আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ন্ত্রীদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা না নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় মন্ত্রিসভার সদস্যদের এ নির্দেশ দেন তিনি। মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সরকারের টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক মন্ত্রী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন অনুযায়ী সবাই নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলবেন। সরকারি গাড়ি ব্যবহারসহ কোনো ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেবেন না।
তিনি বলেন, এ সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার। তবে তফসিল ঘোষণার পর এ সরকারের কার্যপরিধি কমে যাবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গত নির্বাচনের আগে ছোট আকারে নির্বাচনকালীন সরকার করার কথা ভাবা হয়েছিল। কারণ তখন সংসদে বিএনপি ছিল। তাদের নির্বাচনকালীন সরকারে আনার জন্য সে চিন্তা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, এবার তো সংসদে বিএনপি নেই। নির্বাচনকালীন সরকারে অনির্বাচিত কাউকে রাখা যাবে না। তাই এ সরকারকে আর ছোট করার কোনো দরকার নেই।
মঙ্গলবার গণভবনে এক ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, আজ মন্ত্রী সভার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি শেষে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা স্বপদে বহাল থাকবেন। তাদের পদত্যাগ করতে হবে না।
বিভিন্ন দল-জোটের সাথে সংলাপের বিষয়ে তিনি বলেন, সংলাপ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে একটা স্পিচ দিবেন। সংলাপের ফলাফল জানাতে আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ৭ নভেম্বরের পর আওয়ামী লীগ আর কোনো সংলাপে যাবে না বলেও জানান তিনি।