­
­
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
মার্চ ফর গাজা: ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে সোহরাওয়ার্দীতে জনসমুদ্র  » «   চারুকলায় আগুনে পুড়ে গেছে আলোচিত ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ মোটিফ, রহস্যজনক বলছে পুলিশ  » «   ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে ভারতের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের নেপথ্যে যা  » «   ‘বাংলাদেশিসহ’ ৪০ অভিবাসীকে আলবেনিয়ায় পাঠাল ইতালি  » «   বিনিয়োগ সম্মেলনে কেমন সাড়া পেলো বাংলাদেশ?  » «   আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল  » «   ২০২৪ সালে লন্ডন ছেড়েছেন ১১ হাজার ধনী, কোথায় যাচ্ছেন তাঁরা  » «   জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে নেমে আসবে: গভর্নর  » «   মডেল মেঘনা বিশেষ ক্ষমতা আইনে জেলে, অভিযোগ ছাড়াই আটকের যৌক্তিকতা নিয়ে আবারও প্রশ্ন  » «   ‘আলোয় আলোয় মুক্তির’ সন্ধানে বর্ষবরণ করবে ছায়ানট  » «   মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলে গেল  » «   যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ: বিপজ্জনক খেলা, পথ নেই পিছু হটার  » «   বিশ্বকে বদলে দিতে বাংলাদেশ ক্রেজি আইডিয়ার দেশ  » «   প্রবাসীদের ভোট পদ্ধতি নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি  » «   নাসার সাথে চুক্তি, আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা জোটে যুক্ত হলো বাংলাদেশ  » «  

একুশের চেতনা পাকিস্তানেও



বায়ান্নর ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকের চাপিয়ে দেয়া রাষ্ট্রভাষা উর্দূর পরিবর্তে বাংলার দাবিতে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিল। শহীদ হয়েছিলেন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা অগণিত তরুণ। সেই সময়েই রচিত হয়েছিল মায়ের ভাষার অধিকার ও রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বাঙালি জাতির বীরত্বের গৌরবগাথা।

সাত দশক পরে এসে ভাষার প্রতি মমতা, ভালোবাসা আর তার জন্য আত্মত্যাগের সেই মহিমা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছে পাকিস্তানি শাসকরা। যে রাষ্ট্র একদিন মাতৃভাষার অধিকার ছিনিয়ে নিতে বাঙলার মানুষকে রক্তাক্ত করেছিল সেই পাকিস্তানেই এখন একুশের চেতনার উত্তাপ।

ভাষা শহীদ দিবসকে বিশ্বের অন্যসব দেশের মতোই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করছে পাকিস্তানের নাগরিকরা। মাতৃভাষার গুরুত্বকে প্রাধান্য দিয়ে সেখানে সেমিনার, আলোচনা সভা, উৎসব ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিবসটি পালন করছে। স্মরণ করছে বায়ান্নর বাঙালির চেতনাকে।

‘বাংলা’ ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে প্রাণদানের সেই অনন্য নজির লেখা হয়েছে জাতিসংঘে। ১৯৯৯ সালে স্বীকৃতি পেয়েছে জাতিসংঘের। ইউনেস্কোর সাধারণ সভায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ঘোষণা দেয়া হয়। এর পর থেকে প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে।

গেল কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তানে শ্রদ্ধার সঙ্গে ভাষা শহীদের স্মরণ করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে এবারও ইসলামাবাদে পাকিস্তান ন্যাশনাল কাউন্সিল অব আর্টস (পিএনসিএ) ২১ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা সাহিত্য উৎসবের আয়োজন করেছে। ইসলামাবাদের লোক ভিরসা জাদুঘর আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন