­
­
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
বিশ্বের কাছে বার্তা দিতে পাল্টাপাল্টি প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে ভারত-পাকিস্তান  » «   ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোলে আটকা শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক, বাংলাদেশ জানেই না স্থগিত সিদ্ধান্তের কথা!  » «   স্থলপথে পণ্য নেবে না ভারত : কেনো এত উদ্বিগ্ন অর্থনীতিবিদ ও রপ্তানিকারকরা  » «   চট্টগ্রামের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের দেওয়া নিয়ে বিতর্ক: কী জানা যাচ্ছে  » «   পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা  » «   সিলেটে ডা. জোবাইদার ‘বেনামি’ পোস্টার ঘিরে আলোচনার ঝড়  » «   মাত্র ১৪ কর্মদিবসে মাগুরার আছিয়া ধর্ষণ-হত্যার বিচার, ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড  » «   হামাস নির্মূলে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন তীব্রতর, ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ট্রাম্পের  » «   সৌদির সমাজে বড় পরিবর্তন, কীভাবে সম্ভব হলো?  » «   আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে এখন আমরা কী নির্মাণ করছি?  » «   ডলার খোলাবাজারে : দাম অস্বাভাবিক বাড়লে কী হবে?  » «   নির্বাচন নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ কেন?  » «   আওয়ামী লীগ নিয়ে খবর প্রকাশ বা সোশাল মিডিয়ায় লেখাও কি নিষেধ?  » «   জুলাইয়ে বাংলাদেশে গণহত্যা হয়েছে, জেনোসাইড হয়নি: চিফ প্রসিকিউটর  » «   ভুয়া ‘জুলাই যোদ্ধা’র হাতে সরকারি অনুদানের চেক  » «  

আত্নহত্যা করেছে, মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে চায়নি দুবোন



নিজ মাতৃভূমি সৌদি আরবে ফিরে না যেতে দু’বোন শেষ পর্যন্ত আত্নহত্যার পথ বেছে নিল। এ দু বোন হলেন ১৬ বছরের তালা ফারিয়া এবং ২৩ বছর বয়সী রতানা ফারিয়া। ধারণা করা হচ্ছে ,এই মর্মান্তিক মৃত্যুটি একসাথেই দু্ই বোন নিশ্চিত করতে চাইছিলো। তাই তাদের লাশ ছিল একের সাথে অপরজন বাঁধা।

২৪ অক্টোবর এই দুবোনের লাশ উদ্ধার করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ। নিউইয়র্কের হাডসন নদী থেকে এ লাশ দুটো উদ্ধার করা হয়। লাশ দুটো একে অপরের সাথে টেইপ দিয়ে বাঁধা ছিল। নদীর পাশ দিয়ে যাওয়া একজন পথচারীর তথ্যের ভিত্তিতে নিউইয়র্ক পুলিশ এ লাশ দুটো উদ্ধার করে।
নিউইয়র্ক পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ডেরমট শিয়া এ দুটো লাশকে নিউইয়র্ক সিটিতে কারো বা কোন গুষ্ঠি দ্বারা সংঘঠিত অপরাধ হিসেবে দেখছেন না। তিনি জানিয়েছেন, তারা দুবোনের লাশকে আত্নহত্যা হিসেবেই বিবেচনা করছেন। তবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, তারা এ নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান তদন্তকারী একটা সংস্থার সূত্র উল্লেখ করে  বলেছেন, সৌদি আরবে ফিরে না যেতে এবং আমেরিকায় তাদের অনিশ্চিত টিকে থাকার হতাশা থেকেই তারা এ আত্নঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তারা মনে করছেন।

অতি সম্প্রতি তাদের একজনের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে গিয়ে লক্ষ্য করা গেছে, নিউইয়র্কে তারা অপরাধযোগ্য কোন কাজে সংযুক্ত ছিল না, তবে তাদের সামর্থ্যের মধ্যে থাকা অর্থগুলো খরছ করেছে তারা বিলাসীতার মাঝেই।

গত বছরের ৩০ নভেম্বরের পর তাদের পরিবারের সাথে তাদেরকে কখনো দেখা যায় নি। ধারণা করা হচ্ছে, তারা শারিরীক নিগ্রহের শিকার হতে পারে এবং সেজন্যেই নভেম্বরের পর থেকে ডমেস্টিং ভায়োলেন্স এ নির্যাতিতদের আশ্রয় দেয়া একটা আশ্রয় কেন্দ্রে আগস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত অবস্থান করে। গত ১ লা সেপ্টেম্বর থেকে নিউইয়র্কের বিলাসবহুল হোটেলগুলোতে তাঁদের অবস্থান চিহ্নিত করা গেছে। বড় বোন রতানা ফারিয়ার ক্রেডিট কার্ড’র তথ্য থেকেই তা বেরিয়ে এসেছে বলে পুলিশ প্রধান উল্লেখ করেন।

এ দুটো হত্যাকান্ডের তথ্য সহযোগীতাকারী এবং প্রত্যক্ষদর্শী একজন উল্লেখ করেছেন যে, তিনি ঐ দুবোনকে ২৪ অক্টোবর দেখেছেন। তিনি তাঁদের আর্তনাদ শোনেছেন। অন্তত ১৫ মিনিট তাঁদের একত্রে চিৎকার করে প্রার্থনা করতে দেখেছেন নদীর পাশেই। যার পাশ থেকেই তাদের দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গত তিন বছর থেকে সৌদি বংশদ্ভোদ দুবোন তালা ফারিয়া এবং  রতানা ফারিয়া যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে আসছিল এবং হয়ত তারা এদেশে অবস্থান করার জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করেছিল।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন