আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল ঘিরে ইংল্যান্ড যেন নতুন করে জেগে উঠেছে। গত কদিন থেকে ইংল্যান্ডে অল্প জনপ্রিয় এ খেলাটি নিয়ে আলোচনা অনেকটাই তুঙ্গে। ফুটবল পাগল ব্রিটিশদের এখন আলোচনার বিষয় ক্রিকেট। বিশেষত তরুণদের মধ্যে আগে এ নিয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখা যায়নি। অথচ ফাইনালে উঠার পর থেকে এ খেলাটি এখন ব্রিটেনের অন্যতম জনপ্রিয় হিসেবে দেখা দিয়েছে। সর্বশেষ ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজিত হয়ে দীর্ঘ ২৭ বছর পর আবারো তাদের সামনে শিরোপা জয়ের হাতছানি। তাই ব্রিটিশদের জন্য আজকের দিনটি বহুল প্রতিক্ষিত।
ক্রিকেটের তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত দি লর্ডসের আজকের ফাইনাল খেলাটি নিয়ে সারা বিশ্বই মুখিয়ে আছে। ব্রিটেনের টাইগার সমর্থকরা ইংল্যান্ডকেই সমর্থন করছে। বাংলাদেশের ম্যাচগুলোর মতো দল বেঁধেই উপভোগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। ইতোমধ্যে অনেকেই টিকেট সংগ্রহ করেছেন। তবে নতুন করে যারা মাঠে বসে এ খেলা দেখতে চাইছেন, তাদের খুব অল্প সংখ্যকেরই ভাগ্যের শিকে ছিড়তে পারে। কারণ ইংল্যান্ডের ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা যতই গাঢ় হচ্ছিল, ততই টিকেট বিক্রির মাত্রা বেড়ে যাচ্ছিল। স্বাগতিকদের ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পর গত কদিন থেকে টিকেটের জন্য হাহাকার চলছে।
আইসিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এমনিতেই লর্ডসে দর্শকদের জন্য ৩০ হাজার আসনের প্রায় অর্ধেক টিকেট অনেক আগেই ভারতীয় সমর্থকরা কিনে রেখেছিল। বাকি টিকেটগুলোর একটা অংশ অবিক্রিত থাকলেও ইংল্যান্ডের ফাইনালে উঠার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই টিকেটের জন্য হাহাকার বাড়তে থাকে। দেখা যায় ‘স্টাবহাব’ এবং ‘ভায়াগোগো’ নামের ওয়েবসাইট থেকে ২ হাজার পাউন্ডের অধিক দাম দিয়ে দর্শকরা টিকিট কিনে নিচ্ছেন। যদিও ২৯৫ পাউন্ড মূল্যের টিকেট অনেক আগেই ২ হাজার পাউন্ড ছুঁয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তা ৩ থেকে ৪ হাজার পাউন্ডে গিয়ে ঠেকে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে ফাইনালের আগ মুহূর্তে এসে টিকেটের মূল্য বেড়ে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার পাউন্ডে পৌঁছে যায়।
আইসিসির নির্ধারিত একটা ওয়েবসাইট থেকে লর্ডসের কম্পস্টন স্ট্যান্ডের দুটি টিকেট বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার ৭৭৬ ডলারে অর্থাৎ ১৬ হাজার পাউন্ডে। আইসিসি অবশ্য এ নিয়ে সতর্কও করে। যাতে বলা হয় ফাইনালের টিকেটের মূল্য ১৬ হাজার পাউন্ড (প্রায় ১৭ লাখ টাকা) পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বিশ্বকাপ থেকে ভারতের বিদায় নেয়ায় অনেকেই মনে করেছিলেন টিকেট কালোবাজারে কম মূল্যে পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু স্বাগতিকরা বিশ্বকাপের শেষ দুই-এ পৌঁছায় বেড়ে যায় দর্শকপ্রিয়তা। তারা টিকেটের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে। তাদের বিশ্বাস ইংলান্ডের ঘরেই উঠবে এবারের বিশ্বকাপ শিরোপা।