সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কাজী আব্দুল ওয়াদুদ আলফু মিয়া।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিবুন নাহারের কাছে একই পদে আলফুর প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে তার স্ত্রী সুলতানা আক্তারও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আলফু মিয়াএকটি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হওয়ায় স্ত্রীকে ডামি প্রার্থী করা হয়েছে। স্বামী-স্ত্রী চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় উপজেলাজু্ড়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে । নানা কারণে আলফু এলাকায় আলোচিত এক নাম। এ ইউনিয়নে মোট পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আব্দুল ওয়াদুদ আলফু মিয়া টানা দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে তিনি জয়ী হন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে এবারও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবদুল ওয়াদুদ আলফু মিয়া জানান, স্বামী-স্ত্রী দুইজন মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও নির্বাচনে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নির্বাচন করবো না।
তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে জানিয়ে আলফু বলেন, ‘কৌশলগত কারণে আমার স্ত্রীকে ডামি প্রার্থী করিয়েছি। গতবার জেলে থাকা অবস্থায়ও আমি জয় পেয়েছিলাম। মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে যদি আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়, তাহলে আমার স্ত্রী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।’
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক -সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি নিজে প্রার্থী আবার স্ত্রীকেও প্রার্থী করা সম্পূর্ণ অনৈতিক। যেকোনো মূল্যে হোক, ক্ষমতায় থাকতেই হবে -এমন মানসিকতা থেকেই স্বামী-স্ত্রী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এটি ক্ষমতায় যাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা ছাড়া আর কিছু নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।