রাতে থাকার কথা বলে বড় ভাইয়ের ঘরে আশ্রয় নেন ছোটভাই আব্দুল খালিক। এরপর গভীররাতে হঠাৎ বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে দা দিয়ে কোপ দেন। এসময় স্ত্রীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে খলিলুর রহমান খলিলকে (৫৫) কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন ছোটভাই খালিক।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা খলিলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন খলিলের স্ত্রী ছাড়াও দুই মেয়ে।সোমবার দিবাগত গভীর রাতে মৌলভীবাজারের বড়লেখার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের পূর্ব ঘোলসা গ্রামে নৃশংস এ ঘটনা ঘটে। বড়লেখা থানা পুলিশ এ ঘটনায় ছোট ভাই আব্দুল খালিকে (৫৩) রাতেই গ্রেপ্তার করেছে। তবে হত্যাকান্ডের নেপথ্যের কারণ জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খলিলুর রহমান ও আব্দুল খালিক পৃথক বাড়িতে থাকেন। সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক দশটার দিকে বড় ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে রাতে থাকার জন্য আশ্রয় চান খালিক। এসময় বড় ভাই দরজা খুলে তাকে ঘরে আশ্রয় দেন। গভীর রাতে হঠাৎ ছোট ভাই বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে দা দিয়ে কোপ দেন। তার চিৎকারে স্বামী খলিলুর রহমান এগিয়ে এলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। এসময় খলিলের দুই মেয়েও আহত হন। তাদের চিৎকারে আশপাশের বাড়ির লোকজন এগিয়ে গিয়ে গুরুতর আহত খলিলকে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে লাশ মৌলভীবাজারের ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এদিকে রাতেই ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে বড়লেখা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার মঙ্গলবার রাত ৯টায় বলেন, ‘তারা দুই ভাই আলাদা বাড়িতে থাকতেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে সোমবার রাতে ছোট ভাই বড় ভাইয়ের ঘরে আশ্রয় চান। এরপর গভীর রাতে হঠাৎ বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে দা দিয়ে কোপ দেন ছোট ভাই। স্ত্রীকে বাঁচাতে গেলে বড় ভাইকে কুপিয়ে জখম করেন। পর বড় ভাইয়ের (খালিকের) মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ভোররাতেই ছোটভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।’