­
­
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সিলেটে ডা. জোবাইদার ‘বেনামি’ পোস্টার ঘিরে আলোচনার ঝড়  » «   মাত্র ১৪ কর্মদিবসে মাগুরার আছিয়া ধর্ষণ-হত্যার বিচার, ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড  » «   হামাস নির্মূলে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন তীব্রতর, ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ট্রাম্পের  » «   সৌদির সমাজে বড় পরিবর্তন, কীভাবে সম্ভব হলো?  » «   আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে এখন আমরা কী নির্মাণ করছি?  » «   ডলার খোলাবাজারে : দাম অস্বাভাবিক বাড়লে কী হবে?  » «   নির্বাচন নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ কেন?  » «   আওয়ামী লীগ নিয়ে খবর প্রকাশ বা সোশাল মিডিয়ায় লেখাও কি নিষেধ?  » «   জুলাইয়ে বাংলাদেশে গণহত্যা হয়েছে, জেনোসাইড হয়নি: চিফ প্রসিকিউটর  » «   ভুয়া ‘জুলাই যোদ্ধা’র হাতে সরকারি অনুদানের চেক  » «   কে জিতল—ভারত, না পাকিস্তান?  » «   আওয়ামী লীগের ‘কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা’র মানে কী?  » «   বাংলাদেশে মার্কিন পণ্যের আমদানি বাড়বে, কমবে শুল্ক  » «   আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞার ফল কী? জামায়াতের বিচার নিয়ে প্রশ্ন  » «   পা দিয়ে লিখেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাতালিকায় মানিক  » «  

করোনায় বিশ্বে ১৬০ কোটি মানুষ জীবিকাহীন হবেঃ আইএলও



করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বড় ধরনের ঝাঁকুনি এসেছে। এর ফলে একের পর এক কর্মহীন হয়ে পড়ছে মানুষ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা প্রকাশিত (আইএলও) সর্বশেষ প্রতিবেদনে সেই তথ্যে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী শ্রমখাতের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের প্রায় অর্ধেকই জীবিকার ঝুঁকিতে পড়ছে।

বিশ্বব্যাপী অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের সঙ্গে যুক্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় দুই শ কোটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, এর মধ্যে ১৬০ কোটি মানুষই জীবিকার ঝুঁকিতে রয়েছে। এই সংখ্যা বিশ্বব্যাপী কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত মোট কর্মীর প্রায় অর্ধেক। সংস্থাটির হিসাবে, বিশ্বে শ্রমের সঙ্গে যুক্ত মানুষের সংখ্যা ৩৩০ কোটি।

আইএলওর জেনেভা অফিস থেকে বুধবার (২৯ এপ্রিল) প্রতিবেদনটি একযোগে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতির শুরুর দিকে কর্মসংস্থানে প্রভাবের যে প্রাক্কলন করা হয়েছিল এখন তা আরও বেশি খারাপ।

আইএলও মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, কোটি কোটি মানুষের আয় না থাকার অর্থ হলো তাদের খাদ্য নেই। নেই তাদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তাও। কোটি কোটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাকের ডগায় নিশ্বাস চলে এসেছে। তাদের সঞ্চয় নেই। ঋণ নেয়ার সক্ষমতাও নেই। এটাই প্রকৃত চিত্র। যথাযথ সহায়তা না পেলে এ পরিস্থিতিতে তারা হারিয়ে যাবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই সপ্তাহ ধরে ৬৮ থেকে ৮১ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। চীনের বাইরে অন্যান্য দেশে প্রতিষ্ঠান বন্ধের হার বেশি। এর ফলে ব্যাপকহারে কর্মহীন হয়ে পড়ছে মানুষ। কর্মহীন হওয়ার তালিকায় অপেক্ষাকৃত বেশি ঝুঁকিতে আফ্রিকা অঞ্চলের মানুষ। সেখানে ৮০ শতাংশ মানুষ এই ঝুঁকিতে। এরপর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানুষ। এখানে ৭০ শতাংশ কর্মী ঝুঁকিতে। অন্যদিকে আমেরিকায় এই হার প্রায় ২২ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী ৪৩ কোটি ৩০ লাখ প্রতিষ্ঠানে মারাত্মক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে ২৩ কোটি খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা, ১১ কোটি ১০ লাখ উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত, পাঁচ কোটি ১০ লাখ খাদ্য ও সেবা এবং চার কোটি দুই লাখ আবাসনসহ অন্যান্য কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত।

অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ও কর্মীদের রক্ষায় দ্রুত, লক্ষ্যভিত্তিক ও নমনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে আইএলও। বিশেষত ঋণছাড় ও এ ব্যবস্থা সহজীকরণসহ প্রণোদনায় আন্তর্জাতিক সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বৈশ্বিক মহামারি ও চাকরির ঝুঁকিতে থাকাদের রক্ষায় জরুরিভিত্তিতে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।

ঢাকায় আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পুটিআইনেন বলেন, মহামারির কারণে অপেক্ষাকৃত তরুণ ও যুবকশ্রেণি বেশি হারে কর্মহীন হয়ে পড়ছে। তাদের জীবিকা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে। স্বকর্মসংস্থান ও ছোটখাট কাজের সঙ্গে যুক্তদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষা না থাকায় তারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন