বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনায় গোলাপগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে রোববার (১২ ডিসেম্বর) র্যালী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টান অনুষ্টিত হয়েছে।
সকালে প্রথমে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সন্তান কমান্ডের যৌথ উদ্যোগে বিশাল বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। উপজেলার পৌর শহরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে থেকে র্যালীটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণের পর আলোচনা সভায় মিলিত হয়। উপজেলা সন্তান কমান্ডের সাধারন সম্পাদক আলী হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কবির। এসময় বক্তব্য দেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আলহাজ শফিকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম আহমদ ফলিক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার তোতা মিয়া, জেলা আ’লীগের সদস্য সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ওয়েছুর রহমান, পৌর কাউন্সিলর রুহিন বহমদ খান, বীর মুক্তিযুদ্ধা আকমল আলী,বীর মুক্তিযুদ্ধা জিএন চৌধুরীর ছোট ভাই মইন উদ্দিন চৌধুরী, সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরুল হক, সমবায় কর্মকর্তা ছদরুল ইসলাম, উপজেলা সন্তান কমান্ডের সভাপতি মোঃ মঞ্জিল আহমদ ও জহিরুল ইসলাম প্রমূখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অজামীল চন্দ্র নাথ, প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক ইউনুছ চৌধূরী, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাহদেুর রহমান জাহেদ, উপজেলা সন্তান কমান্ডের জাহাঙ্গীর আলম-সহ উপজেলা মুিক্তযুদ্ধা কমান্ডের মুক্তিযুদ্ধা ও সন্তান কমান্ডের সদস্য বৃন্দ।
এ সময় বক্তারা বলেন, আজকের এইদিনে ১২ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয়েছিল যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন স্বার্বভৌম একটি লাল সবুজের পতাকা পেয়েছি। আমাদের সন্তানদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বড় করতে হবে। তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস লালনে উদ্বোদ্ধ করতে হবে। ক্ষুধামুক্ত, দারীদ্রমুক্ত, মাধকমুক্ত অসাম্প্রদায়কি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানে আমরা হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাব এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর গোলাপগঞ্জ উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়। তৎকালীন গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীতে অবস্থিত বট গাছের চুড়ায় একটি বাঁশের সঙ্গে বেঁধে বিকাল সোয়া ৩ টায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন বীর মুক্তিযুদ্ধা জিএন চৌধূরী।