স্বাধীনতা’- রোধ করতে এখনও সম্ভব হয়নি।
বলতে গেলে এখানেই অগণন সাধারণ মানুষ –যারা প্রতিদিন অন্যায়- অবিচার, লাঞ্চনা-বঞ্চনা ইত্যাদি দেখে-শুনে-হজম করে দিন পার করছেন; তাদেরই বিজয় হয়েছে।
এনড্রিয়ড টেকনোলজির বদৌলতে এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ অন্তত সামাজিক যোগাযোগে নিজের ক্রোধ,ক্ষোভ, ঘৃণা, হতাশা, তামাশা ইত্যাদি অনুভূতি শেয়ার করতে পারেন ।
এবং আলোর দিকটি হলো- এইসব অনাচার-অবিচার-ভন্ডামির কোন কিছু দেখলে- মন্তব্য ও প্রতি-মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগে কনন্টেন্ট বা ছবিটি দ্রুত ভাইরাল করে মূলত এর বিরুদ্ধে জাগরণ সৃষ্টি করছেন -এই অগণন সাধারণ মানুষই ।
নিজের অদম্য চেষ্টায় একজন হিরো আলম যখন তৃণমূল মানুষের চোখে সত্যিকার হিরো হয়ে ওঠেন। তখন সমাজের তথাকতিত ‘এলিট সিস্টেম’ ব্যবস্থার অন্যতম কুশীলব রাজনীতিবিদদের মাথা,মণ্ডু আউলা -ঝাউলা হয়ে যেতে দেখে- বিবেকের দায়বদ্ধতায় এসব ঘৃণা করতেও লজ্জাবোধ হয়।
অথচ যুগের পর যুগ এরাই আমাদের ভোটে নির্বাচিত হয়। খেটে খাওয়া ভোটার ও সাধারণ রাজনৈতিক কর্মীদের রক্ত মাড়িয়ে দিব্যি সংসদে যায়- এরাই।
দৃশ্যপটের ওপারে দাড়িয়ে – বিরোধীরাও আবার আমাদের স্বপ্ন দেখানোর খেলায় দর্শক বানায়। আর আমরাও নাচি। বার বার এলিয়ে দুলিয়ে নাচি। ভোটের ব্যালটে বার বার ভুলে যাই- অপমান, বঞ্চনা,লাঞ্চনা। প্রিয়জন হারানোর বিয়োগ ব্যাথাও উবে যায়- বেশ্যাবিদদের আবেগি কথায়।
সামাজিক এই দৌরাত্মে, ঘোর অমানিশা সময়েও আমরা আশা নিয়েই বাঁচতে চাই- তথাকতিত ‘এলিট সিস্টেম’ একদিন নিপাত যাবেই। ৫২ ও ৭২ এর মতো বোধের আলোয় জাগবে অগণন মানুষ।
আ নো য়া রু ল ই স লা ম অভি , কবি, সাংবাদিক
লন্ডন ,যুক্তরাজ্য।
পাঁচ দুই দুই হাজার তেইশ