সোমবার (১৩ জানুয়ারি ২০২৫) দুপুরে দিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার নুরুল ইসলামকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পরে তলবের বিষয় জানিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “বেড়া নির্মাণসহ সীমান্তে নিরাপত্তার বিষয়ে জানানো হয়েছে যে, দুই সরকারের মধ্যে এবং বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মধ্যে হওয়া সব প্রটোকল ও চুক্তি মেনেছে ভারত।”
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে দুই দেশের উত্তেজনার মধ্যে রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডাকা হয় ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে। ওই বৈঠকে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার পাশাপাশি সীমান্ত হত্যার ঘটনায় পররাষ্ট্র সচিবের উদ্বেগ প্রকাশের কথা তুলে ধরা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘‘বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগের বিষয়টি জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে অননুমোদিতভাবে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ এবং এ সংক্রান্ত অন্যান্য কার্যক্রম সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে।”
মন্ত্রণালয় বলেছে, সম্প্রতি সুনামগঞ্জে বিএসএফ কর্তৃক এক বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে ‘সীমান্ত হত্যার ঘটনার এমন পুনরাবৃত্তিতে উদ্বেগ ও হতাশা’ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব। ওই তলবের পাল্টায় সোমবার বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার নুরুল ইসলামকে তলব করে ভারত।
অপরাধ ও চোরাচালান দমনে বেড়া নির্মাণসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথা তুলে ধরার বিষয় বাংলাদেশ দূতের কাছে তুলে ধরার কথা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আন্তঃসীমান্ত অপরাধ কর্মকাণ্ড, চোরাচালান, অপরাধীদের চলাচল ও মানবপাচারের চ্যালেঞ্জকে কার্যকরভাবে মোকাবেলার মাধ্যমে অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি ভারত পুনর্ব্যক্ত করেছে। সীমান্ত নিরাপত্তার জন্যই কাঁটাতারের বেড়া, সীমান্তে বাতি লাগানো, টেকনিক্যাল ডিভাইস স্থাপন এবং গরুর বেড়ার মতো পদক্ষেপ।”
বাংলাদেশ আগের সব বোঝাপড়াগুলো বাস্তবায়ন করবে এবং ঢাকার দিক থেকে আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে- এমন প্রত্যাশার কথা বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনারের কাছে তুলে ধরার কথাও বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।