বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ৯ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
ট্রিস ফর সিটিস এর কমিউনিটি বৃক্ষরোপণ  » «   রামাদ্বানে ইস্ট লন্ডন মসজিদের নানা আলোকিত আয়োজন  » «   স্বাগত মাহে রমজান  » «   স্মার্ট ব্যাংকিং সেবা নিয়ে ইউরোপে আবারো চালু হচ্ছে নেক মানি ট্রান্সফার  » «   সেতারা চাল পছন্দ না হলে টাকা ফেরত  » «   টরন্টোতে বিসিএসসির ফ্লাওয়ার (কর্ক) উৎসব  » «   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব  » «   প্রবাসীদের যাপিত জীবন ও প্রবাসের সৌন্দর্য  » «   পান্ডব একজনই  » «   বিয়ানীবাজার ডেভলাপমেন্ট সোসাইটি ইউকের বার্ষিক সাধারণ সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত  » «   স্পেনের বার্সেলোনায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত  » «   অমর একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘লন্ডন মাল্টিলিংগুয়াল ডে’ হিসেবে পালনের আহ্বান জানালেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার  » «   বেডফোর্ডে যথাযোগ্য মর্যাদায় অমর একুশে পালিত  » «   পূর্ব মুড়িয়া আইডিয়াল একাডেমির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  » «   অমর একুশে বইমেলায় প্রবাসী লেখকদের সুহৃদ আড্ডা ও একাধিক গ্রন্থ প্রকাশ  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

বিশেষ সম্পাদকীয়
রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এ এক সুদৃঢ় রায়



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বহু প্রতিক্ষীত ছিল এ রায়। কেননা এ ছিল এক কল্পনাতিত লোমহর্ষক হত্যাযজ্ঞ। এটা নির্ধিদায় বলা যায়, এ হত্যাকান্ড চালানো হয়েছিল, তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে। নেতার প্রতি অগাধ আস্থা-শ্রদ্ধা-বিশ্বাস থেকে সে সময় শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়েছিলেন তাঁরই দলের নেতারা। তাঁকে ঘিরে মানবতার দুর্বেধ্য প্রাচীর তৈরী করেছিলেন, আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা। সে-ও আরেক বিস্ময়। নিজের জীবনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কেন্দ্রের নেতারা বাঁচিয়েছিলেন শেখ হাসিনাকে। কিন্তু শেষ রক্ষাটি হয় নি। ২৪ জন মানুষের নিস্প্রাণ দেহ আর অসংখ্য মানুষের আজীবন কষ্টের ক্ষত নিয়ে বাঁচতে হয়েছে বাঙ্গালি জাতি বিগত চৌদ্দটি বছর।

বলতেই হয় এ ছিল এক রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। একজন নেত্রীকে হত্যার মধ্য দিয়ে তারা চেয়েছিল গোটা দলটাকেই ছিন্নভিন্ন করে দিতে। শেখ হাসিনাকে হত্যা করে তারা চাইছিল, জাতির একটা চেতনাকে হত্যা করে মৌলবাদ আর সাম্প্রদায়িকতার জয়কেতন উড়াতে। গেল চৌদ্দটি বছর অপেক্ষা করেছেন ২১ আগষ্ট মামলার কথিত আসামি জজ মিয়াসহ নিহতদের স্বজন। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, প্রতীক্ষায় ছিল বাংলাদেশের অগণিত মানুষ। বলতেই হয় এ ছিল রাষ্ট্রের মদতে পরিকল্পিত এক হত্যাকান্ড। তৎকালিন ‘বাংলিশ’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বাবর ছিলেন তখন হাওয়া ভবনের হাতের পুতুল। তারই নির্দেশনায় এ হত্যাকান্ড ঘঠেছিল বলে প্রতিয়মান হয় আজকের এ বিচারের রায় থেকে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার এবং রায় কার্যকর এ সরকারের সফল এবং যুগান্তকারী অর্জন। জাতি দায়মুক্ত হয়েছিল, এ রায় দুটো কার্যকরের মধ্যি দিয়ে।

আজ ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার রায় হলো। জানি এ রায়ের কার্যকারিতা এখনও আইনের ফাঁক-ফোকরের প্যাঁচে থাকতেই পারে। তবে আমরা আশাবাদী, এ রায় কার্যকর হবে। সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্দীপ্ত বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য এ আরেক শুভ সংবাদ। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়ে আগামীতেও কেউ পার পাবে না এ রায় তা-ই দেখিয়ে দিয়ে গেল।


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন