­
­
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
মার্চ ফর গাজা: ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে সোহরাওয়ার্দীতে জনসমুদ্র  » «   চারুকলায় আগুনে পুড়ে গেছে আলোচিত ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ মোটিফ, রহস্যজনক বলছে পুলিশ  » «   ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে ভারতের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের নেপথ্যে যা  » «   ‘বাংলাদেশিসহ’ ৪০ অভিবাসীকে আলবেনিয়ায় পাঠাল ইতালি  » «   বিনিয়োগ সম্মেলনে কেমন সাড়া পেলো বাংলাদেশ?  » «   আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল  » «   ২০২৪ সালে লন্ডন ছেড়েছেন ১১ হাজার ধনী, কোথায় যাচ্ছেন তাঁরা  » «   জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে নেমে আসবে: গভর্নর  » «   মডেল মেঘনা বিশেষ ক্ষমতা আইনে জেলে, অভিযোগ ছাড়াই আটকের যৌক্তিকতা নিয়ে আবারও প্রশ্ন  » «   ‘আলোয় আলোয় মুক্তির’ সন্ধানে বর্ষবরণ করবে ছায়ানট  » «   মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলে গেল  » «   যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ: বিপজ্জনক খেলা, পথ নেই পিছু হটার  » «   বিশ্বকে বদলে দিতে বাংলাদেশ ক্রেজি আইডিয়ার দেশ  » «   প্রবাসীদের ভোট পদ্ধতি নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি  » «   নাসার সাথে চুক্তি, আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা জোটে যুক্ত হলো বাংলাদেশ  » «  

ডুমুরিয়ায় জাতীয় ফুল শাপলা এখন স্মৃতি



খুলনার ডুমুরিয়া থেকে জাতীয় ফুল শাপলা এখন বিলুপ্ত প্রায়। বর্ষা মৌসুমে এক সময় জেলার আনাচে-কানাচে পড়ে থাকা জলাভূমি, পুকুর-ডোবা, নদী-নালা ও খালবিল এক সময় শাপলায় ভরে থাকত। যা এক সময় গ্রামকে অপরূপ সৌন্দর্যে ভরে রাখত। এই উদ্ভিদ কোন প্রকার পরিচর্যা ছাড়াই গ্রাম গঞ্জের পুকুর, ডোবা, জলাশয়ে জন্মে থাকে।

একাধিক গুণযুক্ত এই শাপলার ডাটা একদিকে যেমন সবজি অন্যদিকে শাপলার মূল ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শাপলা ফুল ফোটার পর কিছুদিনের মধ্যে ফল জন্ম নেয়। আর ওই ফলের ভেতরে থাকে কালো কালো দানা। এটাকে লোকজন বলে ‘চাউলিয়া’। শাপলার চাল রোদে শুকিয়ে মহিলারা ভাজতো ঢ্যাপের খৈ। এরপর বর্ষা চলে গেলে শুকনো মৌসুমে ছেলেমেয়েরা ওই সব ডোবা নালা থেকে কুড়িয়ে আনতো শালুক। আগুনে পুড়ে শালুক খেতে দারুণ স্বাদ।

খুলনা জেলাতেও শাপলা ফুলের ডাটার বেশ চাহিদা রয়েছে। তরকারি হিসেবে সুস্বাদু এই শাপলা। বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন হাট বাজারে এই শাপলা সবজি হিসেবে ব্যাপক বিক্রি হয়। কিন্তু খুলনার ডুমুরিয়া থেকে বিলুপ্ত প্রায় এই শাপলা এখন স্মৃতির আসনে জায়গা নিয়েছে। কারণ হিসেবে দেখা গেছে, আগের সব পুকুর, নদী, খাল ভরাট করে মানুষের নানা মুখী কর্মকান্ড ও কৃষিতে অতিমাত্রায় আগাছা নাশক ওষুধ প্রয়োগের কারণে শাপলার জন্মস্থলগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।

জেলার একাধিক এলাকা ঘুরে দু/একটি পুকুরে গুটি কয়েক শাপলা ফুটে থাকতে দেখা গেছে। যার মধ্যে এলাকায় একটি পুকুরে কয়কটি শাপলা ফুল রয়েছে। শাপলা মূলত বর্ষার শেষ থেকে বর্ষা গ্রামগঞ্জের পুকুর, ডোবা, জলাশয়গুলোতে জন্মে থাকে। বর্তমানে নিচু জমিগুলোতে বিভিন্ন ধরণের ফসল চাষ হচ্ছে। ফলে শাপলা জন্মানো সুযোগ পাচ্ছে না। আর পুকুর জলাশয়গুলো পরিস্কার করে বাণিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ হচ্ছে। সে কারণে পুকুরগুলোতেও শাপলা বংশ বিস্তারের সুযোগ পাচ্ছে না। তাই, আগের মত আর শাপলা দেখা যায় না।

এদিকে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন খুলনা জেলার অনেক এলাকাতেই বাণিজ্যিক ভাবে শাপলা চাষের সুযোগ রয়েছে। এতে করে বেকার সমস্যা সমাধান হতে পারে অনেকাংশেই। রাস্তার ধারের প্রতিত খালগুলো শাপলা উৎপাদনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। এতে করে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাশাপাশি শাপলার সবজি হিসেবে চাহিদা মিটতে পারে।

এব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন বলেন ডুমুরিয়া উপজেলায় পতিত জমি ও গর্ত জমিতে মাছ চাষ করার কারণে জাতীয় ফুল শাপলা এখন বিলুপ্তির পথে।

খুলনা জেলার অতিরিক্ত উপ পরিচালক উদ্যান মো. নজরুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় মাছের ঘের হওয়ায়, অতিরিক্ত ফসল ও জমি পতিত না‌ থাকার ফলে শাপলা জন্মানো সুযোগ পাচ্ছে না।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন