শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
Sex Cams
সর্বশেষ সংবাদ
টাওয়ার হ্যামলেটসের বো এলাকায় নতুন কাউন্সিল ভবনের উদ্বোধন করেছেন নির্বাহী মেয়র লুৎফুর  » «   বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকের প্রাণহানি এবং সৃষ্ট অস্থিরতা-সহিংসতায় লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের ক্ষোভ-নিন্দা  » «   সৃজনের আলোয় মুস্তাফিজ শফি, লন্ডনে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা  » «   বৃটেনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তাহমিনার অসাধারণ সাফল্য  » «   দুই বঙ্গকন্যা ব্রিটিশ মন্ত্রীসভায় স্থান পাওয়ায় বঙ্গবন্ধু লেখক এবং সাংবাদিক ফোরামের আনন্দ সভা ও মিষ্টি বিতরণ  » «   কেয়ার হোমের লাইসেন্স বাতিলের বিরুদ্ধে আইনী লড়াইয়ে ল’ম্যাটিক সলিসিটর্সের সাফল্য  » «   যুক্তরাজ্যে আবারও চার ব্রিটিশ-বাংলাদেশী  পার্লামেন্টে  » «   আমি লুলা গাঙ্গ : আমার আর্তনাদ কেউ  কী শুনবেন?  » «   বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে লন্ডনে ইউনিভার্সেল ভয়েস ফর হিউম্যান রাইটসের সেমিনার অনুষ্ঠিত  » «   লন্ডনে বাংলা কবিতা উৎসব ৭ জুলাই  » «   হ্যাকনি সাউথ ও শর্ডিচ আসনে এমপি প্রার্থী শাহেদ হোসাইন  » «   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকে’র সাথে ঢাবি ভিসি প্রফেসর ড. এএসএম মাকসুদ কামালের মতবিনিময়  » «   মানুষের মৃত্যূ -পূর্ববর্তী শেষ দিনগুলোর প্রস্তুতি যেমন হওয়া উচিত  » «   ব্যারিস্টার সায়েফ উদ্দিন খালেদ টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নতুন স্পীকার নির্বাচিত  » «   কানাডায় সিলেটের  কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলমকে সংবর্ধনা ও আশার আলো  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

কুয়েতে কঠোর পরিশ্রমেও সংসার চলে না প্রবাসী সেলিমের



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

 

‘কুয়েতে একটা ফার্মে আছি। মাসে ৮০ দিনার বেতন পাই। এদেশে মানসম্মত কাজের বড়ই অভাব। কোনোরকম চলছি। দুঃখে কষ্টে দিন চলে যাচ্ছে। বাড়িতে ঠিকমতো টাকা পাঠাতে পারি না।’ কথাগুলো বলছিলেন কুয়েত প্রবাসী ফেনীর ফাজিলপুরের মোহাম্মদ সেলিম।

তিনি বলেন, বেতন কম হলেও এখানে আমার খুব ভালো লাগে। কারণ কুয়েতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাংলাদেশিরা আমাদের এই খামারে আসে। অনেক সময় তারা বিভিন্ন পশুপাখি কিনেও নিয়ে যায়। দেশীয় ভাইদের সঙ্গে দেখা হলে সত্যিই ভালো লাগে। বেতন কম তবুও ভালো আছি বলেন সেলিম।

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম তেল সমৃদ্ধ দেশে কুয়েত। দেশটির সীমান্তবর্তী ইরাক, ইরান, সৌদি আরব। কুয়েত সিটি থেকে ১শ ২৫ কি.মি. দূরে ইরাক সীমান্তবর্তী কুয়েতের আবদালি মরুভূমি এলাকা। এখানে শাক-সবজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ফার্ম রয়েছে। ফার্মগুলোতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কাজ করে থাকেন।

কুয়েত সরকার থেকে জমি লিজ নিয়ে বিভিন্ন শাক-সবজি ও ফলের বাগান, উট, ভেড়া, দুম্বা, হাঁস, মুরগি, কবুতরসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু পালন করে থাকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। শীতের মৌসুমে সিটি এলাকা থেকে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসে। পছন্দ হলে কিনেও নিয়ে যায়।

মাঝে মাঝে সৌদি, ইরানি আরবিরা খেমা (তাবু) বানিয়ে মরুভূমিতে বেড়াতে আসেন। তারা এগুলো এখান থেকে কিনে নিয়ে যায়। টার্কি

মুর্গি ৬ দিনার, হাঁস ৪ দিনার, সাধারণ মুরগি ৩ দিনার। এ ছাড়া বিভিন্ন জাত ও সাইজের ওপর দামেরও ভিন্নতা আসে। শীতকালে এখানে প্রচুর লোকের সমাগম ঘটে।

এই মরু এলাকায় একাধিক বাংলাদেশি পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসে। তাদের মধ্যে একজন চট্টগ্রামের মো. কামরুল। তিনি বলেন, এখানে বিভিন্ন ধরনের সতেজ ও তরতাজা শাক-সবজি ফলমূল, হাঁস, মুরগি, কবুতরসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি বিক্রি করে থাকে। দামেও কম। কিছু খাওয়ার ইচ্ছা হলে ওখান থেকেই কিনে নিই।

তিনি বলেন, সিটি এলাকাগুলোতে বেশির ভাগ জিনিস নিতে সমস্যা হয়। এ কারণে অনেক সময় দূর হলেও আবদালিতে হাটে চলে আসি। আরেকটা বিষয় হলো শাক-সবজি উৎপাদন, পশু পাখি লালন পালন ও বিক্রি বেশিরভাগেই আমাদের বাংলাদেশি ভাইয়েরা কঠোর পরিশ্রমে করে থাকে। বাজার করার সুবাদে তাদের সঙ্গে দেখাও হয় তাতে বেশ ভালোও লাগে।

 


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন