দীর্ঘ আলোচনা ,সমালোচনার পর অবশেষে লেবাননের ফিউচার মুভমেন্টের প্রধান সাদ হারিরি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। আজ ২২ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সংসদীয় ১২০জন এমপির মধ্যে ৬৫ ভোট পেয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এরমধ্যে ৫৩টি ভোট তার বিপক্ষে পড়েছে ও ২জন ভোটার অনুপস্থিত ছিলেন। লেবাননের স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে এমনটি জানা গেছে।
লেবাননকে গভীর সংকট থেকে উত্তোরণ করতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রপতি মিশেল আউন শেখ সাদ হারিরির নাম মনোনীত করেন।
নির্বাচিত হবার পর গণমাধ্যমে দেয়া সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে সাদ হারিরি সকল এমপিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এসময় তিনি বলেন, সব সময় দেশের জন্য কাজ করেছি, এখনও তাই করে যাব। শক্তিশালী একটি মন্ত্রী পরিষদ গঠন করে লেবানন কে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে তিনি কাজ করে যাবার দৃঢ প্রতয়ের কথা জানান। তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য গত বছরের নভেম্বর মাসে সরকার বিরোধী আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করেন সাদ হারিরি। এরপর থেকে লেবাননে একের পর এক সংকট তৈরি হতে থাকে। শত সংকটের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় হাসান ডিয়াব কে। তিনিও বৈরুত বন্দরে বিষ্ফোরণের পর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এরপর আসেন মুস্তফা আদিব, তিনি শুরুতেই ধাক্কা সামলাতে না পেরে এক মাস পূর্ণ হবার আগেই ক্ষমতা ছেড়ে দেন।
এদিকে সাদ হারিরি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খবরে লেবাননে আনন্দ- উল্লাস করছেন সাদ হারিরি সমর্থিত সুন্নী গোষ্ঠি এবং সাধারণ জনগণ। লেবাননে বসবাসরত বাংলাদেশী প্রবাসীরাও সাদ হারিরি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সংবাদে আনন্দ প্রকাশ করছেন। সকলের একটাই প্রত্যাশা- দেশটিতে তীব্র ডলার সংকট, অর্থনৈতিক বিপর্যয় , ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ও রাজনৈতিক সংঘাত এবং করোনা বিপর্যয় থেকে লেবানন কে কিছুটা হলেও স্বস্তির দিকে নিয়ে যেতে পারার মতো রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সংসদীয় সংখ্যাঘরিষ্ট ক্ষমতা সাদ হারিরির রয়েছে।