চমকের সাথেই অবশেষে ঘোষনা করা হলো ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাংলাদেশ স্কোয়াড। ২০১১ বিশ্বকাপের আগে পায়ের ইনজুরিতে পড়া মাশরাফির মতো চোখের পানি ফেলতে হলো বাংলাদেশের স্পিড মাস্টার তাসকিনকেও। সেবার যখন ম্যাশ ছাড়া বাংলাদেশ দল ঘোষণা করা হয়, তারপরই মিরপুরে বিসিবি একাডেমি মাঠে দলে জায়গা না পাওয়ার দুঃখে কেঁদে ছিলেন এখনকার স্কোয়াড ক্যাপ্টেন মাশরাফি। ঘন ঘন ইনজুরি প্রবণ সময়ের ভেতর দিয়ে যাওয়ার জের ধরেই কোচ জেমি সিডন্স মাশরাফিকে দলে রাখেননি সেসময়।
যদিও ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলার মতো তখন যথেষ্ট সুস্থ এবং ফিট হয়ে উঠেছিলেন দেশের সেরা এই পেসার। এজন্যে অনেক তর্ক বিতর্কেরও সৃষ্টি হয় পুরো ম্যানেজমেন্ট এ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও ছড়িয়ে পড়তে থাকে ভক্তদের আহাজারি।
তাসকিনের মতো ম্যাশের কান্নাও সেদিন ছুঁয়ে গিয়েছিল বিসিবি একাডেমি মাঠে উপস্থিত সব সাংবাদিককে। পরে মাশরাফির চোখের পানির সঙ্গে মিশে গিয়েছিল লক্ষ ভক্ত আর শুভাকাঙ্খিদের চোখের পানি।
অত:পর ২০১৫ বিশ্বকাপ! মাশরাফি হলেন অধিনায়ক। নতুন বল হাতে তার সঙ্গী হলেন আরেকজন তরুণ, এক্সপ্রেস বোলার তাসকিন আহমেদ। যিনি ততদিনে দেশসেরা স্পিড মাস্টারের খাতি অর্জন করে নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গতির ঝড় তুলেছিলেন তিনি। উইকেট নেয়ার উল্লাসে মাশরাফির সঙ্গে তাসকিনের সেই চেস্ট বাম্প সবার হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।
২০১১ বিশ্বকাপে ম্যাশ ছিটকে পরার আট বছর পর আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। তবে এবার মাশরাফির জায়গায় তাসকিন। বিশ্বকাপের দলে সুযোগ না পাওয়ার কষ্টে নিজে কেঁদে তিনিও যেন কাঁদালেন তার লক্ষ কোটি সমর্থককে।
১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর বিসিবির প্রেস কনফারেন্স হলে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। ১৫ সদস্যের সেই দলে তাসকিন আহমেদের পরিবর্তে জায়গা পেয়েছেন পেসার আবু জায়েদ রাহী।
বিশ্বকাপের আগে অনেকেরই ধারণা ছিল মাশরাফি রুবেলদের সঙ্গে চতুর্থ পেসার হিসেবে জায়গা মিলবে তাসকিনের। কিন্তু ইনজুরি তাকে সেই যে বাইরে ঠেলে দিলো, যা থেকে বিশ্বকাপের আগে ফেরাই হলো না তার।