চীনের উহানে দাবানলের মত কোরোনা ছড়াচ্ছিল যখন তখন বিশ্বজুড়ে আতংক। পশ্চিমারা ভেবেছে চীনারা মরুক, ওদের আগুন গরম অর্থনীতির চাকা পাংচার হোক…
এ প্রসংগে বলে রাখা ভালো, উহান বিশ্বের অন্যতম সুন্দর শহর, অন্যতম হাইটেক এবং ধনী শহর। চীনের যত স্কাইস্ক্র্যাপার আছে তার ৫০% উহানের বিভিন্ন ফার্মের কীর্তি, উহান বায়োটেকনোলজিতে বিশ্বের অন্যতম সেরা, বাৎসরিক আয় ১৭৩ বিলিয়ন ডলার ( বাংলাদেশের ৩৭ বিলিয়ন) ।
তো পশ্চিমারা চীনে তাদের যৌথ বিনিয়োগ আর স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার ডিবেঞ্চার বন্ড জলের দামে বেচে দিল— কিনেছে চীনা কোম্পানি।
তারপর ভাইরাস মহারাজ দেখা দিলেন ইউরোপের দেশে দেশে, মার্কিন মুল্লুকে। এবারে পশ্চিমাদের শেয়ার ডিবেঞ্চার বন্ড জলের দামে কিনতে শুরু করেছে চীনা কোম্পানি।
বিনা যুদ্ধে চীন অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যকে বহু মাত্রায় বিস্তৃত করে ফেলেছে। নয়ন মেলে পশ্চিমারা দেখে চীনে তাদের যৌথ বিনিয়োগ এর দখল চীনাদের। আর পশ্চিমের এসেটও চীনাদের, লায়াবিলিটি রয়ে গেছে পশ্চিমের হিসাবে।
কাজেই কভিড-১৯ নয়, চাইনিজ ভাইরাস বলে পোঁ ধরেছেন ট্রাম্প, চারদিকে কন্সপিরেসি থিওরির রমরমা।
ওদিকে করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমেছে ৩০%। কাজেই তেলের দামের পতন ঠেকাতে ওপেকের সভায় সৌদি রাশিয়াকে খুব অনুরোধ করেছিল যেন সবাই মিলে উৎপাদন কমিয়ে দাম ঠিক রাখা হয়। রাশিয়া স্রেফ না বলে দিয়েছে।
কারণ রাশিয়া তার ভোক্তাদের সন্তষ্ট রাখতে চায় এবং সে ভুলে যায় নি রাশিয়া+ ইরানকে শায়েস্তা করতে সৌদি কিভাবে তেলের দাম জলের দাম সমান করেছিল।
ফলে মহাখাপ্পা সৌদি ইচ্ছেমতো তেল উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে, তেলের দাম পড়ছেই। এই তেল যুদ্ধে মার্কিন শেল অয়েল কোম্পানিগুলোও ধরাশায়ী হতে পারে।
লাভ হলো কার?
সেই চীনের। সস্তায় তেল কিনছে, এই মুহুর্তে চীনই বিশ্বের নিরাপদ এলাকা, বাংলাদেশের গার্মেন্ট অর্ডার চলে যাচ্ছে চীনে (ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াও আছে) ।
এক অদ্ভুত দাবা খেলা দেখি, পরবর্তী চাল বোঝার ক্ষমতাই নেই।
লেখক : ব্যবসায়ী, সমাজকর্মী।
আরও পড়ুন-
https://52banglatv.com/2020/03/17531/