প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের চাকা সচল রাখেন কিন্তু বাংলাদেশের সবকটি বিমানবন্দরে প্রবাসীদের সবচেয়ে বেশী হয়রানির শিকার হতে হয়। আমিরাত থেকে অন্যদেশের বিমানের দৈনিক তিনটা করে ঢাকায় যাতায়াত করে সেখানে বাংলাদেশ বিমানের একটি মাত্র ফ্লাইট থাকায় প্রবাসীদের বাংলাদেশ বিমানে টিকেট পেতে হিমশীম খেতে হয়। দ্রুত সিলেটে বাংলাদেশ বিমান ছাড়া আমিরাত থেকে অন্য ফ্লাইট পরিচালনা করার সুযোগ করে দিতে হবে। আরব আমিরাতে এমন দাবি করেছেন হবিগঞ্জ জেলার প্রবসীরা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী এমপির সাথে হবিগঞ্জবাসীর শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব দাবি জানান বক্তারা। বুধবার শারজাহের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে হবিগঞ্জ ইউনিটি সংযুক্ত আরব আমিরাত কেন্দ্রীয় কমিটি এ সভার আয়োজন করে।
হবিগঞ্জ ইউনিটি সংযুক্ত আরব আমিরাত কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী তৈয়ব আলী তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ এমরান উল্লাহ ও সিনিয়র সহ সভাপতি সালেহ আহমদের যৌথ পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী এমপি। সম্মানিত অতিথি ছিলেন মিসেস শামীমা জাফরিন মাহবুব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রবাসীরা দেশের সূর্য সন্তান। কথা দিচ্ছি, এয়ারপোর্টে গিয়ে আপনারা আর হেনস্তা হবেন না, যদি হেনস্তা হন সাথে সাথেই আমার সাথে যোগাযোগ করবেন, আমি তাৎক্ষণিক এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। এ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে বিশ্বের প্রথম সারিতে নিয়ে আসার জন্য আর আমি সেইভাবে কাজও চালিয়ে যাচ্ছি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সিআইপি রাখাল কুমার গোপ, এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সিআইপি মাহতাবুর রহমান নাসির, সিআইপি আশিক মিয়া, হারুন আল রশিদ, প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ূম, চুনারুঘাট উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, সিলেট বিভাগ উন্নয়ন পরিষদ আমিরাতের প্রধান উপদেষ্টা বদরুল ইসলাম চৌধুরী, হবিগঞ্জ ইউনিটির উপদেষ্টা বাবরুল হাসান তালুকদার, মোশাররফ হোসেন সহ আরো অনেকে।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন জি এম জায়গীরদার, দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, শাহ মোহাম্মদ মাকসুদ, নাসির উদ্দিন কাইসার, রাসেল মিয়া, হাজী সায়েদ আলী, জিতু মিয়া, কামরুল হাসান তালুকদার, গৌতম ঘোষ, তাজুল ইসলাম রুম্মান, হারুনুর রশিদ রঙ্গু প্রমুখ।