স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দ্বীন মোহাম্মদ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আরও দুই বছরের জন্য সাবেক এ অধ্যাপককে এ হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে চুক্তিভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, “ওনার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে একটি চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে দায়িত্ব পালনে অপারগতা জানিয়েছেন তিনি। সেটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।”
এক চিকিৎসককে এ হাসপাতালে ফিরিয়ে আনাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের প্রতিবাদের মধ্যে বুধবার সেখানে মারধরের ঘটনা ঘটে। সহকর্মীকে মারধরের কারণে কর্মবিরতি শুরু করেন চিকিৎসকদের একটি অংশ। এর প্রতিবাদে পরিচালক ডা. দ্বীন মোহাম্মদের পদত্যাগও দাবি করেন তারা। এ ঘটনার মধ্যে বৃহ্স্পতিবার দায়িত্ব ছাড়তে চেয়ে নিয়োগ বাতিলের চিঠি দেন ২০১৪ সাল থেকে এ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালকের পদে থাকা অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, প্রায় চার মাসে আগে নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে কর্মরত আওয়ামী লীগের চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাচিপপন্থি অধ্যাপক ডা. গুরুদাস মন্ডলকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি করা হয়। সম্প্রতি তাকে আবার নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে ফিরিয়ে আনার হয়।
এ নিয়ে ‘বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক’দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। বুধবার ক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা হাসপাতালের পরিচালক দ্বীন মোহাম্মদের কক্ষে যান। সেখানে বিষয়টি নিয়ে কিছুটা হট্টগোল হয়। পরে চিকিৎসকরা বের হয়ে ৪০২ নম্বর এসে বৈঠক করার সময় হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এবং আউটসোর্সিংয়ের কিছু কর্মচারী তাদের ওপর হামলা করে।
হামলার শিকার চিকিৎসকদের অভিযোগ, পরিচালকের নির্দেশে এ হামলা করা হয়েছে। পরে ওই ঘটনার জন্য পরিচালকের পদত্যাগ দাবি করেন বিএনপি ও জামায়াতপন্থি চিকিৎসকরা। পাশাপাশি চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার সকাল ১০টার দিকে কর্মবিরতি শুরু করেন চিকিৎসকরা। পরে দুপুরের দিকে আউটডোর এবং জরুরি বিভাগে কার্যক্রম শুরু করেন চিকিৎসকরা ।