বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে নেত্রকোণার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মুহাম্মদ শিহাব উদ্দিন তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
ওইদিন দুপুরেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নেত্রকোণার কলমাকান্দা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সুলতান আহমেদ ।
এদিকে ঘটনার ১০ দিন পার হলেও এখনও গ্রেফতার হওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় ও মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, ১লা মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় রংছাতি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কান্দাপাড়া গ্রামে এক বান্ধবীর নিমন্ত্রণে তাঁর আরেক বান্ধবীকে নিয়ে বেড়াতে যান । পরে দাওয়াত খেয়ে বান্ধবীকে নিয়ে ভিকটিম ভাড়ায় মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ি উদ্দেশ্য রওনা দেন। পথিমধ্যে বটতলা গ্রামের রাশিদুলের বসত বাড়ির পশ্চিম পার্শ্বে সাবিত্রী নংমিনের পতিত জমিতে গাড়ি থামান এবং ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে নির্যাতিতার বান্ধবীকে চলে যেতে বাধ্য করেন এবং এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য নিষেধ করেন। পরে ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে মারপিট করে চালক সোহাগ ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন। নির্যাতন শেষে সোহাগ তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার সময় চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন। কিন্তু ততক্ষণে সোহাগ মোটরসাইকেল চালিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ।
পরে ওই ঘটনায় নির্যাতিতা নিজেই বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বাদীর পরিবারের লোকজনদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে বলেও মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেন স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ।
এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপির সদস্য মো. জামাল উদ্দিনসহ এলাকাবাসীরা সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে বিচার চেয়েছেন ।
তবে এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এস,আই) মো. সুলতান আহমেদ এর নিকট জানতে চাইলে তিনি ৫২ বাংলা কে বলেন, আমরা মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি।