সৌদি আরবের রিয়াদে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম এম পি বলেন, ”জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে আদর্শে বিশ্বাস করতেন, বাংলার নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের মুখে তিনি যে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন, যে ক্ষুধা দারিদ্র্য মুক্ত আলোকিত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন, সে লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়াই হবে আমাদের আজকের দিনের সার্থকতা।”
মোঃ শাহরিয়ার আলম বলেন, ”১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু মাত্র ৫১ বছর বয়সে যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন তাতে তিনি নিরস্ত্র সাধারণ মানুষকে মহান মুক্তিযুদ্ধে উদ্দীপ্ত করে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালিকে মুক্তির মন্ত্রে দীক্ষিত করে এক কাতারে নিয়ে এসেছিলেন। এজন্য এ ভাষণকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ভাষণ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে ইউনেস্কো এ ভাষণকে পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ দালিলিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে যা আমাদের জন্য বিরল সন্মান বয়ে এনেছে।” এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কো তাঁদের ওয়েবসাইটে এ ঐতিহাসিক ভাষণ কার্যকরভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিল বলে উল্লেখ করেছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম এমপি এর আগে দূতাবাসে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকালে দিবসটি উপলক্ষে পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী।
দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির মুক্তিদাতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে মুক্তিকামী লাখো জনতার সামনে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার ডাক দেন। এই দিনে বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালি জাতির ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ মহাকাব্যটি রচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সৌদি আরবে বসবাসরত সকল বাংলাদেশীকে যার যার অবস্থান থেকে দেশের জন্য কাজ করার আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান রাষ্ট্রদূত। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীরা যোগ দিয়ে দিবসটির তাৎপর্য উল্লেখ করে বক্তব্য প্রদান করেন।