সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের কোপে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে ছেলে, ঘটনার ১৫দিনেও আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।এ ঘঠনায়
সিলেটের গোলাপগঞ্জে অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন এক মা। রোববার (৬ ডিসেম্বর) গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কাওসার আহমদের মা মেহেরুন নেছা।
কাওসার আহমদ (২৫) গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চৌঘরী গ্রামের মৃত কলা মিয়া ও মেহেরুন নেছার ছেলে। সন্ত্রাসীরা এখনো হুমকী দিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ২১ নভেম্বর রাত ৯টায় চৌঘরী বাজারে জনসম্মূখে সন্ত্রাসীরা দল বেঁধে কাওসারকে উপর্যুপরি কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে যায়। এসময় সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষন করে ও অস্ত্রের মহড়া দেয়। পরে স্থানীয়রা কাওসারকে উদ্ধার করে ওসামানী হাসাপাতেল ভর্তি করেন। সেখানে ৮দিন চিকিৎসার পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকা স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তাঁর জ্ঞান ফিরলেও তিনি এখনো সবাইকে চিনতে পারছেন না। তাঁর অবস্থা এখনো আশংকাজন এবং ডান হাত অচল হয়ে যেতে পারে বলে আংশকার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার পিঠে দায়ের কুপের একাধিক গভীর খত।
তিনি অভিযোগ করেন, হামলার ঘটনার পর আমার বড় ছেলে আলিম উদ্দিন ২৩ নভেম্বর গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় পারভেজ আহমদ (৩০), তারেক আহমদ (২৬) ও জুনেদ আহমদ (২৩) এর নাম উল্লেখ করে আরও অঞ্জাত ১০ জনকে আসামী করে মামলা(নং ২৮ )দায়ের করেন। কিন্তু ঘটনার ১৫ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও পুলিশ এখনো সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে পারছে না।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বারবার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলেও তারা শুধু বলেন তারা চেষ্টা করছেন। সন্ত্রাসীরা ফেইসবুকে এখনো হুমকী দিয়ে যাচ্ছে।এব্যাপারে আইসিটি আইনে একটি মামলা দায়ের করেছি। কিন্তুু ঘটনার ১৫ দিন অতিবাহিত হলে ও আসামীরা এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে। এব্যাপারে পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক। তিনি অবলিম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে ন্যায় বিচার নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের প্রতি আকুল আবেদন জানান।