বিশ্ব জুড়ে যেমন করোনা মোকাবিলায় কার্যকরী পদক্ষেপ হিসেবে ভ্যাকসিনকেই বেঁচে নিয়েছে লেবাননো সেই পথেই হাঁটতে চাচ্ছে।
ডাঃ আবদুল-রহমান বিজরি বলেছেন যে লেবাননের ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় অনুমোদন সাপেক্ষে শেষ মুহূর্তের আইনসভার কাজ শেষে ফেব্রুয়ারিতেই ভ্যাকসিনের প্রথম চালান লেবাননে পৌঁছানোর আশা করছে।
ধারণা করা হচ্ছে প্রাথমিকভাবে ৬০,০০০ হাজার এর মত ডোজ আসতে পারে । স্বাস্থ্য মন্ত্রোনালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকার মোট ২.১ মিলিয়ন ফাইজার ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করবে।
সরকারের জরুরি স্বাস্থ্য কমিটির প্রধান এর বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে যে, লেবাননে করোনভাইরাস ভ্যাকসিনের যে প্রথম চালানটি আসবে তা বিতরণের জন্য সমগ্র লেবানন জুড়ে ৩৩টি থেকে ৩৪ টি টিকা কেন্দ্র অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা কঠোর মানদণ্ডের অধীনে প্রস্তুত থাকবে।
COVID-19 ভ্যাকসিন পাওয়ার ব্যাপারে লেবাননের সরকার এবং অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার মধ্যে আলোচনা চলছে পাশাপাশি লেবাননের কোওএক্সের সাথেও একটি চুক্তি হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামাদ হাসান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে স্বাস্থ্যকর্মী, প্রবীণ, দুর্বল ও সরকারি কর্মীদের অগ্রাধিকার দিয়ে এই টিকা নাগরিকদের জন্য বিনা মূল্যে প্রদান করা হবে।
বেসরকারী খাত কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে সক্ষম হবে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ড: বিজরি বলেন যে, সরকার বেসরকারী খাতের মাধ্যমে এই পদক্ষেপ গ্রহণের পক্ষে সাহায্য করবে কারণ এটি জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সংক্রমণ ঠেকাতে যথেষ্ট সহায়তা করবে।
এ দিকে সমগ্র লেবানন জুড়ে হাসপাতাল গুলোতে কোভিড -১৯ রোগীতে পরিপূর্ণ হওয়ার কারণে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সম্ভ্যাব্য স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন এবং গুরুতর অসুস্থ বা কিছু ক্ষেত্রে হাসপাতালের গাড়ি পার্কে রোগীদের চিকিৎ করতে হচ্ছে।