­
­
শুক্রবার, ২ মে ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
মানবিক করিডর আসলে কী, বিশ্বের আর কোথায় আছে, কতটা কার্যকর?  » «   বিএনপি না জামায়াত কোন দিকে ঝুঁকছে ইসলামপন্থি দলগুলো?  » «   সুইডেনে অতর্কিত বন্দুক হামলায় নিহত ৩  » «   ইতালিতে বর্ণাঢ্য বৈশাখী উৎসব বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের  » «   ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানিতে চমক: চীনের ঘাটতি পূরণ করছে বাংলাদেশ  » «   কানাডায় লিবারেলদের জয়, কী কারণ  » «   রাখাইনের জন্য করিডর বাংলাদেশের জন্য কী ঝুঁকি তৈরি করতে পারে?  » «   ইউরোপ ৪ দেশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন!  » «   ডলারের বিপরীতে টাকার মান বৃদ্ধি  » «   বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার  » «   নতুন এক লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ  » «   ৬০ টন পণ্য নিয়ে সিলেট থেকে উড়ল প্রথম কার্গো ফ্লাইট  » «   রাখাইনে মানবিক সহায়তায় শর্তসাপেক্ষে করিডোর দিতে রাজি সরকার  » «   শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না বলে জানান মোদি  » «   ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’ কবিতার কবি দাউদ হায়দার আর নেই  » «  

লন্ডনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে  বিএসইটি  গ্ৰাজুয়েটস এওয়ার্ড  সম্পন্ন
৫৬ ব্রিটিশ- বাংলাদেশী বংশোদ্ভূতকে এওয়ার্ড  প্রদান



লন্ডনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বৃহত্তর সিলেট এডুকেশন ট্রাস্ট এর  উদ্যোগে  ব্রিটিশ-বাংলাদেশী গ্রাজুয়েট এওয়ার্ড-২০২৩ প্রদান করা হয়েছে।পূর্ব লন্ডনের রয়েল রিজেন্সি হলে ৭ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার  সন্ধ্যা ৭টায় প্রায় পাঁচশত অতিথিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন-ব্রিটিশ-বাংলাদেশী  বংশোদ্ভূত সাবেক রাষ্ট্রদূত ও গভর্ণর অফ কেইমেন আয়ল্যান্ড  আনোয়ার বখত চৌধুরী।

বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে  ব্রিটেনের বিভিন্ন খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি থেকে বিভিন্ন বিষয়ে ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষে  অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্ৰী অর্জনকারী ৫৬ জন ব্রিটিশ বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত গ্ৰাজুয়েটকে সম্মাননা সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

প্রধান অতিথি আনোয়ার চৌধুরী তার বক্তব্যে , ব্রিটেনের বাংলাদেশী কমিউনিটির  শিক্ষা ক্ষেত্রে অনুকরণীয়  অগ্ৰসরতার একটি সারগর্ভ চিত্র তুলে ধরে বলেন- এই অর্জনে পরিবারের ভূমিকা  অপরিসীম।

তিনি গ্রাজুয়েটদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ডিগ্রী যে বিষয়েই থাকুক – এর মানে এই নয় যে চাকুরিও ঐ একই ফিল্ডে খোঁজতে হবে। চাকুরির জগৎ অনেক বড়। তাই চাকুরি খোঁজার ক্ষেত্রে পরিধি সীমিত না করার পরামর্শ দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্যার স্টীফেন টিম এমপি, জিএলএ মেম্বার উমেস দেসাই, বিভিন্ন বারার সিভিক মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ, কমিউনিটির গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গ্ৰাজুয়েটদের পিতামাতা সহ প্রায় পাঁচশ লোক উপস্থিত ছিলেন।

প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানে ৫৬জন ব্রিটিশ-বাংলাদেশী ব্যাচেলর এবং মাষ্টার্স ডিগ্রীধারীকে অতিথিরা এওয়ার্ড তুলে দেন। যাদের অনেকে ইতিমধ্যে  চিকিৎসা, আইন, শিক্ষা, আইটিতে  লিডারশীপ দায়িত্বে মূলধারায় সুনামে কাজ করেছেন। 

কমিউনিটির সেবায় কাজ করা বৃহত্তর সিলেট এডুকেশন ট্রাস্ট  এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রাজুয়েটরা আগামীতে এধরণের কাজে তাদের সম্পৃক্ততার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছেন। প্রায় সকলের কথায় ওঠে এসেছে তাদের সাফল্যের পেছনে- তাদের বাবা-মা, শিক্ষক এর নিরবিচ্ছিন্ন সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা এবং তাদের কঠোর পরিশ্রমই সাফল্য অর্জনে কাজ করেছে। ভবিষ্যতে ব্রিটেনে এবং বাংলাদেশে কমিউনিটির সেবায়   কাজ করার  আগ্রহের কথাও স্বানন্দে জানিয়েছেন অনেক কৃতি গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী।

শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করে  মো: আফ্ফান।

ট্রাস্টের সভাপতি  মহিব উদ্দীন স্বাগত বক্তব্যে বৃহত্তর সিলেট এডুকেশন ট্রাস্ট  কখন, কেন গঠন  করা হয় এবং কী ধরণের কাজ বাংলাদেশে গত ১০ বছরে করছে -তা তুলে ধরেন।

সভাপতি  মহিব উদ্দীন  বিএসইটি  সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য সবাইকে আহবান জানিয়ে  বলেন, গ্রাজুয়েট এওয়ার্ড অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা আমাদের নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করতে চাই।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন  জামাল উদ্দীন, মায়েন উদ্দীন আনসার ও পারভেজ শাহ । সংগীত পরিবেশন করে শিশু শিল্পী  শাইয়্যান।

পুরো অনুষ্ঠানের কো-অডিনেট এ ছিলেন- মহিব উদ্দীন, জামাল উদ্দীন, আব্দদুল্লাহ কামাল ও হাবিবুর রহমান।

ট্রাস্টি মাহিদুর রহমান সমাপনী বক্তব্য সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।রাতের  প্রীতিভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। ( বিজ্ঞপ্তি)

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন