­
­
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
মার্চ ফর গাজা: ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে সোহরাওয়ার্দীতে জনসমুদ্র  » «   চারুকলায় আগুনে পুড়ে গেছে আলোচিত ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ মোটিফ, রহস্যজনক বলছে পুলিশ  » «   ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে ভারতের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের নেপথ্যে যা  » «   ‘বাংলাদেশিসহ’ ৪০ অভিবাসীকে আলবেনিয়ায় পাঠাল ইতালি  » «   বিনিয়োগ সম্মেলনে কেমন সাড়া পেলো বাংলাদেশ?  » «   আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল  » «   ২০২৪ সালে লন্ডন ছেড়েছেন ১১ হাজার ধনী, কোথায় যাচ্ছেন তাঁরা  » «   জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে নেমে আসবে: গভর্নর  » «   মডেল মেঘনা বিশেষ ক্ষমতা আইনে জেলে, অভিযোগ ছাড়াই আটকের যৌক্তিকতা নিয়ে আবারও প্রশ্ন  » «   ‘আলোয় আলোয় মুক্তির’ সন্ধানে বর্ষবরণ করবে ছায়ানট  » «   মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলে গেল  » «   যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ: বিপজ্জনক খেলা, পথ নেই পিছু হটার  » «   বিশ্বকে বদলে দিতে বাংলাদেশ ক্রেজি আইডিয়ার দেশ  » «   প্রবাসীদের ভোট পদ্ধতি নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি  » «   নাসার সাথে চুক্তি, আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা জোটে যুক্ত হলো বাংলাদেশ  » «  

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য এবং মৌলবাদীদের উত্থান-আস্ফালন



জাতির জনক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শব্দটি যেভাবে এখন উচ্চারিত হচ্ছে, এরকম সময় এর আগে আসে নি।আর সেজন্যই এসময়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষনা করা কিংবা তাঁর আদর্শকে ছড়িযে দেয়ার পথগুলো আরও উন্মুক্ত করা যেতে পারে। একমাত্র কুস্টিয়া পৌরসভায়  একজন বঙ্গবন্ধুর পাঁচটি ভাস্কর্য স্থাপন কোন সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা নয়।অর্থাৎ শুধুমাত্র পৌরসভায় যদি এরকম উদ্যোগ নেয়া হয়, তাহলে ব্যাপারটা দাড়াচ্ছে শত-সহস্র শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুতেই ভরে যাবে দেশ।  একটা বৈরী সাম্প্রদায়িক  গুস্ঠি যেখানে তৎপর, সেখানে এ ভাস্কর্যগুলোর পবিত্রতা রক্ষা সম্মান-নিরাপত্তার ব্যাপারটাও ভেবে দেখতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে সারা দেশে চলছে এক ধরনের নৈরাজ্য। নৈরাজ্য সৃষ্ঠিতে প্ররোচনা কিংবা ইন্দন জোগিয়েছে একটি সমাবেশ।১৩ নভেম্বর ঢাকার গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা মাঠে ‘তৌহিদী জনতা ঐক্যপরিষদের’ ব্যানারে এক সমাবেশ থেকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করা হয়। একই দিনে রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে শানে রিসালাত কনফারেন্সে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হকও প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন।

