৩০ ডিসেম্বর শেষ হওয়া নির্বাচনকে নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি আখ্যা দিয়ে তা বাতিল ও পুনরায় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
বৃহস্পতিবার (০৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান কর্মসূচি ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ দাবি জানান জোটের নেতারা। অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির নেতা মোশরেফা মিশু প্রমুখ।
অবস্থান কর্মসূচিতে বাম জোটের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গোটা দেশকে অবরুদ্ধ করে কোটি কোটি ভোটারের ভোটাধিকার হরণ করে আরও একবার যে জবরদস্তিমূলক প্রহসনের নির্বাচন মঞ্চস্থ করা হলো, বাম গণতান্ত্রিক জোট এই নির্বাচন ও নির্বাচনের ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়ে গোটা নির্বাচনকে ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। আশঙ্কানুযায়ী নির্বাচন সরকারের ছকেই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভোর থেকে দেশব্যাপী ভোটকেন্দ্র দখল, প্রকাশ্যে জালিয়াতি, ব্যালট পেপারে প্রকাশ্যে নৌকা মার্কায় সিল মারতে বাধ্য করা ও বিরোধী ভোটারদের জোর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার মতো নানা ঘটনায় সমগ্র নির্বাচনকে পুরোপুরি অর্থহীন ও হাস্যকর করে তোলা হয়েছে।
এ সময় জানানো হয়, এই নির্বাচন প্রমাণ করে দলীয় সরকারের অধীনে বাংলাদেশের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক পরিবেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের যে কোনো অবকাশই নেই, তা আরেকবার প্রমাণ হলো। তাই এই নির্বাচনের ফলাফল গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচনে জনগণের মতামতের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি।
আরও বলা হয়, গত ৩০ ডিসেম্বর অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশবাসীকে প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ভুয়া ভোটে যাদের নির্বাচিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে, তাদের প্রায় সবাইকে জনগণ ভুয়া প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচিত করছে।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে জানানো হয়, নির্বাচনের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরতে আগামী ১১ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ১৩১ প্রার্থীকে নিয়ে গণশুনানি হবে। এছাড়া প্রতিবাদ কর্মসূচিতে খুলনায় সাংবাদিক গ্রেফতার ও নোয়াখালীতে গণধর্ষণসহ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার প্রতিবাদ জানানো হয়।