সদ্য প্রয়াত বিয়ানীবাজার উপজেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রবীন ব্যক্তিত্ব,মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক,বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবী, ,ইমামবাড়ী হাফিজিয়া মাদ্রাসার হযরত গোলাব শাহ (রহ:) প্রকল্পের সভাপতি ,কসবা-খাসা গ্রাম কমিটির আহবায়ক, পঞ্চখণ্ড গোলাবিয়া পাবলিক লাইব্রেরির প্রাক্তন সম্পাদক মো.আবদুস সাত্তার স্মরণে শোক সভা ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করে কসবা-খাসা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে।
৮ সেপ্টেম্বর, রবিবার পূর্ব লন্ডনের একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টের সভাপতি আনোয়ার আহমদ মুরাদ এবং সঞ্চালনায় ছিলেন ট্রাস্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী বেবুল।
স্মরণ সভায় মরহুম মো. আবদুস সাত্তার সম্পর্কে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুদ্দিন খান, বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মোশতাক আহমদ, বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আসুক আহমদ, সাবেক সভাপতি রঊফুল ইসলাম, বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুম হোসেন, সিও সাব উদ্দিন ও ফান্ড রাইজিং ডিরেক্টর আলহাজ্ব আব্দুল সফিক।
এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন, বাজিদুর রহমান, মনোজ্জির আলী, হাজী আব্দুল কাদির, অধ্যাপক আব্দুল মালিক,কয়েছুজজামান রুনু, বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রগতি এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে’র সভাপতি হাবিবুর রহমান ময়না, বাংলাদেশ সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিয়ানীবাজার থানা জনকল্যাণ সমিতি ( মামুন- মুন্না) সভাপতি মামুন রশীদ,সাধারণ সম্পাদক কামরুল হোসেন মুন্না,বিয়ানীবাজার থানা জনকল্যাণ সমিতি ( সায়াদ- আহাদ) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ, কসবা-খাসা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে’র সাধারণ সম্পাদক এনাম উদ্দিন, বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে’র সাংগঠনিক সম্পাদক এম মাসুদ আহমদ, ডা.কাওসার হক, আতাউর রহমান আতা,মিছবা রহমান।
বক্তারা মরহুম মো.আবদুস সাত্তার সম্পর্কে বলেন, তিনি ছিলেন বিয়ানীবাজার উপজেলার অন্যতম সালিশ ব্যক্তিত্ব।সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে তিনি আজীবন নিরলস ভূমিকা পালন করেছেন।
বক্তারা বলেন, সাংস্কৃতিক বিকাশেও আব্দুস সাত্তার ছিলেন তরুনদের মাঝে উচ্চারিত এক নাম। বিশেষত বই পড়তে আগ্রহী করতে তিনি এক সময় তরুনদের কাছে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। আব্দুস সাত্তার ছিলেন গোলাবিয়া পাবলিক লাইব্রেরির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং দীর্ঘদিন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
স্মরণ সভায় বক্তারা আব্দুস সাত্তারকে একজন অরাজনৈতিক ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, রাজনীতিতে সম্পৃক্ত না থাকলেও প্রগতিশীল রাজনীতিকে তিনি সব সময় সমর্থন করতেন। মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ছিলেন।
একজন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী হিসেবে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ, পঞ্চখণ্ড হরগোবিন্দ মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, বিয়ানীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও খলিল চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদে বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দক্ষতার সাথে পালন করেন।
ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবে তিনি বিয়ানীবাজার উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ও বিয়ানীবাজার সাংস্কৃতিক ক্লাবের সাথে তিনি ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া তিনি ছিলেন বিয়ানীবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উপদেষ্টা, পূর্বতন বিয়ানীবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিব।
উল্লেখ্য, মো. আবদুস সাত্তার ৩১ আগষ্ট সিলেটের আল-হারামাইন হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। দ্বিতীয় পর্বে ,মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন মৌলানা জিল্লুর রহমান চৌধুরী, হাফিজ নাজিম উদ্দিন ও মৌলানা ওয়ালিউর রহমান চৌধুরী। স্মরণ সভার শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত করেন হাফিজ ময়নুল হক।
কণ্ঠ: সাবিনা ইয়াসমিন