স্পেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন নরসিংদী ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার (২৭ মার্চ) রাতে দেশটির রাজধানী মাদ্রিদের স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বল্প পরিসরের এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ও স্থানীয় আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফিজ আক্তার হোসেনের তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নরসিংদী ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির সভাপতি ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন স্পেনের সিনিয়র সহ সভাপতি আল আমিন মিয়া। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুল মিলন ও সাঈদ আনোয়ারের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন স্পেনের সভাপতি কাজী এনায়েতুল করিম তারেক।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন করেন আনজুমানে আল ইসলাহ স্পেনের সভাপতি মাওলানা আসাদুজ্জামান রাজ্জাক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন স্পেনের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুরশেদ আলম তাহের, কমিউনিটি নেতা আব্দুল কাইয়ুম মাসুক, গ্রেটার সিলেট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব আবু জাফর রাসেল, নরসিংদী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ইন স্পেনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইয়াছিন সিকদার। এছাড়া নরসিংদী ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির নেতৃবৃন্দের জহিরুল ইসলাম, লিটন আহমেদ, আলামীন আহমদ, সাহিদ আহমদ, কামরুল ইসলাম প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, অনেক রক্ত আর আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই স্বাধীনতা। জাতি পেয়েছে নিজ পতাকা, নিজ ভাষায় কথা বলার ও নিজ ইচ্ছায় বাঁচার অধিকার। তাই সকল মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা এবং বীর শহিদদের এই অবদান কখনো ভোলার মতো নয়। এদের ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়। কিন্তু তাদের রেখে যাওয়া সোনার বাংলা কে সুন্দর করা সম্ভব যদি আমরা সবাই নিজ-নিজ এলাকার উন্নয়নে একজোট হয়ে কাজ করি।
সভাপতির বক্তব্যে আলামিন মিয়া তিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রবাসে বেড়ে উঠা নবপ্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরার আহবান জানান। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরে এসেও আমরা পারিনি আমাদের স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য, উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে ৷ এখনো দেশে মানবাধিকার লংঘিত হচ্ছে ৷ মুক্তিযোদ্ধাকে বানানো হয় রাজাকার, আর রাজাকারকে বানানো হয় মুক্তিযোদ্ধা। যেদিন এই সব বিষয়ে বিজয় অর্জন করতে পারবো সেদিনই উল্লাস করে বলতে পারবো আমরা স্বাধীন আমরাই বিজয়ী।
আলোচনা শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে নৈশভোজের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।