মানবিক ও আদর্শ পরিবার ও সমাজ বিনির্মাণে শিশুদের পজিটিভ চিন্তা ও চেতনায় তৈরী করা জরুরী বলে জ্ঞানীরা সব সময় বলে থাকেন। বলা হয়ে থাকে একটি আলোকিত সমাজের আয়না হলো কোমলমতি শিশুরা। পরিবার ও সমাজ নিস্পাপ কোমলমতি শিশুদের চোখে সুন্দর আগামী দেখে।
আপনার শিশুকে বলবেন না:
দেয়ালে দৃশ্য বা ছবি এঁকো না।
বরং তাকে বলুন:
তুমি তোমার খাতায় দৃশ্য বা ছবি আঁকো, আঁকা শেষ হলে দৃশ্য বা ছবিটা দেয়ালে বা ফ্রিজের ওপর বা বোর্ডে ঝুলিয়ে দিবে।
আপনার সন্তানকে বলবেন না:
উঠো! নামাজ পড়ে নাও, না হলে জাহান্নামে যাবে।
বরং তাকে বলুন:
চলো! একসাথে নামাজ টা আদায় করে নি, তাহলে জান্নাতেও একসাথে থাকতে পারবো।
আপনার সন্তানকে বলবেন না:
এই তোমার রোম টা পরিষ্কার করে নাও । ইশ ! খোয়াড় বানিয়ে রেখেছে রোম টাকে।
বরং তাকে বলুন:
তোমার রোম টা কি তুমি একাই গোছাতে পারবে? নাকি আমি সাহায্য করবো? তুমি তো সব সময় একাই সবকিছু গুছিয়ে রাখো।
সন্তানকে বলবেন না:
হয়েছে খেলাধূলা ছেড়ে এবার পড়তে বসো। খেলার চেয়ে পড়ালেখা গুরুত্বপূর্ণ।
বরং তাকে বলুন:
তুমি তাড়াতাড়ি আজকের পড়াটা শেষ করে ফেলো, তাহলে পরে খেলার জন্য অনেক সময় পাবে।
আপনার সন্তানকে বলবেন না:
এই! দাঁত ব্রাশ করো, আমি না বললে দেখি তুমি দাঁতে হাতই দাও না।
বরং বলুন:
তুমি তো দেখি আমি বলার আগেই দাঁত পরিষ্কার করে ফেলো!
আপনার সন্তানকে বলবেন না:
বাম কাত হয়ে শুয়ো না।
বরং তাকে বলুন:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে ডান কাত হয়ে শুতে শিখিয়েছেন।
আপনার সন্তানকে বলবেন না:
একদম চকলেট খাবে না। সারাদিন শুধু চকলেট আর চকলেট। দাঁতগুলো তো সব এভাবেই যাবে।
বরং তাকে বলুন:
তোমাকে দিনে একবার চকলেট খাওয়ার অনুমিত দেয়া যাবে, কারণ তুমি নিজ দায়িত্বেই প্রতিদিন দাঁত পরিষ্কার করে ফেলো।
কথা ও আচরণে জীবন ব্যক্তিত্বময় হয়ে ওঠে। মানুষ মানুষের চোখে হয় অনন্য । পজিটিভ চিন্তা ও চর্চা- আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে আলোকিত ওঠে গড়ে তুলার কাজটি সহজ করে দিবে পারে । জীবনের জয় হোক।
সামাজিক যোগাযোগ থেকে নেয়া:
( নামহীন ) লেখকের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা
সম্পাদনা : আনোয়ারুল ইসলাম অভি । কণ্ঠ : রেজওয়ানা আহমেদ