হবিগঞ্জের বানিয়াচং বড়বাজারের ওয়ালটন শো রুমের এক ব্যাবসায়ীর দোকানে স্ত্রী’র দাবী নিয়ে অনশন করেছে এক যুবতী।
ঐ ব্যাবসায়ী হলেন বড়বাজার ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে পরাজিত সভাপতি প্রার্থী পুরানবাগ মহল্লার মৃত ময়না মিয়ার পুত্র মতিউর রহমান।
এবং অনশনকারী যুবতি কন্যা হলো যাত্রাপাশা মহল্লার হাজী উমর মাস্টারের কন্যা শিরিন বেগম।
ঘটনাটি ঘটেছে ৫মার্চ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায়।
বিভিন্ন সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়,মতিউর রহমান দক্ষিন যাত্রাপাশা গ্রামের মৃত নুর মিয়ার কন্যাকে বিয়ে করেন এবং তার একটি কন্যা ও পুত্র সন্তান রয়েছে।
ঐ এলাকায় বিয়ে করা এবং শশুরালয়ে যাতায়াতের সুবাদে কু-নজর পড়ে শিরিনের উপর।
চতুর চালাক মতিউর রহমান বিভিন্ন প্রলোভন দেখীয়ে এক পর্যায়ে শিরিনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং তাদের বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে
মতিউরের দুটি সন্তান থাকার পরও তাহার অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি তার স্রী শশুর বাড়ির লোকজন।
তাই মতিউর রহমানকে এই রাস্তা থেকে ফেরাতে না পারায় তার সন্তানদের নিয়ে পিত্রালয়ে চলে যায় তার প্রথম স্ত্রী।
এদিকে মতিউর রহমান আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং বিভিন্ন জায়গায় এমন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে।
মতিউর রহমান আমীরখানী মহল্লায় এবং দত্তপাড়া মহল্লার এক প্রবাসীর স্ত্রী’র সাথেও এমন অবৈধ সম্পর্ক করে যাতায়াত করে আসছে বলেও আজ এই বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে তার অন্যসব বিষয় নিয়ে লোকমুখে আলাপ আলোচনা করতে শুনা যায়।
শিরিন বেগমের এমন অবস্থান দেখে এবং এই বিষয়টি বাজারের ব্যাবসায়ীবৃন্দ ও আগতদের মধ্যে জানাজানি হলে এই দোকানের সামনে শত,শত লোকজন জুড়ো হতে থাকেন।
কিন্তু মতিউর রহমান শিরিন বেগমকে স্ত্রী’র মর্যাদা না দিয়ে উল্টো শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করেন বলেও অভিযোগ করে তার সাথে আসা সহযোগীরা।
খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ মতিউর ও শিরীনকে রাতে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।
জানা যায়, মতিউর ও শিরীন একই ক্লাসে পড়াশোনা করতেন। স্কুল জীবন শেষ করে মতিউর অন্যত্র বিয়ে করেন। তার ৩ টি সন্তানও হয়। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর মতিউর শিরীনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন।
এরই সুবাধে গত ২৩ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার মতিউর সন্ধার পর শিরীনদের বাড়িতে যান। ওই সময় প্রেমিকা শিরীন প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাকে বিয়ে করতে বলেন।মতিউর এতে রাজী না হলে তাকে আটক করে রাখেন শিরীন।পরদিন স্থানীয় মৌলানা দিয়ে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। কিন্তু মতিউর রহমানের ১ম স্ত্রী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোক নিয়ে ওইখান থেকে তার স্বামীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
বাড়িতে এসে শিরীনের সাথে মতিউর যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ায় শুক্রবার তার দোকানে এসে স্ত্রীর মর্যাদা চান শিরীন। এতে তিনি রাজী না হলে দোকানেই অনশন শুরু করেন তিনি।
এ খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে শত শত জনতা বড়াবজারের ওয়ালটন দোকানের সামনে ভীর জমান। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই আব্দুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স দুজনকেই থানায় নিয়ে যান।