চলমান মামলা নিয়ে গণমাধ্যমে রিপোর্ট করতে বাধা নেই জানিয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তবে মামলা হয়েছে কিন্তু কার্যক্রম চলছে না সেটা নিয়ে মতামত দেয়া যাবে না।
রোববার (১৯ মে) সচিবালয়ে সুইজারল্যান্ড ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘ ও ইউএনডিপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
বিচারাধীন বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ নয়- সুপ্রিম কোর্টের এমন নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের একটি বিষয় পরিষ্কার বলতে চাই, সাব-জুডিস (বিচারাধীন মামলা) কথাটার একটা অর্থ আছে। সাব জুডিস বলতে আমি যেটা বুঝি সেটা আগে বলি, এরপর ওটা পরিষ্কার করি। সাব-জুডিস হচ্ছে- এমন মামলা, যেটা বিচারাধীন আছে। কিন্তু বিচার কার্যক্রম চলছে না। মামলা যেটা বিচারাধীন আছে, কিন্তু বিচার কার্যক্রম চলছে না এমন মামলার ব্যাপারে মতামত দেয়ার বিষয়টিই বলেছেন সুপ্রিম কোর্ট। তারা বলেছেন- এই ব্যাপারে মতামত না দিতে।’
তিনি বলেন, ‘একটা মামলা চলছে, সেটার ব্যাপারে রিপোর্টিং বন্ধ করতে- আমার মনে হয় না, সুপ্রিম কোর্ট এই কথা বলেছে। আপনারা মামলার রিপোর্টিং করতে পারেন, তবে যে মামলাটা বিচারধীন আছে সেই মামলাটা নিয়ে আপনারা মতামত দেন তাহলে যেটা হবে সেটা হচ্ছে- মিডিয়াতেই একটা ট্রায়াল হয়ে যাবে। বিজ্ঞ বিচারক বা বিচারপতির এই ব্যাপারে একটু চাপ সৃষ্টি হয় সেজন্য তারা এই কথাটা বলেছেন।’
আনিসুল হক বলেন ‘আমি যে বিষয়টি অত্যন্ত পরিষ্কার করে দিতে চাই। রিপোর্টিং আর মতামত আলাদা করতে হবে। আলাদাভাবে দেখতে হবে।’মন্ত্রী বলেন, ‘যে মামলা চলছে সেই মামলার রিপোর্টিং করতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু যে মামলা কার্যক্রম চলছে না কিন্তু একটা মামলা আছে, এই মামলার বিষয়ে কোনো মতামত দেয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।’তিনি বলেন, ‘ওনারা (বিচারপতি) আমাদের ডিরেক্টলি বলেননি। আমি ওনাদের কথা থেকে এটা বুঝেছি।’
সুপ্রিম কের্টের বিজ্ঞপ্তিতে কিন্তু এভাবে বলা নেই- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ওনাদের ওখানে তো আনিসুল হক নামে কোন ল’ইয়ার ছিল না’ – বলেই হেসে ফেলেন মন্ত্রী।
এরপর তিনি বলেন, ‘কিন্তু মর্মার্থ হলো এটাই। আমি যা বললাম। আপনারা যদি মনে করেন এটার ব্যাপারে আপিল বিভাগের সুস্পষ্ট মতামত চান, আপিল বিভাগকে জিজ্ঞাসা করুন। আমার মনে হয়, আমি যা বললাম ওনারা তাই বলবেন। কারণ ওনারা কোর্টে যে কথা বলেছেন, সেই কথা যেটা আমার কানে এসেছে সেই কথায় আমি এইটুকুই বুঝেছি।’