নেত্রকোনা সদর উপজেলায় নিহত রাজিব আহমেদ রাজু (৩৮) পৌরশহরের ছোট বাজারের এলাকার মৃত বিমল মিয়ার ছেলে। কলমাকান্দা উপজেলায় দুর্ঘটনায় নিহতের অজ্ঞাত (৫৫) মৃতদেহ অবস্থায় নেত্রকোনা হাসপাতালে রয়েছে।
জানা যায়, দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলায় নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ মহাড়কের সাকুয়া এলাকায় মুরগী বহনকারী পিক-আপ ভ্যান ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিল। এমন সময় বিপরীত দিক থেকে আসা অটো রিকশা (সিএনজি) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাঁধে। এতে সিএনজিতে বসে থাকা যাত্রী রাজিব আহমেদ রাজুর পেটে সিএনজির সামনের একটি রড ঢুকে যায়। অপর আরেক যাত্রী সামছু মিয়া (৫০) মাথা ও পায়ে মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হন। গুরুতর আহত দুইজনকে মুমূর্ষ অবস্থায় করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে স্থানীয়রা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজুকে মৃত ঘোষণা ও সামছু মিয়াকে মুমুর্ষ অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহত সামছু মিয়া সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার গাছতলা এলাকার বাসিন্দা এবং একজন ধান ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।
নেত্রকোনা মডেল থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম এ ঘটনায় নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন সিএনজি ও পিক-আপ ভ্যান আটক রয়েছে।
কলমাকান্দা উপজেলায় ভারতীয় তেজপাতা বোঝাই পিক-আপ ভ্যান ও অটো রিকশা (সিএনজি) সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাত পুরুষ (৫৫) বয়সী আরেকজন নিহত হয়েছেন এবং খোকন (২৯) নামের এক যুবক গুরুতর আহত অবস্থায় নেত্রকোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত খোকন কলমাকান্দার রংছাতি হরিণাপুরী গ্রামের বাসিন্দা।
দুপুর দিকে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, নেত্রকোনামুখী ভারতীয় তেজপাতা বোঝাই পিক-আপ ভ্যান উপজেলার পাগলা বাজার এলাকায় আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা নাম্বার বিহীন নতুন অটো রিকশা (সিএনজি) সাথে সংঘর্ষর ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে গুরুতর আহত দুইজনকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে প্রায় ৫৫ বছর বয়সি এক পুরুষকে মৃত ঘোষনা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় খোকন নামে এক যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আহত খোকনের জ্ঞান ফিরেনি।
কলমাকান্দা সিধলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ, পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম শফিক এ ঘাটনার সত্যত্য নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, তেজপাতা সহ পিক-আপ ভ্যান ও সিএনজি জব্দ করা হয়েছে ও চালক পলাতক রয়েছে। আহতদের নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল প্রেরণ করা হয়েছে এবং সেখানে একজন নিহত হয়েছে শুনতে পেরেছি। তবে তেজপাতা ভারতীয় কিনা তা জানা নেই।