সেই থেকে শুরু। এখন মাঠ ঘোলা হয়ে গেছে। প্রতিক্রিয়া আছে, মিশ্র।ইসলামিক দলগুলোর প্রত্যেকটিরই এতে আছে সমর্থন। প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে অনেকেই কথা বলছেন ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে্ । সত্যি কথা বলতে কি আওয়ামীলীগের একনিষ্ট কর্মীদেরও অনেকেই ভাস্কর্যবিরোধী প্রচারণাও চালাচ্ছেন। কিন্তু এ কথার অর্থ এই না যে, ঐ কর্মী কিংবা নেতারা তাদের নেতা কিংবা বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধীতা করছেন। শুধুমাত্র ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে তারা এর বিপরীতে কথা বলছেন।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের ঘোষনার পর থেকেই ভাস্কর্য বিরোধী একটা ধারণা মনোভাব তৈরী হচ্ছে বাংলাদেশে। অথচ ভাস্কর্য কনসেপ্টটাতো   নতুন কোন ধারণা নয় এই বাংলাদেশের জন্য।এর আগেও ভাস্কর্য বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় তৈরী হয়েছে। ভাস্কর্যকে কেন্দ্র করে শিল্প-সংস্কৃতির একটা শাখা এই বাংলাদেশে প্রবল। খ্যাতিমান ভাস্কর শিল্পীরা তাদের কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে দেশে বিদেশ খ্যাতি অর্জন করছেন। বাংলাদেশের স্থানে স্থানে ভাস্কর্য এখনও ইতিহাসেরই অধ্যায় হয়ে টিকে আছে ।

কিন্তু যখনই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের ব্যাপারটি এসেছে, তখন থেকেই শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বিরোধী প্রচারণা। এই প্রচারণায় মূলত নিয়ে আসা হয়েছে ধর্মীয় আবেগ-অনুভূতি কিংবা ধর্মের ব্যাখ্যা। ধর্মের ব্যাখ্যায় আমার যাবার কোন লক্ষ্যও নেই; এ বিষয়ে আমার সীমাববদ্ধতা আগে উল্লেখ করেই কিছু প্রশ্ন রাখা যায় : যেমন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি ইসলামিক মূল্যোবোধ নিয়ে কি তার রাষ্ট্র পরিচালনা করে ? দ্বিতীয়ত বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি কি ইসলামিক অনুশাসনই শুধু রাষ্ট্রের কাঠামো হিসেবে বিচার করা হয় ? তৃতীয়ত : বাংলাদেশটা কি কোন মজলিসে সূরার দ্বারা নিযন্ত্রিত হয় ? প্রত্যেকটির উত্তরই  ‘হ্যাঁ’ হবে না । কিন্তু এ কথার অর্থতো এই নয় যে, বাংলাদেশে ধর্মীয় মুল মূল্যবোধের বিপরীতে কোন কার্যক্রম চালাচ্ছে বা চালিয়ে যাচ্ছে, তার উত্তর হবে ‘না’ ।বরং বলতে হবে, এ সরকারের আমলে  কিছু বিতর্কিত বিষয়ের মিমাংসা করা হয়েছে। সমালোচনা আছে যদিও, তবুও বলতে হবে এ সরকারের আমলেই দাওরিয়া হাদিসকে একটা মর্যাদা দেয়া হয়েছে। শুধু তাই না, যারা এ সরকারকে উৎখাত করার জন্য ঢাকা ঢাকতে চেয়েছিল ২০১৩’র ৫ মে, এবং সরকারও কঠোর হাতে তা দমন করতে পেরেছিলো। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, সেই তাদের দাবীই শেষ পর্যন্ত মেনে নিয়েছিলো সরকার।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সম্মান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন, আজ থেকে দুই বছর আগে ২০১৭ তে ।সবচেয়ে বড় কথা হলো, এই সরকারের শিক্ষানীতির আওতায়ই তারা তাদের এ দাবী মেনে খুশীতে গদগদ হয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ইসলামের সেবক বলতেও দ্বীধা করে নি।

