মৌলভীবাজারের বড়লেখার বনাখালাপুঞ্জির খাসিয়াদের পানজুম দখলমুক্ত করেছে প্রশাসন। ৪জুন ,শুক্রবার দুপুরে ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) নূসরাত লায়লা নীরার নেতৃত্বে জেলা পুলিশ ও থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক দখলকৃত পানজুম দখলমুক্ত করেছে।
জানা গেছে, উপজেলার ছোটলেখা চা-বাগানের অর্ন্তগত বনাখালা পুঞ্জির ৩টি পানজুম ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবীতে ২৮ মে বোবারথল এলাকার আব্দুল বাছিত, পিচ্চি আমির, লেছই মিয়ার নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে দখল করে সেখানে অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে। এ ঘটনায় ৩০ মে পুঞ্জির নারী মন্ত্রী (পুঞ্জি প্রধান) নরা ধার ও ছোটলেখা বাগানের প্রধান টিলা করণিক দেওয়ান মাসুদ থানায় পৃথকভাবে দুটি মামলা করেন।
ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী জানান, জেলা পুলিশ ও থানা পুলিশের একটি চৌকস দল নিয়ে ছোটলেখা চা বাগানের বনাখালা পানপুঞ্জিতে তিনি অভিযান পরিচালনা করেন। খাসিয়াদের পানপুঞ্জির অবৈধ দখলদারদের সমূলে উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূসরাত লায়লা নীরা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওছার দস্তগীর বড়লেখা থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, ওসি (তদন্ত) রতন দেবনাথ প্রমুখ অভিযানে অংশ নেন। খাসিয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত ও অধিকার রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন সদা তৎপর।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কাউসার দস্তগীর জানান, ‘২৮ মে পানজুম দখলের ঘটনায় খাসিয়া ও বাগান কর্তৃপক্ষ পৃথক দুটি মামলা করেন। জুম দখলের মামলায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে জুমের জায়গা বাগান ও খাসিয়াদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় যাতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে এ জন্য নজরদারি রয়েছে। এছাড়া মামলার আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
বনাখালাপুঞ্জির মন্ত্রী (হেডম্যান) মামলার বাদী নরা ধার জানান, উপজেলা প্রশাসনের গতিশীল ও কার্যকর ভূমিকায় খাসিয়ারা সন্তেুাষ্ট। পানজুম দখলের ঘটনায় পুলিশ মাত্র দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। তিনি অবিলম্বে অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানান।