সিলেটে পুলিশ হেফাজতে নিহত রায়হান আহমদ হত্যার বিচার চেয়ে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন নিহত রায়হানের একমাত্র বোন রুবা আকতার। গত ২ নভেম্বর সোমবার দুপুরে সেন্ট্রাল লন্ডনে অবস্থতি বাংলাদেশ হাইকমিশনে গিয়ে সরাসরি হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিমের হাতে স্মারকলিপির কপি তুলেদেন রুবা আকতার।
এসময় ভাইয়ের হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন রুবা আকতার। হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম তাকে শান্তনা দেন এবং যাতে দ্রুত বিচার হয় সেজন্য হাইকমিশন থেকে যা যা করা প্রয়োজন তা করার আশ্বাস প্রদান করেন। হাইকমিশনার স্মরকলিপিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়সহ পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে পৌছে দেয়া এবং প্রবাসীদের উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে জানান।
পরে মিডিয়াকে রুবা আকতার বলেন, তিন সপ্তাহের বেশি সময় হয়ে গেলেও মূল আসামী এস আই আকবর গ্রেফতার না হওয়ায় বাধ্য হয়ে হাইকমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রী, এমপি, পুলিশ কর্মকর্তারা বারবার আশ্বাস দিলেও মূল আসামী গ্রেফতার হয়নি। এমনকি যাদের আটক করা হয়েছে তারাও স্বীকারোক্তি দেয়নি। এতে বুঝা যাচ্ছে আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হতে পারি।
স্মারকলিপিতে রুবা আকতারের আত্মীয় স্বজনসহ, স্থানীয় কাউন্সিলার, পার্লামেন্ট মেম্বারসহ ৩৫জন স্বাক্ষর করেছেন। তিনি বলেন, আমরা চাই রায়হানের দ্রুত বিচার হোক। মূল আসামী এসআই আকবরকে গ্রেফতার করলে সকল রহস্যের উন্মোচন হবে।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন তাসবির চৌধুরী শিমুল, নিজাম এম রহমান, হাসনা বেগম, রাজু আহমদ।
এর আগে হাইকমিশনে স্মারকলিপি নিয়ে গেলে হাইকমিশনারের সাথে দেখা করতে ব্যর্থহন রুবা আকতার। হাইকমিশনারের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহন করেন একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। তিনি জানান হাইকমিশনার অন্য একটি জরুরী কাজে ব্যস্থ থাকায় দেখা করতে পারছেন না রুবা আকতারের সাথে। এর কিছুক্ষন পরেই হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম রুবা আকতারের দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি প্রায় ২০ মিনিট রুবা আকতারের বক্তব্য শুনেন এবং শান্তনাদেন।