অথচ হঠাৎ করে কি এমন আকাশ ভেঙ্গে তাদের মাথায় নিক্ষেপিত হল যে, তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে মাঠটা গরম করে ফেললো।শুধু তাই না, বঙ্গবন্ধুর একটা ভাস্কর্যের ক্ষতি সাধন করল দুর্বৃত্তরা। এটা দিবালোকের মতো সত্য যে, যারা এ কাজটি করেছে, তারা মূলত ‘হুজুরে’র উন্মাদ করা বক্তৃতায় অন্ধ-উদ্বেল হয়ে একাজটা করেছে । এখানে অন্য কোন রাজনৈতিক বিশৃংখলা  সৃষ্টির পায়তারা লক্ষ্যনীয় নয়। সুতরাং সরকারি পক্ষ থেকে বিএনপি’র যোগসাজসের বিষয়টি উত্তাপন খুব একটা জনপ্রিয় ইস্যু হয়ে উঠে নি। অন্যদিকে যে শ্লোগানগুলো সারা বাংলাদেশ ব্যাপি উঠছে, তাতে কি আছে উগ্র মৌলবাদের প্রতি ঘৃণা; না সেটাও আমরা দেখছি না।যে মানুষটি ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন, তিনি  শুধুই একজন ইসলামী ওয়াজবিদ নন, তিনি একটা বৃহৎ গুস্ঠির প্রতিনিধিত্ব করেন। এবং এই জনগুস্টিকে তিনি উগ্রতার দিকেই টানছেন তার আলোচনা কিংবা বক্তৃতা দিয়ে । এই উগ্রতা কিংবা ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে । মৌলবাদ কোন একক মানুষের সৃষ্ট নয়।আধুনিতাকে পেছনের দিকে টানে যে  তত্ত্ব, সেটাই মৌলবাদ । ধর্মের নাম নিয়ে অর্থাৎ মুসলমানিত্ব নিয়ে ভাস্কর্য নিধন কিংবা হিন্দুত্ব নিয়ে মসজিদ ভাঙ্গা, মুসলিম  কিংবা রোহিঙ্গা নিধনে রাস্ট্রীয় প্রত্যক্ষ কিংবা প্রচ্ছন্ন সমর্থন অর্থাৎ মুসলমান হোক কিংবা হিন্দু হোক কিংবা বৌদ্ধ হোক যারাই ধর্মকে হাতিয়ার করে এগুবে তারাই মৌলবাদি । তারাই আধুনিকতা বিরোধী।  এই তত্ত্ব কিংবা ‘বাদে’র বিরুদ্ধেই আমাদের দাঁড়াতে হবে।মৌলবাদীদের আস্ফালন একজন ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর খুব একটা ব্যবধান তৈরি করা যাবে না , কারন বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ কিংবা তাঁর মধ্যি দিয়ে একটা জাতির উত্তান-অর্জন কিংবা স্বাধীন বাংলাদেশের  নেতা হিসেবে তিনি চিরঞ্জীবই আছেন এবং থাকবেন । অর্থাৎ একজন বৃহৎ বঙ্গবন্ধুকে তাদের প্রচার-প্রচারনা দিয়ে তারা ছোট করতে পারবে না।কিন্তু তাদের এই ঔদ্ধত্যের প্রকাশকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়াটা জাতি হিসেবে আমাদের ব্যর্থতাটাই ভেসে উঠছে। অন্যদিকে এ কাজটিতে যদি মৌলবাদি শক্তি প্রশ্রয় পেয়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশের শহিদ মিনার, জাতিয় স্মৃতি সৌধ, অপরাজেয় বাংলা সব ভাস্কর্যগুলো্র প্রতি তারা বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে একে একে বাংলাদেশ নামক দেশ আর বাঙ্গালি চেতনার সমাধি তৈরী করতে চেচামেচি শুরু করবে ।

বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উদযাপন হচ্ছে। কিংবদন্তি এ মানুষটি বাংলাদেশের স্থপতি। সারা পৃথিবীতেই উচ্চারিত তাঁর নাম।বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ । বাঙালিরা যেখানেই মুক্তির শ্লোগান তোলবেন, সেখানেই উঠে আসবেন বঙ্গবন্ধু অবধারিতভাবে । বঙ্গবন্ধু এক অনস্বিকার্য নাম।স্বাভাবিকভাবেই তিনি উচ্চারিত হবেন,তাঁকে বাঙ্গালীরা রাখবেই তাদের হৃদয়ের গভীরে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ।

