নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বলেছেন, বাঙ্গালী হিসেবে আমাদের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতা পূর্ববর্তী মহান মুক্তিযুদ্ধ। তবে বাংলা ভাষা পুনরুদ্ধারে মাধ্যমে আমাদের আন্দেলনের শুরু হয়। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ। আর সেই মহাযুদ্ধের মহানায়ক জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতার নেতৃত্বে ৩০লক্ষ শহীদ ও ২লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা যেনো ম্লান হয়ে না যায় সেদিকে আমাদের সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বিশেষ করে শিক্ষাখাতে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা বিশ্বে নজিরবিহীন। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এ দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে, এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখতে হলে সরকারের পাশাপাশি দেশের প্রত্যেক নাগরিককে এক সাথে কাজ করে যেতে হবে। তিনি বলেন, আমি আপনাদেরই কর্মী, আপনারাই আমাকে সৃষ্টি করেছেন। আপনাদের সহযোগীতাকে কাজে লাগিয়ে আমি এ উপজেলাকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি।
মঙ্গলবার সকালে গোলাপগঞ্জের ভাদেশ্বর নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে নবনির্মিত একাডেমিক ভবন ও শহীদ মিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি এ কথাগুলো বলেন।
বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মাছুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে, শিক্ষক তাহের উদ্দিন ও জহির উদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় এবং বিদ্যালয়ের ছাত্র সুলতান মাহমুদ মারজানের পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ সুনীল চন্দ্র দাশ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কবির, বিশিষ্ট পরিসংখ্যানবিদ ড. ছাদিকুর রহমান চৌধুরী, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ফয়জুল আহমদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, শহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান শামিম আহমদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলীম উদ্দিন বাবলু, দপ্তর সম্পাদক নাজিমুল হক লস্কর, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক রুমেল সিরাজ, বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক রশিদ আহমদ, গভর্নিং বডির সদস্য হেলাল উদ্দিন হেলু, ইউসুফ আলী মাস্টার,নাজিম উদ্দিন। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিকেল এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন শিল্পী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করে।