ঢাকা ০৬:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

যারা হারাম টাকার মালিক তাদের এবাদত কবুল হয় না
 শবে বরাতে ফজিলত বয়ানে ধর্ম উপদেষ্টা

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৩:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 256
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যারা হারাম টাকার মালিক, অবৈধ টাকার মালিক তাদের এবাদত আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) রাতে শবে বরাত উপলক্ষ্যে জাতীয় বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদে ফজিলত বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘একটা চাকরি করলাম সরকারি-বেসরকারি, তারপর টাকা লুট করে বিদেশে বাড়ি বানাইলাম। সম্পূর্ণ অবৈধ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাই নাই, মানিলন্ডারিং করে পাঠিয়েছি। আল্লাহর কাছে এসবের জবাব দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিজে ২৬ বছর একটা কলেজে প্রফেসর ছিলাম। মাদ্রাসায় পড়িয়েছি। এখানে আসার আগে ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেছি। তিরমিজি আউয়াল পড়াইতাম। তারপরও অবসর নেই।’
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘চাকরি শেষ হয়ে গেলে মানুষ হজে যায়। চাকরি শেষ হলে মসজিদ কমিটির সভাপতি, মাদ্রাসা কমিটির সেক্রেটারি, ঈদগা কমিটির অর্থ সম্পাদক হয়। এটা আমাদের সমাজের নিয়মিত চিত্র।’

ঢাকা শহরে সাত তলা বাড়ি হয় কী করে— এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘কী করা হয় ঢাকা শহরে? আপনার বেতন কত? আপনি স্কেল কত? আমি ২৬ বছর একটা অনার্স কলেজে শিক্ষকতা করেছি, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতা করেছি, ওয়াজ করেছি, ওয়াজে তো মানুষ কিছু হাদিয়াও দেয়, তারপরও তো চট্টগ্রাম শহরে একটা বাড়ি করতে পারিনি। আমার তো কোনো ফ্ল্যাট নেই। হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। এতে আমার কোনো দুঃখ নেই, কারণ আমি আল্লাহর কাছে জবাব দিতে পারব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে সুযোগ পাইলে উপরেরটাও খায়, নিচেরটাও কুড়ায়। যিনি যত বেশি দুই নম্বরি করে টাকা জোগাড় করে বিদেশে ৩৭০টা বাড়ি করতে পারে তার মর্যাদা তত বেশি। আসুন আমরা এই কালচার বদলে ফেলি। আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

যারা হারাম টাকার মালিক তাদের এবাদত কবুল হয় না
 শবে বরাতে ফজিলত বয়ানে ধর্ম উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৮:৫৩:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যারা হারাম টাকার মালিক, অবৈধ টাকার মালিক তাদের এবাদত আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) রাতে শবে বরাত উপলক্ষ্যে জাতীয় বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদে ফজিলত বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘একটা চাকরি করলাম সরকারি-বেসরকারি, তারপর টাকা লুট করে বিদেশে বাড়ি বানাইলাম। সম্পূর্ণ অবৈধ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাই নাই, মানিলন্ডারিং করে পাঠিয়েছি। আল্লাহর কাছে এসবের জবাব দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিজে ২৬ বছর একটা কলেজে প্রফেসর ছিলাম। মাদ্রাসায় পড়িয়েছি। এখানে আসার আগে ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেছি। তিরমিজি আউয়াল পড়াইতাম। তারপরও অবসর নেই।’
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘চাকরি শেষ হয়ে গেলে মানুষ হজে যায়। চাকরি শেষ হলে মসজিদ কমিটির সভাপতি, মাদ্রাসা কমিটির সেক্রেটারি, ঈদগা কমিটির অর্থ সম্পাদক হয়। এটা আমাদের সমাজের নিয়মিত চিত্র।’

ঢাকা শহরে সাত তলা বাড়ি হয় কী করে— এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘কী করা হয় ঢাকা শহরে? আপনার বেতন কত? আপনি স্কেল কত? আমি ২৬ বছর একটা অনার্স কলেজে শিক্ষকতা করেছি, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতা করেছি, ওয়াজ করেছি, ওয়াজে তো মানুষ কিছু হাদিয়াও দেয়, তারপরও তো চট্টগ্রাম শহরে একটা বাড়ি করতে পারিনি। আমার তো কোনো ফ্ল্যাট নেই। হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। এতে আমার কোনো দুঃখ নেই, কারণ আমি আল্লাহর কাছে জবাব দিতে পারব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে সুযোগ পাইলে উপরেরটাও খায়, নিচেরটাও কুড়ায়। যিনি যত বেশি দুই নম্বরি করে টাকা জোগাড় করে বিদেশে ৩৭০টা বাড়ি করতে পারে তার মর্যাদা তত বেশি। আসুন আমরা এই কালচার বদলে ফেলি। আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে।