বাগেরহাট জেলার, চিতলমারীতে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এ আয়োজনে করে। অনুষ্ঠানে র্যালী, নারীদের তৈরী গোলাপী রঙের মাস্ক বিতরণ, শ্রেষ্ঠ জয়িতা পুরস্কার ও আলোচনা সভা হয়। স্বাস্থ্য বিধি মেনেই এই অনুষ্ঠান হয়।
এ উপলক্ষে বেলা ১১টায় র্যালী হয়। এরপর ইউএনও মোঃ মারুফুল আলম চিতলমারী উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে গোলাপী রঙের কাপড়ের মাস্ক বিতরণ করেন। এরপর তিনি ক্রেস্ট ও সনদপত্র দিয়ে পাঁচজন নারীকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্বর্ধনা দেন।
শ্রেষ্ঠ জয়িতা পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন, অর্থনৈতিকভাবে সফল নারী দুর্গাপুর গ্রামের কনিকা মন্ডল, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সফল কুরমনি গ্রামের নাজমা আক্তার, সফল জননী অশোকনগর গ্রামের জয়ন্তী ঘরামী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোগে জীবন শুরুকারী সফল নারী বড়বাক গ্রামের শিখা রানী বৈরাগী এবং সমাজ উন্নয়নে অবদানকারী নারী চরবানিয়ারীর খাসেরহাটের পূরবী রানী রায়। এ সময় তাঁরা নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এরপর করোনাকালে বন্ধ থাকা কিশোর কিশোরী ক্লাব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু করার ঘোষণা দেয়া হয়। নারীদের অগ্রযাত্রায় কাজের জন্য কয়েকটি সংস্থাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।
ইউএনও মোঃ মারুফুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবেরা কামাল স্বপ্না, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ হাফিজুর রহমান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ সোহরাব হোসেন প্রমূখ।