সারা পৃথিবীর দেশে দেশে কালজয়ী মানুষগুলো তাদের দেশের অভ্যন্তরে স্তান করে নেন । আর সেজন্যই ইউরোপ আমেরকিা কিংবা পৃথিবীর নানা জায়গায় সেই মানুষগুলোর ভাস্কর্য আলো ছড়ায়। বঙ্গবন্ধুও এভাবেই আমাদের আলোকিত করেছেন এবং এ আলো তিনি ছড়াবেন কাল থেকে কালান্তরে। আর সেজন্যই বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ন স্থাপনার পাশাপাশি, পর্যটকদের দৃষ্টি পড়া জায়গায় তথা বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য শহরগুলোতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি কিংবা ভাস্কর্য স্থাপনের কাজটি এ বছরে বাংলাদেশ শুরু হয়েছে। এ কাজগুলো চলবে।

মৌলবাদ যতই ফণা তুলুক, তাতে প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে সাময়িক, কিন্তু চেতনার স্ফুলিঙ্গ দপ করে নিভে যাবে না, এটাই আমাদের বিশ্বাস। জাতির জনক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শব্দটি যেভাবে এখন উচ্চারিত হচ্ছে, এরকম সময় এর আগে আসে নি।আর সেজন্যই এসময়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষনা করা কিংবা তাঁর আদর্শকে ছড়িযে দেয়ার পথগুলো আরও উন্মুক্ত করা যেতে পারে। একমাত্র কুস্টিয়া পৌরসভায়  একজন বঙ্গবন্ধুর পাঁচটি ভাস্কর্য স্থাপন কোন সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা নয়।অর্থাৎ শুধুমাত্র পৌরসভায় যদি এরকম উদ্যোগ নেয়া হয়, তাহলে ব্যাপারটা দাড়াচ্ছে শত-সহস্র শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুতেই ভরে যাবে দেশ।  একটা বৈরী সাম্প্রদায়িক  গুস্ঠি যেখানে তৎপর, সেখানে এ ভাস্কর্যগুলোর পবিত্রতা রক্ষা সম্মান-নিরাপত্তার ব্যাপারটাও ভেবে দেখতে হবে।

বরং বঙ্গবন্ধুকে ছড়িয়ে দিতে হবে, দুনিয়ার দেশে দেশে——শত-সহস্র বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের চেয়ে পৃথিবীর বাংলাভাষী মানুষের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে কিংবা  ভিনদেশীদের কাছে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামমুখর জীবনকে আরও জীবন্ত করে তোলার সময় এখন।একটা জাতির জন্য তাঁর আহবানে লাখ লাখ মানুষের আত্নদান এবং নিজের ইতিাহাস-ঐতিহ্য নিয়ে বাঙ্গালী জাতির উঠে দাঁড়ানোর বুকটান করা ইতিহাসের নায়ক একজন বঙ্গবন্ধু পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের প্রেরনার উৎস হতে পারেন।

বঙ্গবন্ধুকে আরেকজন লেনিন, গান্ধি, চে গুয়েবারা, নেলসন ম্যান্ডেলা করতে কতটুকু কাজ হয়েছে, সে আলোচনাটা আমরা তোলতেই পারি। তাঁকে নিয়ে  পৃথিবীর ভিন দেশের প্রতিস্ঠিত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান দিয়ে অনুবাদের আরও কাজ করা যেতে পারে, ডিজিটাল প্রচারনায় আরও ব্যাপক অনুদান আশাই করতে পারি আমরা।এবং এগুলোর মধ্যি দিয়েই বঙ্গবন্ধু চির জাগরুক থাকবেন সারা পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের মাঝে ।আর এভাবেই বুদ্ধিবৃত্তিক গবেষনায় তিনি আলোচিত হতে থাকবেন যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর দেশে দেশে—— সংগ্রামি মানুষের প্রেরনার উৎস হয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন বাঙ্গালি জাতির পিতা হয়ে, পৃথিবীর অন্যান্য কিংবদন্তি মানুষের মতোই।

ফারুক যোশী : কলাম লেখক, প্রধান সম্পাদক; ৫২বাংলাটিভি ডটকম

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

"এই বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব " -সম্পাদক

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন