আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে শ্রমিকদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দেয়ার লক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহের আল সাজ্জা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়াতে আয়োজন করা হয় শ্রমিক মেলার। শারজাহ সরকারের উদ্যোগে ও ইভেনটাইডস কোম্পানির সহযোগিতায় এই ৪ দিন ব্যাপী শ্রমিক মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পহেলা মে থেকে ৪ তারিখ সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এই মেলা। মেলায় প্রতিদিন শারজাহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে সব দেশের প্রবাসিদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।
বিনামূল্যে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান, শ্রমিকদের নিকট শ্রম বা শ্রমিক ও ইমিগ্রেশনের নিয়ম কানুন সম্পর্কে ধারণা প্রদান, বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক ও সমসাময়িক বিষয়ে সচেতনতামূলক পরামর্শ, প্রজেক্টের শো, সবাইকে নিয়ে বিনোদনমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেলার সমাপ্তি করা হয়। ছিলো খাবার ও বিভিন্ন সেবা প্রদানের জন্যে স্টল। প্রতিদিন লটারী তে নানা পুরস্কার জিতেন শ্রমিকেরা। শ্রমিক মেলার মূল উদ্দেশ্য ছিল শ্রমিকদের আনন্দ ও পরামর্শ প্রদান করা এবং সাথে শ্রম মান ও উন্নত করা।
৪ দিন ব্যাপী শ্রমিক মেলায় দেখা যায়, বাংলাদেশি, ভারতীয়, পাকিস্তানী ও নানা দেশের শ্রমিকদের ভিড়। আর নানা দেশি-বিদেশী শিল্পীদের পরিবেশনা সকল শ্রমিকদের মন কাড়ে। অন্যান্য দিন সব দেশের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার থাকলেও মেলার চতুর্থ দিন বাংলাদেশের হয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন সংহতি আমিরাত। এতে পুঁথি পাঠ করেন সংহতি আমিরাতের সাধারণ সম্পাদক ও ছড়াকার লুৎফুর রহমান, গান পরিবেশন করেন সদস্য ও সংগীতশিল্পী শিপন কর্মকার। বাংলাদেশের ঢোলের আওয়াজে মেলা মাতান রাধা কান্ত ও দোতারার শুরে মন কাড়েন অসিত দাস। সব শেষে হুমায়ুন আহমেদ এর ঘেটু পুত্র কমলার একটি গানে নাচ পরিবেশন করেন সংহতির সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা ও নৃত্যশিল্পী তিশা সেন।
কাজ শেষে সবাই দল বেঁধে চলে আসে মেলায়, আর দিনের খাটনি শেষে ফিরে যায়, মুখে হাসি নিয়ে। এতেই আসল সফলতা খুঁজে পেয়েছেন বলে জানান ইভেন্ট কোম্পানির প্রধান য়াজির হামিদ।
সহনশীলতার বছর বা ‘ইয়ার অফ টলারেন্স’ কে সামনে রেখে প্রতিবছর এমন করে শ্রমিক মেলার আয়োজন করার ইচ্ছা আছে বলে জানান সরকারি কর্মকর্তারা।