বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
Sex Cams
সর্বশেষ সংবাদ
লন্ডনে চট্টগ্রামবাসীর ঐতিহ্যবাহী মেজবানী ও মিলন মেলা  » «   কাউন্সিল অব মস্ক টাওয়ার হ্যামলেটসের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত  » «   লন্ডনে অনুষ্ঠিত হলো ১১তম মুসলিম চ্যারিটি রান, দেড়শত হাজার পাউন্ডের বেশি সংগ্রহ  » «   লন্ডনে পেশাজীবীদের সেমিনারে বক্তারা : দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশীরা বাংলাদেশ পূনর্গঠনে ভূমিকা রাখতে চায়  » «   মুসলিম কমিউনিটি এসোসিয়েশন (এম সি এ) এর সদস্য সম্মেলন সম্পন্ন  » «   সাংবাদিক আব্দুল বাছিত রফির পিতা হাজী মো: আব্দুল হান্নান এর মৃত্যুতে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দের শোক  » «   বাংলাদেশে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের সম্পদ সুরক্ষায় অন্তবর্তীকালীন সরকারকে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে  » «   ইস্টহ্যান্ডস চ্যারিটির উদ্যোগে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কর্মশালায় বিভিন্ন পেশার মানুষের অংশগ্রহণ  » «   হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমের  বিরুদ্ধে নীতিহীন কর্মকান্ডের অভিযোগ  » «   সাংবাদিক ক্যারলকে গ্লোবাল জালালাবাদ ফ্রান্সের বিশেষ সম্মাননা প্রদান  » «   গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক জালালাবাদ উৎসব প্যারিস অনুষ্ঠিত  » «    সাকিব : নক্ষত্রের কক্ষচ্যুতি  » «   লন্ডনে ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঐতিহ্যবাহী চাটগাঁয়ে মেজবান ৬ অক্টোবর রবিবার  » «   ১১তম মুসলিম চ্যারিটি রান ২০ অক্টোবর ভিক্টোরিয়া পার্কে  » «   ৭৫ শেফ এর অংশগ্রহণে বিসিএর শেফ অব দ্যা ইয়ার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

বিশেষ সম্পাদকীয়
রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এ এক সুদৃঢ় রায়



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বহু প্রতিক্ষীত ছিল এ রায়। কেননা এ ছিল এক কল্পনাতিত লোমহর্ষক হত্যাযজ্ঞ। এটা নির্ধিদায় বলা যায়, এ হত্যাকান্ড চালানো হয়েছিল, তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে। নেতার প্রতি অগাধ আস্থা-শ্রদ্ধা-বিশ্বাস থেকে সে সময় শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়েছিলেন তাঁরই দলের নেতারা। তাঁকে ঘিরে মানবতার দুর্বেধ্য প্রাচীর তৈরী করেছিলেন, আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা। সে-ও আরেক বিস্ময়। নিজের জীবনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কেন্দ্রের নেতারা বাঁচিয়েছিলেন শেখ হাসিনাকে। কিন্তু শেষ রক্ষাটি হয় নি। ২৪ জন মানুষের নিস্প্রাণ দেহ আর অসংখ্য মানুষের আজীবন কষ্টের ক্ষত নিয়ে বাঁচতে হয়েছে বাঙ্গালি জাতি বিগত চৌদ্দটি বছর।

বলতেই হয় এ ছিল এক রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। একজন নেত্রীকে হত্যার মধ্য দিয়ে তারা চেয়েছিল গোটা দলটাকেই ছিন্নভিন্ন করে দিতে। শেখ হাসিনাকে হত্যা করে তারা চাইছিল, জাতির একটা চেতনাকে হত্যা করে মৌলবাদ আর সাম্প্রদায়িকতার জয়কেতন উড়াতে। গেল চৌদ্দটি বছর অপেক্ষা করেছেন ২১ আগষ্ট মামলার কথিত আসামি জজ মিয়াসহ নিহতদের স্বজন। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, প্রতীক্ষায় ছিল বাংলাদেশের অগণিত মানুষ। বলতেই হয় এ ছিল রাষ্ট্রের মদতে পরিকল্পিত এক হত্যাকান্ড। তৎকালিন ‘বাংলিশ’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বাবর ছিলেন তখন হাওয়া ভবনের হাতের পুতুল। তারই নির্দেশনায় এ হত্যাকান্ড ঘঠেছিল বলে প্রতিয়মান হয় আজকের এ বিচারের রায় থেকে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার এবং রায় কার্যকর এ সরকারের সফল এবং যুগান্তকারী অর্জন। জাতি দায়মুক্ত হয়েছিল, এ রায় দুটো কার্যকরের মধ্যি দিয়ে।

আজ ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার রায় হলো। জানি এ রায়ের কার্যকারিতা এখনও আইনের ফাঁক-ফোকরের প্যাঁচে থাকতেই পারে। তবে আমরা আশাবাদী, এ রায় কার্যকর হবে। সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্দীপ্ত বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য এ আরেক শুভ সংবাদ। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়ে আগামীতেও কেউ পার পাবে না এ রায় তা-ই দেখিয়ে দিয়ে গেল।


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন