­
­
বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাফলং ঘুরতে গিয়ে পানিতে ডুবে প্রাণ গেলো কিশোরের  » «   ১৭ বছর পরে জাতীয় ঈদগাহের ঈদ জামাতে সরকারপ্রধান  » «   ঈদ আসে, গাজায় আনন্দ আসে না  » «   এপ্রিলের মাঝামাঝি দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া  » «   মিয়ানমারে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পরও হামলা চালাচ্ছে জান্তা বাহিনী  » «   ঈদযাত্রা: শুক্র ও শনিবার ঢাকা ছেড়েছে ৪১ লাখ সিমধারী  » «   তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ‘ইতিবাচক’, মোংলায় আরেকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে চায় চীন  » «   মিয়ানমারে কেন এত বড় বিধ্বংসী ভূমিকম্প, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?  » «   বাংলাদেশে সাজাপ্রাপ্ত উগ্রবাদীদের মুক্তি নিরাপত্তার জন্য ‘মারাত্মক উদ্বেগের’: ভারত  » «   চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে ঈদ রবিবার  » «   এনসিপি: অম্ল-মধুর একমাস পার, ভোটের পথে প্রস্তুতি কতদূর?  » «   চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে, ফায়ার সার্ভিসের সতর্কতা  » «   মিয়ানমারে ভূমিকম্প: মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে  » «   এশিয়ার দেশগুলোর ‘যৌথ সমৃদ্ধির পথরেখা’ চাইলেন ইউনূস  » «   বাংলাদেশের কাছে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র  » «  

বেশ্যাবিদদের ‘এলিট সিস্টেম’!



রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই- বহুল উচ্চারিত কথাটি ইদানিং  নতুন মাত্রা পেয়েছে। এটি  এখন অসংখ্য মানুষের কাছে – নেহায়েত গালির মতো। শুনতে যেমন ঘেন্না লাগে, বলতেও তেমনি।

এনড্রিয়ড টেকনোলজি  আবিস্কারের   পরের  ইন্টারনেট দুনিয়ায়  কনসেপ্ট  ও  কনটেন্ট ক্রিয়েটররা  যেমন  বহুলাংশে বদলিয়ে দিয়েছে মানুষের চিন্তা-চেতনার দুনিয়া। তেমনি, পৃথিবীব্যাপী  রাস্ট্রবিধাতারা  কথা বলার বহু সেন্সরশীপ বা আইনী নীতিমালা তৈরী করেও  ‘কথা বলার স্বাধীনতা’- রোধ  করতে এখনও সম্ভব হয়নি।

বলতে গেলে এখানেই  অগণন সাধারণ মানুষ –যারা প্রতিদিন অন্যায়- অবিচার, লাঞ্চনা-বঞ্চনা ইত্যাদি দেখে-শুনে-হজম করে দিন পার করছেন; তাদেরই বিজয় হয়েছে।

এনড্রিয়ড টেকনোলজির বদৌলতে এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ অন্তত সামাজিক যোগাযোগে নিজের  ক্রোধ,ক্ষোভ, ঘৃণা, হতাশা, তামাশা ইত্যাদি  অনুভূতি শেয়ার করতে পারেন ।

এবং আলোর দিকটি হলো- এইসব অনাচার-অবিচার-ভন্ডামির কোন কিছু দেখলে- মন্তব্য ও প্রতি-মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগে কনন্টেন্ট বা ছবিটি দ্রুত ভাইরাল করে মূলত এর বিরুদ্ধে জাগরণ সৃষ্টি করছেন -এই  অগণন সাধারণ মানুষই ।

নিজের অদম্য চেষ্টায় একজন হিরো আলম যখন তৃণমূল মানুষের চোখে সত্যিকার হিরো  হয়ে ওঠেন। তখন সমাজের তথাকতিত ‘এলিট সিস্টেম’ ব্যবস্থার  অন্যতম  কুশীলব  রাজনীতিবিদদের মাথা,মণ্ডু আউলা -ঝাউলা হয়ে যেতে দেখে- বিবেকের দায়বদ্ধতায়  এসব  ঘৃণা করতেও  লজ্জাবোধ হয়।

অথচ যুগের পর যুগ এরাই আমাদের ভোটে নির্বাচিত হয়।  খেটে খাওয়া  ভোটার ও সাধারণ রাজনৈতিক কর্মীদের রক্ত মাড়িয়ে দিব্যি সংসদে যায়- এরাই।

দৃশ্যপটের  ওপারে দাড়িয়ে – বিরোধীরাও আবার  আমাদের  স্বপ্ন দেখানোর খেলায়  দর্শক বানায়। আর আমরাও  নাচি।  বার বার এলিয়ে দুলিয়ে নাচি। ভোটের ব্যালটে বার বার ভুলে যাই- অপমান, বঞ্চনা,লাঞ্চনা। প্রিয়জন হারানোর বিয়োগ ব্যাথাও উবে যায়- বেশ্যাবিদদের আবেগি কথায়।

সামাজিক এই দৌরাত্মে, ঘোর অমানিশা সময়েও আমরা  আশা নিয়েই বাঁচতে চাই- তথাকতিত ‘এলিট সিস্টেম’ একদিন নিপাত যাবেই। ৫২ ও ৭২ এর মতো বোধের আলোয় জাগবে অগণন মানুষ।

আ নো য়া রু ল  ই স লা ম  অভি , কবি, সাংবাদিক

লন্ডন ,যুক্তরাজ্য।

পাঁচ দুই দুই হাজার তেইশ

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

"এই বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব " -সম্পাদক

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন