‘আমার আদরের ছোট ভাইয়ের খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হয়েও তাকে নৃশংস ভাবে খুন হতে হয়েছে’—–এরকম আর্তনাদ করেছেন নিহত সৌদি প্রবাসী ফকরুল উদ্দিন চৌধুরীর বড় ভাই নাজিম উদ্দীন চৌধুরী।গত ১৯ জানুয়ারী রাজধানী রোমের তরপিনাত্তার স্থানীয় একটা রেষ্টুরেন্টে আয়োজীত নিহতের স্মরণ সভায় তাঁর আর্তনাদ শোনে উপস্থিত সবাই শোকে কাতর হয়ে উঠেন।
ফেনীর দাগনভূইয়ার পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিহত ফকরুল উদ্দিন চৌধুরীর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে একটি আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে নিহতের বড়ো ভাই নাজিম উদ্দিন চৌধুরী ঘটে যাওয়া সেই ভয়ঙ্কর দিন গুলোর বর্ণনা দেন। রোসই রেস্টুরেন্টের হল রুমে আয়োজিত এই আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন বাংকার ব্যবসায়ী সমিতি ইটালীর সাধারণ সম্পাদক সাখোওয়াত হোসেন। আলোচনা সভার অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইটালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল, ইটালী যুবলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আতিয়ার রাসুুল কিটন, রোম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মামুন, বাংকার ব্যবসায়ী সমিতি রোমের প্রধান উপদেষ্টা এম ডি তারা।
ঘটনার বর্ণনায় নাজিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, ২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারী সৌদি প্রবাসী নিহত ফকরুল উদ্দিন চৌধুরীর ৯ বছর পর দেশে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নামধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন অপকর্ম ও তাদের নিষিদ্ধ ব্যবসা ইয়াবা সংক্রান্ত গোপন তথ্য জেনে যায়। পরবর্তীতে তিনি তা প্রকাশ করলে (সাইফুল, হিরু, বাহাদুর, পারভেজ,দিদার) এই সন্ত্রাসীরা তাকে নির্মম ভাবে খুন করে বাড়ির পাশের রাস্তার উপর ফেলে রেখে যায়। নিহতের বড় ভাই উল্লেখ করেন ‘ফেনীর এই দাগনভূইয়াতে তাদের পরিবার ‘আওয়ামী লীগের পরিবার’ হিসাবে সুপরিচিত। আওয়ামী লীগের জন্য তার দাদা ও বাবারা ছিলেন অন্তঃপ্রান। কিন্তু সেই আওয়ামী লীগের পরিবারের সন্তান হয়েও নামধারী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এই নৃশস হত্যাকান্ডটি ঘঠায়। তিনি ক্ষোভ এবং দুঃখের সাথে বলেন ‘এক বছর হয়ে গেল এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসীরা দুর্দান্ত দাপটের সাথে এলকায় চলছে। বাংলাদেশের প্রতিটি গণ মাধ্যমে তা প্রকাশিত হলেও খুনীরা আজো ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে আমাদের পরিবারকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিবারের একটিমাত্র চাওয়া তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী যেন সরকার নিশ্চিত করেন। এবং সেজন্য তিনি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন’।
ইটালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল নিহতের বড় ভাইয়ের কাছ থেকে এই নিশংস ও নির্মন ঘটনা শুনে বলেন” সন্ত্রাসীরা কখনো কোন দলের হতে পারেনা। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সন্ত্রাসীর হাত যতো বড়ো হোক না কেন? আইনের হাতের চেয়ে তা কখনোই বড়ো নয়। তিনি আশ্বস্ত করেন যে তার করণীয় যা কিছু আছে তা করবেন এবং আসামীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী ও তিনি করেন।ইটালী যুবলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আতিয়ার রাসুল এই নৃশংস হত্যাকান্ড যারা ঘটিয়েছে অতিদ্রুত সেই অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবী জানান।